জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সরকার ও রাজনীতিতে গুম, খুন, দুর্নীতি ও সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পলাতক অপশক্তিদের আর কোনো ধরনের পুনর্বাসন চায় না দেশের জনগণ—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্বে একমাত্র নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্রের পথ হলো গণতন্ত্র। যারা অতীতে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, অবৈধভাবে সরকার ও সংসদ গঠন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ তাদের রাজনীতিতে আর দেখতে চায় না।”
তিনি বলেন, “দেশে একটি জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। এজন্য জনগণকে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে যেন কেউ আমাদের ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করতে না পারে।”
বাংলাদেশকে আর যেন কোনোদিন ‘তাঁবেদার রাষ্ট্র’ বা ‘গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্র’ বানানো না যায়, সে বিষয়ে জনগণ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও রূপরেখা নিয়ে জনগণের সামনে স্বচ্ছ অবস্থান থাকা জরুরি, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না তৈরি হয়। এজন্য বারবার পরিকল্পনা প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।”
ফ্যাসিবাদী শাসনের দেড় দশকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া রামু, নাসিরনগর, রংপুরসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক দীপেন দেওয়ান।
