জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তা আরও গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি। ড. হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি জামায়াত প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন—সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।
বৈঠক শেষে ড. আযাদ বলেন, “আমরা সিইসিকে বলেছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তা দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা দেবে। দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনে শাসকদলই প্রার্থী জেতায়। কিন্তু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হলে তা গণতান্ত্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের দাবি জানাইনি। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের পরে এই কমিশন গঠিত হয়েছে, সেহেতু আমরা তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। এখনো তারা মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেনি।”
ড. আযাদ দাবি করেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বেআইনিভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর বর্তমান কমিশন সেই গেজেট প্রকাশ করে আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।”
এসময় তিনি ভোট পদ্ধতি সংস্কারে ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি’ (পিআর) চালুর দাবি জানান। বলেন, “এই পদ্ধতিতে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হয় এবং ভোটের প্রতিফলন সঠিকভাবে হয়। আমরা এক শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছি।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভোটের বাইরে রাখা যায় না। তাদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ইসি জানিয়েছে, তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে।”
শেষে ড. আযাদ বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে সংস্কার যেন শুধু কাগজে না থেকে বাস্তবে হয়, সেটাই আমরা চাই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক, যা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
