শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাওয়াই মিঠাই প্রেম  

 নদীর বুকে প্রবাহমান স্রোতের মতো মানুষের জীবন। যখন সুখ আসে, দুঃখের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না, কিন্তু যখন দুঃখ আসে সুখের নিশানা পাওয়া যায় না। নদীর স্রোত এক সময় প্রবাহমান হতে হতে নদীর তীরের দেখা পায়, তেমনি মানুষ এক সময় দুঃখ অতিক্রম করে সুখের দেখা পায়

নানা প্রতিকূল পরস্থিতি পার করে আজ বেকার থেকে স্বাবলম্বী তাহমিদ। অনেক দুঃখ, কষ্ট অতিক্রম করে তার জীবনে কখনও প্রেম আসেনি। আর তার কাছে প্রেম মানে হাওয়াই মিঠাই। যত সময় মোড়কে থাকে সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু হাওয়া লাগলেই মিঠাই অদৃশ্য হয়ে যায়। যাইহোক, বাড়িতে এখন তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। কিন্তু তাহমিদের পছন্দ সবার থেকে অনেক আলাদা। নাটক, সিনেমায় সব ছেলেদের নজর থাকে নায়িকার ভূমিকায়, তার ভালো লাগে পার্শ্বনায়িকা চরিত্র অভিনীত বোন, বান্ধবীকে দেখে। সে এখন দোটানায় আছে আর ভাবছে এমন ঘটনা যদি বাস্তব জীবনে ঘটে। নিজের মাঝে ইস্ততবোধ করে সে পাত্রী দেখতে গেল। তার সাথে গেল জাভেদ, বশির, তমাল। পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছালে সবাই আন্তরিকতার সাথে অভ্যর্থনা জানায়। যখন পাত্রী আসলো, তাহমিদের ধারণা ঠিক সত্যি হলো। কে বিয়ের পাত্রী চিনতে পারছে না। কিন্তু তাহমিদ একজনকে পছন্দ করেছে। আর মনে মনে ভাবছে কে হতে পারে পাত্রী? পরে জানতে পারে সে যাকে পছন্দ করেছে সে পাত্রীর ছোট বোন। পাত্রীর নাম তানহা আর বোনের নাম তানিশা। তমাল বলছে, তাহমিদ এখন কি করবি? এখন আমরা যদি বলি পাত্রী পছন্দ হয় নি, তাহলে তুই পাত্রীর বোনকে বিয়ে করতে পারবি না। আর যদি বলি, পাত্রীর ছোট বোনকে পছন্দ হয়েছে তবে আমাদের সম্মান থাকবে না। হঠাৎ করে তাহমিদ পাত্রী পরিবারকে বলছে, পাত্রী আমার খুব পছন্দ হয়েছে। সবাই অবাক! পছন্দ করেছে কার আর বিয়ে করবে কার। তাহমিদ জাভেদের কানে কানে বলে, দোস্ত একটা বুদ্ধি আছে। তাই সে পাত্রী পরিবারকে বলে, আমি তানিশার সাথে একান্ত রেস্টুরেন্টে দেখা করতে চাই। তারা রাজি হয়ে গেল। তাহমিদ মনে মনে প্রার্থনা করছে তার পছন্দের তানিশা যেন তানহার সাথে যায় রেস্টুরেন্টে। তার প্রার্থনা সত্যি হলো। সেদিন রেস্টুরেন্টে তানিশা, তানহা আর তাদের কাজিন তৈশি যায়। আর তাহমিদের সাথে তমাল যায়। তারা খাবারের অর্ডার করে। তৈশি বলে, ভাইয়া আমার কাজিনকে বিয়ে করবেন অনুভূতি কেমন?
সে বলে, আসলে আমি এখানে আসতে বলেছি একটা কারণ আছে। তখন তানহা তাহমিদ কে উদ্দেশ্য করে বলে, শুনুন আমি খুব খুশি হয়েছি যে আপনি আমার সাথে দেখা করেছেন। সত্যি বলতে আমি একজনকে ভালোবাসি। আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না। আমাদের প্রেমের কথা আমার পরিবার জানে। কিন্তু জোর করে আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিতে চায়। আমাকে যদি আপনি এরপর বিয়ে করতে চান তাহলে আমি পালিয়ে যাব। হঠাৎ তাহমিদ চিৎকার করে উঠলো আর বলল, মাশাআল্লাহ। তার মুখে খুশি খুশি ভাব। সবাই অবাক সেদিন তানহাকে দেখে তাহমিদ পছন্দ করেছে আর এখন এমন কথা শুনে খুশি হতে দেখে। তখন তমাল বিষয়টা পরিষ্কার করে। আর বলে, আসলে সেদিন তানিশাকে দেখে তাহমিদ পছন্দ করেছিল। আমরা পরিকল্পনা করে তানিশার কথা বলব বলে রেস্টুরেন্টে আসতে বলি। তাহমিদ তানহাকে বলছে, আপনার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। কিন্তু আমার বিয়ে তানিশার সাথে যদি আমাকে দিতে পারেন। তখন তানহা তানিশার কাছে শুনে সে তাহমিদ কে বিয়ে করতে রাজি কি না? কিন্তু তানিশা রাজি হয়ে যায়। এখন সবাই খুশি। তৈশি একটা পরিকল্পনা করে। সে বলে আমার কথা মত সবাই কাজ করবেন। পরদিন তাহমিদ পাত্রীর বাড়িতে যায়। আর বলে আসলে সেদিন তানহার কথা সব শুনলাম। ওর প্রেমের সম্পর্ক আছে একটা ছেলের সাথে। আর আমারও পছন্দ আছে একটা মেয়েকে। তার কথা শুনে আর তানহার প্রমাণ দেখে তাদের বিয়ে হয় নি। সেদিন তাহমিদ এর সামনে তানহা একটা পিকচার দেখায়। সেখানে তাহমিদ বোরকা পরা একটা মেয়ের সাথে প্রেম করছে। এসব দেখে তানহা আর তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিয়ে হয়। আসল ঘটনা হলো সেদিন রেস্টুরেন্টে তানিশা বোরকা পরে তাহমিদ এর সাথে পিকচার তোলে। কিন্তু কেউ তানিশাকে চিনতে পারেনি। তাহমিদ, তৈশি আর তানহার প্রথম পরিকল্পনা সফল।


তারা দ্বিতীয় পরিকল্পনা শুরু করে। তানহার বিয়ের পর সে তার আব্বু আম্মুকে বলে, তাহমিদ সেদিন তানিশাকে পছন্দ করেছিল। তাই আমরা রেস্টুরেন্টে দেখা করে এসব পরিকল্পনা করি। তৈশির কথামত তাহমিদ তানিশার সাথে পিকচার তোলে। সে তানিশাকে বিয়ে করতে চাই। আর তানিশা বিয়ে করতে রাজি। তখন তার আব্বু বলে, তানহা যখন তার নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে তাহলে তানিশা কেন পারবে না? তাহমিদ আর তানিশার বিয়ে হবে। কিন্তু একটা শর্ত আছে। তানহা খুব চিন্তায় পড়েছে। কারণ তাহমিদ এর কথা রাখতে পারবে তো? তবু সাহস করে তানহা বলে, তাহমিদ সব শর্তে রাজি। শর্ত মতে তাদের বিয়ে হবে। বিয়ের দিন সেই শর্ত উপস্থাপন করে আর বলে বাবা তাহমিদ, তুমি তানিশাকে কতটা ভালোবাসো? তখন সে উত্তর দিল আকাশ সমান ভালোবাসি।

এই কথা শুনে কাজিন তানহা শর্ত হিসেবে একটা ধাঁধা ধরে আর বলে আকাশ ছুঁয়ে দেখান। তখন তাহমিদের মাথায় ঠা ঠা পড়লো। সে বোকা হয়ে গেল। আর ভাবছে আকাশ সমান ভালোবাসি বলে বিপদে পড়েছি তো। ঠিক তখন এক মহিলা আকাশ, আকাশ করে চিৎকার করছে। তার চিৎকার শুনে একটা বাচ্চা সাড়া দিল। তখন আর তাহমিদের বুঝতে দেরি হলো না। সে ঐ বাচ্চাকে ডাকে আর তার গায়ে হাত রেখে বলে আমার কত সৌভাগ্য যে আমি আকাশ ছুতে পেরেছি। সবাই অনেক খুশি। অবশেষে তাহমিদ ধাঁধার উত্তর দিতে পেরেছে। অতঃপর তাহমিদ আর তানিশার বিবাহ সম্পন্ন হয়। এভাবে তাহমিদ এর হাওয়াই মিঠাই প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটে।

 

ডিএসএস/ 



Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।

৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা । ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল। তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা । ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতী সংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের  অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ ও দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ, এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ ও দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৩ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ।

বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার

ফাইল ছবি

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এসব নেতাদের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় দলটি।

প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ

নিহত সিফাত। ছবি: সংগৃহীত

প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পর প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নরসিংদীর শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

মৃত্যুর আগে এক দীর্ঘ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন একসঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধুও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না। বেঁচে থেকে আর কি হবে, যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।’

সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো একসঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো একসঙ্গে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করল। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে, ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্যদিকে আমার তানহা শেষ, আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবারও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেইলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম, বাস্তবে তা হলো না। তাই আমার মৃত্যুর পর তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙ্গুররে মারছি শুধু একটা কারণে, হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিল। ভালো থাকুক আঙ্গুর আর আঙ্গুরের পরিবার।’

সিফাতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো। এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস