এটাই শেষবারের মতো আহ্বান, অবিলম্বে শপথের আয়োজন করুন: ইশরাক হোসেন

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সরকারকে শেষবারের মতো আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে আমার শপথের আয়োজন করুন। এটি সরকারকে দেওয়া শেষবারের মতো সতর্কবার্তা।”
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে নগর ভবনের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, আদালতের রায় পাওয়ার পরও সরকারি কিছু উপদেষ্টা তার সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, যা প্রশাসনিক নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
“স্থানীয় সরকার বিভাগকে বলছি- দ্রুত আদালতের নির্দেশ কার্যকর করুন। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,”— বলেন ইশরাক।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি আরও বলেন, “শপথ না করালে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন তীব্র করবো। এবার আর ঘরে ফেরা হবে না।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে টানা ১৫ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ। এদিন ইশরাক হোসেন নগর ভবনে পৌঁছালে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘নগরপিতা ইশরাক ভাইকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা’ স্লোগানে মুখর করে তোলেন নগর ভবনের চত্বর।
নগর ভবনের কর্মচারী ইউনিয়নও আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। টানা ১৪ দিন ধরে ভবনের সব ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা হাজী আনোয়ার বলেন, “আমরা ইশরাককে ভোট দিয়েছি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। এখন আবার সরকার তাঁকে মেয়রের দায়িত্ব নিতে দিচ্ছে না, আদালতের রায় থাকার পরও। এটা জনগণের সঙ্গে তামাশা।”
একইভাবে ষাটোর্ধ্ব কালাম হাজী বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলনে এসেছি, আর সরকার মশকরা করছে। আমরা এই অন্যায় সহ্য করবো না। দাবি না মানলে ঢাকা অচল করে দেব।”
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য মোহন বলেন, “ইশরাক হোসেন দায়িত্ব না পেলে নগর ভবনে কোনো কাজ হবে না। পাতাও নড়বে না যতদিন না তাঁকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
‘ঢাকাবাসী’ সংগঠনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায় নিয়েও নাটক শুরু করেছে। কিন্তু আমরা কোনো নাটকের ধার ধারি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
