বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ষড়যন্ত্র রুখতে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ষড়যন্ত্র রুখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমান বলেন, কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পাযন না। ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে। খালেদা জিয়ার সময়ে ৫ হাজার পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।

কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয়, সেজন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি। অনেক সময় মহাজন থেকে ঋণ নেয়, যা কৃষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সেখান থেকে আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে এই সমস্যাটা আর হবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এত মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি সম্ভব নয়। তাই যেগুলো মৌলিক খাদ্য, সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো নিলে কৃষিজমি বাড়ানো যায়, এটা একমাত্র সম্ভব বিএনপি ক্ষমতায় গেলে।

Header Ad
Header Ad

‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছেন বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা বেশ সুরক্ষিত। তারা শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে এখন বেশি নিরাপদে আছেন। আমরা সব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি বাংলাদেশির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

গত আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার বিষয়ে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে আসছে ভারত সরকার। এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে বিভিন্ন খবরও প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বরাবরই ভারতের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সরকার বলছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচুর অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আমরা এসব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি বাংলাদেশির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তবে সেই সময় কোনো গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সময় এটা ঘটেছিল বলে ভারতীয় কোনো গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়নি। কোনো প্রবাসী সংগঠন এ নিয়ে কথা বলেনি এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেনি।

ইসকনের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার বরং ওই ধর্মীয় সংগঠনের কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য সেনা পাঠিয়েছিল। আমরা নিশ্চিত করেছি যে হিন্দুরা দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে। আমরা কি ইসকনকে নিষিদ্ধ করেছি? আমরা বরং তাদের মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য সেনা পাঠিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে আচরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানানো হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার বিষয়ে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগের সমাধান করার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চান।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা প্রতিটি সরকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করি, যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে – আমরা স্পষ্ট করেছি- মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান থাকা দরকার; ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। যেকোনও ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত এবং যে কোনও ধরনের ক্র্যাকডাউন – এমনকি ক্র্যাকডাউন না হলেও – সকল দেশের সরকারকে আইনের শাসনকে সম্মান করতে হবে এবং এর অংশ হিসাবে মৌলিক মানবাধিকারকেও সম্মান করতে হবে। আর এই বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ চালিয়ে যাব।

পরে ওই প্রশ্নকারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে ইসকনের নেতা। এছাড়াও ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডও ইসকনের সদস্য। চিন্ময় দাসকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কারাগারে রাখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের কোনও আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি নয়, কারণ তার আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমার কাছে এই মামলার কোনও বিবরণ নেই। কিন্তু আবারও বলব, আমরা জোর দিয়ে যাচ্ছি এবং ইতোমধ্যেই জোর দিয়েছি, যারা আটক আছে তাদের পক্ষেও উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সাথে আচরণ করা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী

চিত্রনায়ক ওমর সানী। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার ৯০ দশকের আলোচিত চিত্রনায়ক ওমর সানীর। সম্প্রতি চিত্রনায়ক ওমর সানীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। নগদ টাকাসহ তিনটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা।

জানা গেছে, সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। মিনিট চল্লিশ হাঁটাহাঁটির পর বাসায় ফিরে দেখেন তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন, ২২ হাজার টাকা এবং তার সহকারীর একটি দামি ফোন চুরি হয়ে গেছে!

অভিযোগ জানাতে সেদিনই ভাটারা থানায় উপস্থিত হন সানী। অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

ওমর সানী বলেন, সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে আমি মর্নিং ওয়াকে বের হই। এরপর হাঁটা শেষে আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বাসায় ফিরে ড্রয়িং রুমে এসে দেখি আমার স্যামসাং এস টুয়েন্টি আল্ট্রা এবং আরেকটি অপ্পো ফোন নেই। ড্রয়ারে নগদ ২২ হাজার টাকা ছিল, সেটিও নেই। আমার পিএস আরিফ জানায়, তার ব্যবহৃত ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনটিও চুরি হয়েছে।

অভিনেতার ধারণা, মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে চোর বাসায় প্রবেশ করে এবং তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি মনে করেন, যেহেতু চুরি যাওয়া ফোনগুলোর আইএমইআইসহ সমস্ত তথ্যই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, তাই শিগগিরই চোরদের খুঁজে বের করা সম্ভব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী