ক্যাম্পাস

ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল রুয়েট


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ :০৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল রুয়েট
বিক্ষোভে উত্তাল রুয়েট। ছবি: সংগৃহীত

চাকরিতে বিদ্যমান ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় এ কর্মসূচি। এরপর মিছিল নিয়ে তারা রুয়েটের মূল ফটক হয়ে তালাইমারি মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন। স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা—“কোটা না মেধা? মেধা, মেধা”, “প্রকৌশল ক্ষেত্রে অবিচার, এবার চাই ন্যায়বিচার”, “প্রকৌশলীর সকল পদ, প্রকৌশলীদের অধিকার”, “একবার তো দিলাম প্রাণ, আবার কেন কোটা চান”—এসব দাবিতেই ছিল প্রতিবাদের ঝাঁঝ।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের এ আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রকৌশল খাতে বিদ্যমান বৈষম্য ও মেধাবঞ্চনার বিরুদ্ধে এটি একটি যৌক্তিক প্রতিবাদ। তারা চান, প্রকৌশল পেশা যেন শুধু মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের ভাষায়, এ অবিচার বন্ধে এখনই প্রয়োজন জাতীয় পর্যায়ে সংস্কার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, এবং দেশব্যাপী সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরাও। রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, প্রকৌশল পেশায় চলমান কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, বরং পুরো প্রকৌশলী সমাজের। তার মতে, কোটা প্রথা প্রকৌশল পেশার কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে। একজন শিক্ষক হিসেবে মানবিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন বলে জানান।

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এইচ এম রাসেল বলেন, প্রকৌশল শিক্ষায় যথাযথ মেধার মূল্যায়ন হলে দেশ আরও দক্ষ প্রকৌশলী পাবে। তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীদের এ দাবি শুধুই চাকরির নয়, বরং তা দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মূল দাবি- প্রকৌশল পেশায় নিয়োগ ও পদবি ব্যবহারে যেন কেবলমাত্র বিএসসি ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দেওয়া হয়। তারা চান, ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় কোটা নয়, হোক প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ। সেই সঙ্গে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দের ব্যবহার নিয়েও একটি স্পষ্ট আইন চান তারা, যাতে বিএসসি ছাড়া কেউ এ পদবি ব্যবহার করতে না পারে।