জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিতে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির বাইরে গিয়ে এমন কোনো চুক্তি করা উচিত নয়, যা দেশের সার্বভৌমত্ব বা স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মে দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “দয়া করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এবং জনগণকে ও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহেলা করে করা হয়। এই দেশ কারও একার নয়, এটি সবার। জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
সমাবেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমরা বহুবার অনুরোধ করেছি, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। এই সংস্কারের ধারণা বিএনপিই প্রথম জাতিকে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি—যেসব সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেসব বিষয়ে একমত নয়, তা পরবর্তীতে নবগঠিত সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমরা শ্রমিকদের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর পক্ষে। দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া।”
এই সমাবেশে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও সাধারণ শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা সমবেত কণ্ঠে সরকারকে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবিও জানান।
