৪-৫টি মোটরসাইকেলে এসে হাসনাতের গাড়িতে হামলা: পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর রবিবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটেছে ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসনাতের গাড়িতে আঘাত করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। তার হাতের কুনইয়ে জখম হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির পেছনে দৌঁড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসনাত বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটির ভেতরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আইইউটির সামনে শত শত ছাত্র জড়ো হন। এরই মধ্যে তিনি নিরাপদে ঢাকায় চলে যান। পরে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তারা।
ঘটনার পরপরই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ি গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশেপাশে যারা আছেন, হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন।’
মহানগরের বাসন থানার ওসি শাহীন খান বলেন, সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো একটি অনুষ্ঠান শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকায় ফিরছিলেন। তার গাড়ির পেছনে পেছনে ১০-১২ জন মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে থাকে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পার হওয়ার পর তার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে দুর্বৃত্তরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রবিউল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং অভিযানের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছি।
ডিসি রবিউল হাসান আরও জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় হামলার ঘটনা ঘটে। চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর রবিবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দলটি। তারা অভিযোগ করেছে, ‘এই হামলা করেছে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা।’
সংগঠনটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই মাসের ‘গণহত্যার’ সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
