ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (৩১ মে) জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনের দেরি মানেই জনরোষ। আর যদি কেউ গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে চায়, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
তিনি বলেন, একটি দেশে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, আর্মি মূল শক্তি নয়; বরং যেই জনগণ সরকারকে নির্বাচিত করে, তারাই মূল শক্তি। এই শক্তির ওপর ভিত্তি করে পুলিশ কাজ করে। যাদের শক্তির মাধ্যমে সরকার পরিচালিত হয়, সেই শক্তি যদি না থাকে তাহলে দেশ এগোয় না।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রায়ণ আনতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটি যে রাজনৈতিক দল অনুধাবন করতে পারবে না, সে দলের কোনো ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে নেই।
তিনি বলেন, এই দেশকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে, সবাইকে তাতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবাইকে আগামীর বাংলাদেশে সম্পৃক্ত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে। অনির্বাচিত সরকার কী করবে না করবে সেটির ধার ধারি না, কিন্তু আমার মাথাব্যথা হলো আমি বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার চাই।
খসরু বলেন, জাতি যেখানে সামনের দিকে যেতে চাচ্ছে সেখানে হাতে গোনা চার-পাঁচটি দল–এরা এখনও নিবন্ধিত নয়–বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই–তাদের জন্ম পাঁচই আগস্টের পর–নির্বাচিত দল ক্ষমতায় আসুক তারাই চায় না।
আওয়ামী লীগ শাসনামলের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লাখের বেশি মানুষ মামলার শিকার গত ১৫-১৬ বছরে। আমাদের সামনে জেলখানায় লোক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদেরও মৃত্যু হতে পারত, আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। যে গণতন্ত্রের জন্য জমি-সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মরেছে; সেই গণতন্ত্রকে যদি কেউ পথরুদ্ধ করতে চায়, এটি কি হতে পারে? একটি নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই হতে হবে। দেশের চলমান সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার পথ একটাই–নির্বাচিত সরকার ও সংসদ। দশ মাস পার হলেও সরকার এখনও অনেককে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি।
