শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চূড়ান্ত রায়ের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

কোনো ফাঁসির আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নেওয়া যাবে না বলে রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন কারাবন্দির রিটের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল, মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছিলেন উচ্চ আদালত।

এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য (সিএভি) অপেক্ষমান রাখা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমত, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মতে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকার বলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারেন।

তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত ক্ষমার আবেদন না মঞ্জুর করলে তখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে রাখা হয়।

শিশির মনির আরও বলেন, জেল কোডের ৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হবে।

তিন আবেদনকারী হলেন, চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনটি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

এত হত্যাকাণ্ডের পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

এত হত্যাকাণ্ড চালানোর পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই লড়াই করেছে দেশের মানুষ। জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে শেখ হাসিনাকে পালাতে হতো না। রাষ্ট্র নিয়ে খেলা করেছে হাসিনা।

ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিনিও (ড. ইউনূস) শেখ হাসিনা দ্বারা নির্যাতিত। তিনি ন্যায়সঙ্গত কাজ করবেন, তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি বিকাশিত হবে। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, রাজনীতিবিদ আছে; গণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসবে— এই ব্যবস্থাটাই আগে করুক। যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের মাধ্যমেই দেশ চলবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে এবং আরও অন্যান্য সংস্কার হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করছে— স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপরে সংসদ নির্বাচন হবে; কেন? রাজনীতি কে করবে, কে ক্ষমতায় আসবে— এটা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণের সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তো গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে।

‘রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস না করার অর্থই বিরাজনীতিকরণ’, উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই বিরাজনীতিকরণ করতে করতে গণতন্ত্রের আজ ভঙ্গুর অবস্থা। এটার মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। রাজনৈতিক শক্তিকে যদি খাটো করেন তাহলে চরমপন্থার উত্থান হতে পারে। চরমপন্থা শুধু বাম দিক দিয়ে আসে না, ডান দিক দিয়েও আসে। এটা মাথায় রাখতে হবে।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার অর্থের ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২২ লক্ষ ৪০ হাজার), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

রানার্স আপ দল পাবে ১১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (১৩ কোটি টাকারও বেশি)। সেমিফাইনালে ওঠা দুটি দলের জন্য থাকবে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার (৭ কোটি টাকার কাছাকাছি)।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ৫৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, ২০১৭ সালের আসরের তুলনায়। এবার মোট পুরস্কার ৬৯ লক্ষ মার্কিন ডলার। এছাড়া, প্রতিটি দলকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা) যোগ্যতা অর্জনের জন্য দেওয়া হবে।

গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ জিতলেই দলের জন্য থাকবে ৩৪ হাজার ডলারের পুরস্কার (৪১ লাখ টাকার বেশি)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান অর্জনকারী দল পাবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার মতো)। সপ্তম ও অষ্টম স্থান পেলে দলগুলো পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা)।

১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। আটটি দল দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে: গ্রুপ ‘এ’-তে পাকিস্তান (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন), ভারত, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ; গ্রুপ ‘বি’-তে অস্ট্রেলিয়া (বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন), দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে।

এই টুর্নামেন্টটি চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার (৬০) নামে আওয়ামী লীগের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আব্দুর রাজ্জাক তরফদারকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক তরফদার পৌরসভার পশ্চিম ভূঞাপুর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর। তিনি একই এলাকার মৃত শমশের আলী তরফদারের ছেলে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় নাশকতার মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করলে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এত হত্যাকাণ্ডের পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: রিজভী
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন
অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রে
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু শনিবার : আদিলুর রহমান
আমিরাত সফর শেষ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
নতুন বাংলাদেশ গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করবে অনলাইন অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে: টুকু
আজ শবে বরাত, গুনাহ মাফ ও ভাগ্য নির্ধারণের রজনী
ফ্যাসিবাদের অধীনে জনগণের পুলিশ হতে পারেনি: জিএমপি কমিশনার
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা
সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজউদ্দিন
পদত্যাগ করলেন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ