রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (৮ মে) দেওয়া বাণীতে তিনি রবীন্দ্রনাথকে বাংলার সংস্কৃতি ও জাতীয় জীবনে অনন্য অবদানের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেলজয়ী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল কবি নন, তিনি ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, চিত্রকর ও দার্শনিক হিসেবেও অনন্য। তাঁর রচিত গান আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিতে স্বাতন্ত্র্যবোধ, ধর্ম-রাজনীতি-সমাজচিন্তা ও বিশ্বদর্শনের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়, যা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের চিন্তাধারায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”
তারেক রহমানের মতে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখায় সমাজের মূঢ়তা ও স্থবিরতার সমালোচনা করেছেন, আবার অনগ্রসর জাতিকে উন্নত জাতির কীর্তি গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলার প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তাঁর সৃষ্টিতে পেয়েছে চিরন্তন রূপ।
আলাদা বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবীন্দ্রনাথকে “বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী” আখ্যা দিয়ে বলেন, “তিনি শুধু কবি ছিলেন না, ছিলেন সমাজ, রাজনীতি, দর্শন ও সম্প্রীতির অনবদ্য রূপকার। তাঁর সাহিত্য মানবতা, শান্তি ও পরমত সহিষ্ণুতার বাণীতে ভরপুর।”
ফখরুল বলেন, “রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য আমাদের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস জোগায়। তাঁর রচনার মানবপ্রেম ও দেশপ্রেম চিরকাল মানুষকে প্রেরণা দিয়ে যাবে।”
বিশ্বকবির জন্মদিনে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার এমন বাণীতে স্পষ্ট, জাতির বৃহৎ অংশের মতো রাজনৈতিক অঙ্গনেও রবীন্দ্রপ্রেম গভীর ও দৃঢ়মূল।
