
জাতীয়
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন

সরকারি চাকরিজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বহুল আলোচিত ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভেটিংয়ের পর অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। তবে কোন কোন ধারা বা বিষয় সংশোধন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সচিবালয়ের সামনে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন। এসব আন্দোলনের মুখে সরকার অধ্যাদেশে পরিবর্তনের পথে এগোয়।
এদিনের বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো—‘বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস’ এখন থেকে ১৫ মার্চের পরিবর্তে ৩ ডিসেম্বর পালন করা হবে। পাশাপাশি ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’কে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এক, ওআইসি লেবার সেন্টারের সংবিধিতে বাংলাদেশের স্বাক্ষরের অনুমোদন এবং দুই, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) কর্তৃক গৃহীত ১৯৯৭ সালের ‘ব্যয়িত জ্বালানি ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যৌথ কনভেনশনে’ সইয়ের অনুমোদন।
সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশটি এখন সরকারিভাবে গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।