শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অজানা ভালোবাসা

আপু! কী রে ওঠ না। কেন কী হয়েছে। তুমি না বলেছিলে আমাকে শপিং করতে নিয়ে যাবে। দূর! দেখছিস না বৃষ্টি হচ্ছে। একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে কী? কাছেই তো শপিং মল। চলো না আপু। তুই সরে যা, ঘুমাতে দে আমাকে। যদি আজকে না যাও তাহলে আগামীকাল আমার যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু কেন? কারণ পরশু আমার পরীক্ষা আছে।
মিথ্যা বলছিস।
মিথ্যা নয় আপু। সত্যি বলছি। তিন সত্যি।
ঠিক আছে, ঠিক আছে। যা রেডি হয়ে নে।
রাকা এবার একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সাদিয়া রাকার বড় বোন। সাদিয়া ভার্সিটিতে পড়ে। সবসময় খেয়াল রাখে সাদিয়া রাকার। কোনো সময় তাদের ঝগড়া হয় না। সেজন্য পরিবারে মা বাবা সবাই খুশি। তারা একসাথে সময় পার করে। তারা কত মজা করে।
তারা দুজনে রিকশা করে শপিং করতে গেল। রাকাকে অনেক কিছু কিনে দিল সাদিয়া। গায়ের পোশাক, জুতা সবই কিনে দিল। রাকা বললো আপু এবার আমার কিছু কসমেটিকস কিনতে হবে। সাদিয়া বললো ঠিক আছে। কসমেটিকস এর দোকানে গিয়ে রাকা অনেক কিছু কিনলো। চুরি, আংটি ও টিপ। সেফটি পিনের পাতাটা দেখতে দেখতেই হাত ফসকে দূরে থাকা একটা ছেলের গায়ে পড়লো। রাকা সাথে সাথে সাদিয়াকে বললো, আপু সেফটি পিনের পাতাটা ও-ই ছেলের গায়ে পড়েছে। সাদিয়া সাথে সাথে গিয়ে তাকে বললো, দুঃখিত আমার বোন বুঝতে পারে নি। প্লিজ তাকে মাফ করে দিন।
না,না ঠিক আছে। সমস্যা তো হতেই পারে। আর ও তো ছোট।
সেফটি পিনের পাতা নিয়ে এলো সাদিয়া আর
ধন্যবাদ বলে চলে গেল।
এসে রাকাকে বললো সাবধানে নাড়াচাড়া করতে পারিস না। ওতো দূরে কেন সেফটি পিন যায়।
সরি আপু। আমি বুঝতে পারি নি। সরি।
ঠিক আছে, ঠিক আছে। এবার বাসায় চল।
রাকা আর সাদিয়া রিকশা করে বাসায় আসে। রাকা নতুন সবকিছু পেয়ে কতো খুশি। বার বার মা ও বাবাকে দেখাতে লাগলো। দেখো এটা কিনেছি। ওটা কিনেছি। আর কতো কী!
পরদিন সকালে রিকশার জন্য দেরী করছিল সাদিয়া ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অনেকক্ষণ হলো কোনো রিকশা পাচ্ছে না। তাও সাদিয়া দেরী করতে লাগলো। তারপর একটা রিকশা আসতেই রিকশাতে তাড়াতাড়ি করে উঠতে লাগলো সাদিয়া। তখনই অপর পাশ থেকে একটা ছেলে তাড়াতাড়ি করে একই রিকশাতে উঠতে শুরু করেছে।
'কী হলো আমি আগে ডেকেছিলাম রিকশাকে?
আপনি উঠছেন কেন?
আমার খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে, সাদিয়া বললো।'
'আপু আমারও অনেক দেরী হয়ে গেছে। আমাকে একটু আগে যেতে দিন। তাছাড়া আমার পরীক্ষার দেরী হয়ে যাবে? ছেলেটি বললো।'
তারপর সাদিয়া ভালো করে খেয়াল করে দেখলো, এটা কালকের কসমেটিকসের দোকানের ছেলেটা না? যার গায়ে সেফটি পিন পড়েছিল। ভাবতে ভাবতেই ছেলেটি বললো আপনি কালকের ও-ই মেয়ে না? আপনার ছোট বোনকে নিয়ে শপিং করতে গিয়েছিলেন?
তারপর তারা চোখাচোখি হয়। দুজনেই হ্যা বললো। তারা দুজনেই ভাবতে লাগলো কী ব্যাপার কালকে দেখা আর আজকেও দেখা?
তারপর ছেলেটি বললো, আচ্ছা রিকশাতে আপনি যান, আমি পরে যাব নি।
কিন্তু আপনার পরীক্ষা আছে তো সাদিয়া বললো।
নাহ ঠিক আছে,আগে আপনি যান। ছেলেটি বললো।
'আসলে আপনি কিছু না মনে করলে আমরা দুজনেই কী রিকশায় উঠতে পারি? যদি আপনার সমস্যা না হয়। ছেলেটি বললো।'
সাদিয়া প্রথমে একটু ইতস্তত করতে লাগলো। তারপর ভাবলো আমারও ক্লাস আছে। তাছাড়া রিকশা পাচ্ছি না।
'আচ্ছা ঠিক আছে।' সাদিয়া বললো।
ছেলেটি বললো, আপনার ইচ্ছা। আর আমি খুব কাছেই নামবো।
ওকে ঠিক আছে। সাদিয়া বললো।
তারা দুজন রিকশায় উঠলো। একটু খানি যেতেই ছেলেটি বললো, আপনি কিসে পড়েন?
সাদিয়া বললো, ভার্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষ।
আপনি?
আমি মাস্টার্সে পড়ি।
ও আচ্ছা।
আপনার নাম কী? ছেলেটি বললো।
জ্বী আমার নাম সাদিয়া। আপনার?
আমার নাম দিগন্ত।
তাদের মধ্যে আরো কিছু কথা হল।
কিছুক্ষণ পর দিগন্ত তার ভার্সিটির কাছে আসলে রিকশাওয়ালাকে বললো, থামুন। আমি নামবো।
দিগন্ত নেমে গেল আর সাদিয়াকে বললো কিছু মনে করবেন না। আসলে রিকশা পাচ্ছিলাম না তো। তাই একই রিকশায় উঠতে বলেছিলাম।
না, কিছু মনে করি নি, সাদিয়া বললো।
আর হ্যা আমি ভাড়া দিলাম, আপনাকে দিতে হবে না।
সাদিয়া বললো,কেন আমি ভাড়া দিতে পারবো তো।আপনি আপনার ভাড়া দেন। তাছাড়া আমি এই টাকা কবে ফেরত দেবো?
দিগন্ত হেসে বললো। এই ঢাকা শহরে যদি কোনো দিন দেখা হয় তাহলে দিয়েন।
দিগন্ত চলে গেল। সাদিয়া অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
তারপর দিন দিনের মতো আর রাত রাতের মতো চলে যাচ্ছিল। নিত্যদিনের কাজকর্ম আগের মতোই চলতে লাগলো। সাদিয়া আর রাকা তাদের পরিবার নিয়ে অনেক খুশি। এমন পরিবার আর কতো জন পায়।
প্রায় দুই বছর পর সাদিয়া একটা জব খুজতে যায়। বিজ্ঞাপন দেখে খুজতে থাকে। একটা চাকরি করলে ভালো হতো। একটা বিল্ডিং এ পাঁচ তলা পর্যন্ত উঠে যাকে সামনে পেল তাকে বলতে লাগলো স্যারের রুমটা কোথায়? আমি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে এসেছি। ও আচ্ছা, আপনি সামনের রুমে যান।
স্যারের রুমে গিয়ে কথা বললো সাদিয়া। স্যার বললো মাস্টার্স কমপ্লিট থাকতে হবে। কিন্তু সাদিয়া মাস্টার্সে পড়ে কেবল। রুম থেকে চলে আসতেই সাদিয়া দেখলো, একজন উপরের তলায় যাচ্ছে।

আপনাকে আমার চেনাজানা মনে হচ্ছে। আগে কী কখনও দেখেছি নাকি? ছেলেটি বললো।
তারপর সাদিয়ারও চেনা চেনা মনে হতে লাগলো।
আপনি সেই দুই বছর আগে কসমেটিকস এর দোকানে দেখা মেয়েটা না? ছেলেটি বললো।
হ্যা, আপনি সেই না যার গায়ে সেফটি পিন পড়েছিল। সাদিয়া বললো।
হ্যা। আমি সেই। ছেলেটি বললো।
আপনার নাম দিগন্ত বলেছেন, তাই না।
কী আজব কথা। আপনি আমার নাম মনে রেখেছেন। কিন্তু আপনার নামটা যে কী বলেছেন, আমার মনে নেই। ছেলেটি বললো।
আমি সাদিয়া।
ওহ মনে পড়েছে। তা কী বললো স্যার। দিগন্ত বললো।
বললো স্নাতকোত্তর থাকতে হবে। সাদিয়া বললো।
আর আপনি এখন কীসে পড়েন?
'মাস্টার্সে'।
ও তাহলে যখন আবার সার্কুলার দিবে তখন আসবেন। মনে কিছু নিবেন না। এটা নিয়ম। আর আপনার মাস্টার্স শেষ হতে বেশি দিন বাকী নেই।
হ্যা,সাদিয়া বললো।
সাদিয়া এখান থেকে চলে গেল। সাদিয়ার বুঝতে বাকি রইল না দিগন্ত ভালো পদে চাকরি করে। তার পোশাক দেখে তাই মনে হচ্ছিল।
তারপর বাসায় এসে রাতে রাকাকে সবকিছু বললো।
রাকা বলে, আপু ভাইটা কতো ভালো তাই না।
কেন রে রাকা?
মানুষের ব্যবহার দেখেই তো বোঝা যায় সে ভালো নাকি মন্দ।
পাকা মেয়ে ভালো মন্দ শিখে গেছো। যা ঘুমা। সাদিয়া বললো।


সপ্তাহ খানেক পর সাদিয়া একটা পার্কে বসে আছে।সাদিয়ার মন খারাপ হলে সে এখানে এসে বসে থাকে। হঠাৎ দেখতে পায় দিগন্ত তার দিকে আসছে।
দিগন্ত বললো, সাদিয়া আপনাকে দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। ভাবলাম এটা আপনিই হবেন। তাই এখানে আসলাম।
অফিসের কাজে আসছিলেন বুঝি? সাদিয়া বললো।
হ্যা অফিসের কাজে। আর কাজ শেষে যেতেই আপনাকে দেখলাম। তাই এখানে আসলাম। দিগন্ত বললো।
তো আপনি এখানে বসে বসে কী করছেন? কেউ আসবে নাকি?
আরে নাহ! আসার মতো কোনো মানুষ নেই আমার। সাদিয়া বললো।
পাশ দিয়ে বাদামওয়ালা বলতে লাগলো বাদাম নিবেন? বাদাম।
দিগন্ত বাদাম কিনে সাদিয়াকে দিল। বললো খান।
বাদাম কেনার কী দরকার ছিল? সাদিয়া বললো।
নাহ! এমনি কিনছি।
দিগন্ত এমন হাসির কথা বলতে লাগলো, যা শুনে সাদিয়া হাসতেই লাগলো।
রাতে দিগন্তের বুঝতে বাকি রইলো না সাদিয়া কোনো সম্পর্ক করে না। মনে মনে এসব ভাবতে লাগলো দিগন্ত।
পরদিন সকালে আবারও তাদের দেখা। একটু কথা বলতেই কারা যেন এসে তাদের ধরে গাড়িতে তোলে। মুখ কাপড় দিয়ে বেধে দেয়। তারা দুজনে চিৎকার ও করতে পারলো না। অবশেষে একটা পার্কে নিয়ে যেয়ে তাদের মুখ খুললো। প্রায় সাতজনের মতো মানুষ। দিগন্ত আর সাদিয়াকে আলাদা আলাদাভাবে হাত বেধে রেখেছে। দিগন্ত বলতে লাগলো সাদিয়াকে ছেড়ে দেন। প্লিজ ছেড়ে দেন। সাদিয়ার কোনো দোষ নেই।
কালো মোটা মতো একটা লোক বললো, সাদিয়ার কোনো দোষ নেই? তাহলে সাদিয়ার সঙ্গে তোরো রাস্তায় ও পার্কে দেখা যায় কেন?
সাদিয়া আমার বন্ধুও না। শুধু কয়েকটি দিন ওর সাথে দেখা হয়েছিল আমার। প্লিজ ওকে ছেড়ে দিন। দিগন্ত বললো।
ও-ই লোকটি বললো, ছেড়ে দিবো। হাহা.........হা
তোর সামনেই এই মেয়েটিকে কেমন করে মারি দেখ?
দিগন্ত বললো আমাকে যত মারুন। আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সাদিয়াকে ছেড়ে দিন।
ছেড়ে দিব তোর প্রেমিকা বলে। হাহা........ হা। কালো
মোটা মতো লোকটি বললো।
সাদিয়া বললো, আপনার কারা? কেন আমাদের ধরে নিয়ে এসেছেন। কী চাই আপনাদের? কী দোষ করেছি আমরা?
তোর দোষ তুই দিগন্তের সঙ্গে মেলামেশা করিস? ও-ই লোকটি বললো।
ওর কোনো দোষ নেই। ওকে ছেড়ে দিন। দিগন্ত বলতেই থাকলো।
এখন সাদিয়া তোর দোষের কারণে তুই সাজা পাবি তা আবার দিগন্তের সামনে ও-ই লোকটি বললো?
তারপর ও-ই লোকটি বেল্ট দিয়ে সাদিয়াকে ইচ্ছামত মারতে থাকে।
সাদিয়া চিৎকার করতে থাকে। মারতে মারতে পুরো রক্তাক্ত হয়ে যায় সাদিয়া।
তবুও তাদের মন নরম হলো না।
এদিকে দিগন্ত চিৎকার করছে। সাদিয়াকে ছেড়ে দিন আপনারা। ওর কোনো দোষ নেই। দিগন্তেকে আরো দুজন এসে শক্তভাবে বেধে দেয়।
দিগন্তের সামনে সাদিয়া ছটফট করতে লাগলো। কিন্তু দিগন্ত কিছুই করতে পারলো না। নিজেকে ধিক্কার করতে লাগলো দিগন্ত।
শেষে একলোক ইট দিয়ে সজোরে মারে সাদিয়ার মাথায়। সাদিয়া সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে সবাই পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
সবাই চলে যাওয়ার পর দিগন্ত অনেক কষ্টে নিজের হাতের দড়ি খুলে ফেলে। তাড়াতাড়ি সাদিয়ার মাথা তুলে বার বার বলতে থাকে, সাদিয়া উঠুন। প্লিজ উঠুন। আর আমাকে মাফ করে দিন। সাদিয়া উঠুন বলে কাঁদতে লাগলো দিগন্ত। আর চিৎকার করতে লাগলো কেউ একটু সাহায্য করুন। সাদিয়াকে হাসপাতালে নিতে হবে।
সাদিয়ার অবস্থা মারাত্মক খারাপ। সাদিয়া কোনো কিছুই বলতে পারলো না। তারপর কয়েকজনের সাহায্যে সাদিয়াকে হাসপাতালে নিল দিগন্ত। সাদিয়ার ফোন থেকে সাদিয়ার মা বাবাকে ফোন দিল দিগন্ত । বললো হাসপাতালে আসুন সাদিয়ার অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করাতে হবে।
সাদিয়ার মা বাবা আর বোন এসে কান্নাকাটি করতে লাগলো। দিগন্তকে গালিগালাজ করতে লাগলো।দোষারোপ করতে লাগলো। বললো, তোমার জন্য এই অবস্থা হয়েছে আমার মেয়ের। তুমি চলে যাও।
দিগন্ত কিছু বললো না। শুধু চুপ করে থাকলো।
শেষে বাধ্য হয়ে চলে গেল। আর নিরবে কাঁদতে লাগলো।
দিগন্তের বুঝতে বাকি রইলো না। তার খালু এসব কাজ করেছে। সে তো গুন্ডা টাইপের লোক। তার অনেক ক্ষমতা। দিগন্তের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চায় খালু। কিন্তু দিগন্ত বিয়ে করবে না। এটাই মূল কারণ।
অপারেশনের পর সাদিয়ার মা বাবা সাদিয়াকে দেখতে যায়। বললো মা চিন্তা করিস না, তুই ঠিক হয়ে যাবি। কাঁদতে কাঁদতে তারা রুম থেকে বের হয়ে আসে।


আড়াল থেকে দিগন্ত সব দেখতে লাগলো। বাবা মায়ের সামনে যেয়ে বললো আমাকে একটু সাদিয়ার কাছে যেতে দিন। আপনারা যা বলবেন আমি তাই করবো। শুধুমাত্র একটি বার যেতে দিন।
সাদিয়ার বাবা দিগন্তকে থাপ্পড় মারে আর বলে তোমার জন্য আমার মেয়ের এই অবস্থা। আর ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছো। গালিগালাজ করে চলে যায় সাদিয়ার বাবা।
দিগন্ত কিছু না বলে চুপ করে রইলো। পরে সাদিয়ার মা এতো জোরাজোরি দেখে যাওয়ার অনুমতি দিল।
দিগন্ত দরজা খুলতেই দেখলো সাদিয়া বেডে শুয়ে আছে। কতো টা দূর্বল সাদিয়া। মাথায় ব্যান্ডেজ করা। কথা বলতে পারছে না।
দিগন্ত সাদিয়ার হাত ধরে বললো, আমি তোমাকে এতদিন ভালোবেসে ছিলাম কী না, জানি না। তবে আজ থেকে ভালোবাসবো আমি তোমায়। অজানা ভালোবাসা তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আর কোনো কষ্ট পেতে দেব না তোমায়। তোমার সব দায়িত্ব আমার। আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না। এসব বলে সাদিয়ার হাতটা ধরে কাঁদতেই থাকলো দিগন্ত।

 

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত