শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরিবর্তন 

দেশে পরিবর্তন এসেছে। এসেছে পরিবর্তন  মানুষের জীবনে। সমাজ পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে মানুষের জীবন। কত রংবে রঙের পরিবর্তন চারিদিকে। যার হিসাব করা কঠিন। শুধুই কঠিন না। যার হিসাব এখন আর কেউ করতেই চায় না। মুনির চৌধুরীর ভাষায় বলতে হয়, মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়। আসলে এই রঙিন দুনিয়ায় আমিও যে বদলে যেতে পারি, এ কথা ভুলেও কখনো ভাবিনি। সরল বিশ্বাস ছিল; আমি একদিন ফিরে আসবোই। কিন্তু কোন দিন আমার আর ফিরে আসা হলো না। রঙিন দুনিয়ায় আমিও রঙিন হয়ে ভুলেই গেছিলাম রুনা নামের কোন এক মেয়ের অস্তিত্ব আমার জীবনে কোনো একসময় ছিল। 
 
আমার সাথেই মেয়ে টি পড়াশোনা করতো। ক্লাস ওয়ান থেকে এসএসসি পর্যন্ত, পরে ওর আর পড়াশোনা করা হলো না। মেয়েটির আগ্রহ থাকলেও সে আর পড়াশোনা করতে পাড়লো না। তিন মাইল হেঁটে এসে বদর মাঝির ঘাট। ঘাট পার হয়ে ভ্যানে করে আরো মাইল পাঁচেক পাড়ি দিয়েই তবেই পেতাম একটা লক্কর জক্কর মার্কা ছেড়া টিনের হাই স্কুল ঘর। এখান থেকেই আশপাশ পনেরো থেকে বিশ গ্রামের ছেলে মেয়েরা এসএসসি পাশ করে। কলেজে পড়তে হলে সেই জেলা শহর ছাড়া আর কোন উপায় নেই । তাই এসএসসি পাশের পড় শতকরা প্রায় আশি থেকে নব্বই জন্য ছেলে মেয়ের পড়াশোনা থেমে যায়। অর্থাৎ এক থেকে দুইজন ছেলের কপালে জুটতো শহরের পড়াশোনা । আমার ব্যাচের একমাত্র আমিই কেবল কলেজে ভর্তি হওয়ার দুর্দান্ত সাহস যোগাড় করতে পেরেছিলাম। সেটা অবশ্যই আমার সাহস বললে ভুল হবে। সাহস টা ছিল রুনার। আমার যাবতীয় খরচ বহন করতো মেয়েটি। আমাকে ভালবাসার জন্য কত যে গঞ্জনা মেয়েটি সহ্য করেছে। সেটা ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানে না। কখনো মুখের ফাঁসা দিয়েও উচ্চারণ করে নাই। কারণ, আমি জানলে কষ্ট পাবো বলে। যাইহোক কোন এক সময় রুনার মা-বাবা আমাকে মেনে নেয়। রুনা খরচ দিলেও মাঝে মাঝে রুনার মা আমাকে খরচ পাঠাতো কাউকে না জানিয়ে, খুব গোপনে। আমিও চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতাম। এইচএসসি পাশের পড় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। জীবনে চলে আসে পরিবর্তন। সাদাকালো পৃথিবী হয়ে যায় রঙিন । আসমানি পর্দা নীল থেকে হয়ে যায় লাল । পৃথিবীর লোভ-লালসায় আমি মেতে উঠি । ভুলে যায় অতীত। হৃদয়ে ধারণ করা রুনা নামের স্মৃতির পাতার পর্দায় আধুনিকতার কালো ধুলো পরে আমার জীবন থেকে  হারিয়ে যায় গ্রামের সহজ সরল মেয়ে রুনা । রুনার জায়গায় জায়গা করে নেয় ঢাকার শহরের আলতা মডান বড়লোকের বেটি নিকৃষ্ট নিতম্বধারিণী ছলনাময়ী কল্পনা চৌধুরী সর্ণা । সর্ণা যে আমার জীবনে দুঃখের বন্যা দিয়ে চলে যাবে সে কথা কে জান তো ! তার আবেগময়ী কথায় আমি মেতে উঠি । পড়াশোনা শেষ করে আমি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করি  সাভার শাখায় । সোনালী ব্যাংকে যোগদান করার কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরে মন্ত্রণালয়ে একটি চাকরি হয় আমার কিন্তু সর্ণা যোগদান দিতে বাঁধা সৃষ্টি করে । এমন কাজ যে, কেনো করে ছিল তখন না বুঝলেও পরে অবশ্যই বুঝেছিলাম । আমাকে সর্ণা বুদ্ধি দিলো, আমার ব্যাংক থেকে সে ঋণ নিয়ে বড়  কোম্পানী খুলবে। তার সাথে তার বাবা মা ভাই কাজ করবে ।  কোম্পানী ভালো পজিশনে দাড়িয়ে গেলে আমাকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কোম্পানীর এমডি পদ নিতে হবে । আমি ওর কথায় রাজি হলাম না । কথায় আছে, রাজা শাসন করছে রাজ্য , রাজাকে শাসন করছে রানী । আমিও শাসিত হলাম আমার স্ত্রীর দ্বারা । অবশেষে কর্তৃর  ইচ্ছায় কর্ম হলো। কোম্পানী হলো, ঋণ পাশ হলো । সব হলো ।  একদিন বাড়ীতে এসে শুনি আমার স্ত্রী বিদেশে গেছে । সাথে তার বাপ-মা সবাই ।আমাকে ফাঁদে ফেলানো হয়েছে । পরে দেখি আমার নামে কারিকারি  টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে । অবশেষে সাংবাদিক লেগে গেলো আমার পিছে । আমার বিচার হলো, দশ বছর জেল । 
 
দশ বছর জেল খেটে আমি নিঃস্ব হয়ে কারাগার থেকে বের হলাম । কোথায়  যাবো । কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না । অতীতের কথা মনে পরে, নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতে লাগলো । কেমন যেন মনে হলো রুনার সাথে আমি অন্যায় করেছি । ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে । এরপরে বিদায় নিবো এই পৃথিবী নামক অযোগ্য কারাগার থেকে । জানি এতদিনে রুনা তার সংসার পেতে বসেছে । আমারই মত হয়তো সেও ভুলে গেছে যে, তার জীবনে শুফম নামের কোন একজন প্রেমিক পুরুষ ছিল। হয়তো গিয়ে দেখবো, সে তার বাচ্চা কাচ্চা স্বামীর সংসার নিয়ে খুব ব্যস্ত আছে । আমাকে আর  চিনতে পারছে না । অনেক কথা বলার পরে হয়তো চিনবে । 
 
গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । পশ্চিম আকাশে সূর্য রক্তিম লাল আভা নিয়ে ডুবে যাচ্ছে । গ্রামের মাটিতে পা রাখলাম । নির্মল মৃদু হাওয়ায় আমার হৃদয় জুড়ে গেলো । মনে হচ্ছে এই বুঝি আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম । আমি কৃষক শুফম, মাঠে থেকে কাজ সেরে বাড়ী ফিরছি  । আমার স্ত্রী রুনা আমার  গোসলের জন্য টিওবয়েল  থেকে পানি তুলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । কখন আসবে প্রাণের স্বামী, কখন আসবে প্রাণের স্বামী ! যাই হোক এসব আমার কল্পনা । যা আর কখনো বাস্তবে রূপ নেবে না । 
 
আমাদের সেই সালাসপুর গ্রাম আর সালাসপুর  নেই । তার বুকেও এসেছে পরিবর্তন । কাঁচা  মেঠো রাস্তা হয়ে গেছে পাকা । গ্রামে ছোঁনের ছাওনির ঘরের পরিবর্তে টিনের কিংবা বিল্ডিংয়ের ঘর উঠেছে । পরিবর্তন । সব পরিবর্তন । আমার পক্ষে আর আহমেদ আলির বাড়ী খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না । পথে অনেকের সাথে দেখা হলো , মনে হলো কেউ চিনতে পারে নি । চিনবে কেমনে ! সেই শুফম আর আজকের শুফমের মধ্যে রাত দিন তফাৎ । 
দূরে একটি ছোট্ট পিচ্চি  ছেলে দেখতে পেলাম, খেলা করছে । ওরে ডাক দিলাম । কাছে আসলো ও ।
আহমেদ আলির বাড়ি চেনো ? আমি ওরে জিজ্ঞাসা করলাম ।
কোন আহমেদ আলি ? পিচ্চি আমারে জিজ্ঞাসা করলো ।
আমি তো অবাক । এখন কী বলি ।
পাশ দিয়ে একজন মাঝ বয়সী মানুষ যাচ্ছিল । সে হয়তো আমাদের কথা ‍শুনতে পেয়েছে। ঐই পিচ্চির মাথায় থাপ্পর দিয়ে বলো, ব্যাংকারের বাড়ি নিয়ে যা । 
পিচ্চি আগে আগে আর আমি ওর পিছে পিছে চললাম ।
 
আহমেদ আলি আমার দাদা । আমার বাবা মা নৌকা ডুবিতে অনেক অনেক বছর আগেই মারা গেছেন  । বড় হয়েছি দাদার কাছেই । তিনিও মারা গেছেন আমি যখন কলেজে পড়ি। থাকার মধ্যে ছিল এক সৎ দাদী । জানি না তিনি কেমন আছেন । তার কাছেই যাচ্ছি । তার কাছ থেকে রুনাকে খুঁজে বের করে, রুনার ঠিকানায় গিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি নিবো অযোগ্য এই পৃথিবী থেকে । 
 
কিছু দূর হাঁটার পরে পিচ্চি আমাকে নিয়ে ডুকে পড়লো একটি বাড়ীতে । খালা খালা করে চিৎকার দিয়ে বাড়ীটাকে মাথায় করে তুললো ছেলেটি । তখন সন্ধ্যার আযান চারিদিকে কলরব সুরে পড়ছে । 
রান্নাঘরে রান্না ফেলে রেখে একটি মেয়ে বেরিয়ে এসে বললো , কীরে মধনা এত ডাকছিস কেন ? 
ছেলেটি আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বলো, দেখ তো কাকে নিয়ে এসেছি?
 
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি তার চোখের জল আর ধরে রাখতে পাড়লো না । পাহাড়ের বুক চিরে যেমন ঝর্ণার পানি পড়ে নদীর বুকে ঠিক তেমনি করে তার চোখের জল ঝরতে লাগলো । 
একটু কাছে তার এগিয়ে যেতেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কেঁদে উঠলো । পাশে দাড়িয়ে থাকা সেই পিচ্চি চিৎকার করে বলে উঠলো, রুনা খালার স্বামী শুফম ব্যাংকার বাড়ি ফিরছে, রুনা খালা তারে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে ।
আমিও আবেগ  ধরে রাখতে পারলাম না। দুচোখের জলে ভেসে হয়ে গেলাম একাকার ।
 
 
 
কবি ও গল্পকার 
পাবনা বাংলাদেশ 
 
ডিএসএস/ 
 
Header Ad

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় আজ শনিবারও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (৯ ঘণ্টা) কারফিউ শিথিল থাকবে।।

গতকাল শুক্রবারও এসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির দুই দিন ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখার ঘোষণা দেন। এর আগে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যান্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও তিনি জানান।

গত বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরপর ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করছে সরকার।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২০৯ জন নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি