জাতীয়

রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় আইনগত রূপ ও বিচার ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণে একমত দলগুলো


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ :০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় আইনগত রূপ ও বিচার ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণে একমত দলগুলো
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান এবং বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের নবম দিনের আলোচনা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

আলোচনা সভায় বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসে, গতকাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ব্যবস্থার অপব্যবহারের ঘটনা ঘটা-ই ঘটা। তাই সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমা-দানের প্রক্রিয়ায় আইনগত পরিমার্জন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা প্রত্যক্ষ হয়েছে। আলোচ্য তথ্যে বলা হয়, ‘কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাসের ক্ষমতা থাকবে রাষ্ট্রপতিরই, তবে এটি আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োগ করতে হবে।’

বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে আলী রীয়াজ আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন হবে কেবল রাজধানীতে। তবে বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টে স্থায়ী বেঞ্চ গঠন নিশ্চিত হবে—যা সংবিধানের ১০০ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আগামী ৭ জুলাই কমিশনের আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও কমিশন ইতোমধ্যেই সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতির নির্বাচন, এলাকা পুনর্নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পরিচালনা, এবং বিচার বিভাগের বৈপ্লবিক গাঠনি বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।