শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রথম ভালোবাসা ও মনের অনুভূতি

কৈশোরকাল মানুষের জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ সেইসময়ের স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যায়না। কৈশোরের সোনালী দিনের স্মৃতিগুলো স্মরণ করে, একজন মানুষ তার জীবনের বাকি সময়টুকু অতিবাহিত করে সুখে কিংবা দুঃখ অন্তরে রোপণ করে। কৈশোরের সেই সোনালী দিনের স্মৃতিগুলোর মাঝে একটি স্মৃতি জর্জরিত সেটি হচ্ছে প্রথম প্রেম বা ভালোবাসা যা কেউই ভুলতে পারেনা। (বিশেষ করে ছেলেরা)

ভালোবাসা মানেই সমর্পণ ভালোবাসা মানেই বিসর্জন। ভালোবাসা মানে শুধু দেহের বা রুপের আকর্ষণ নয়, ভালোবাসা মানে সম্মান,শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভরসা। একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। আমি এই কথা বললাম কারণ আমাদের বর্তমানের ভালোবাসা মানে শুধুই যে দেহের লালসা আর কিছু নয়। কিন্ত তাবলে যে সত্যিকারের ভালোবাসা তৈরি হয়না এই কথা আমি বলবনা কারণ আমার প্রেমের ঘটনা শুনে আপনারা এমনিতেই বুঝতে পারবেন যে সত্যি কারের অর্থে ভালোবাসা কাকে বলে।

সময়টা ঠিক ২০১৬ সাল আমি নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো, এককথায় স্কলার ছিলাম। গত কয়েক দিন আগে অষ্টম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় আমি আমাদের জেলার মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছি। কিন্ত হঠাৎ আমার বাবার অপসারণের কারণে আমাদের ও তার সঙ্গে যেতে হলো। আমার ফলাফল ভালো হবার কারণে সহজেই ভালো স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার ফলাফল যেহেতু ভালো সেই হিসেবে আমি নতুন স্কুলে প্রথম স্থান অর্জন করি। ঠিক আমার পরে যার স্থান সেও খুব মেধাবী তার চেহারা মনমুগ্ধময় আমার জন্যে যে তার প্রথম স্থান অর্জন  করা হলোনা তাহ একটু
রাগ করেছে আমার ওপর, ওর চেহারাটা দেখেই বুঝলাম। আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত শ্রেণী কার্য পরিচালনা করা হতো। তাই আমরা আমাদের পঠ্য বইতেই বেশি মনোযোগ দিতাম। আমার ওকে অনেক ভালো লাগতো কিন্তু ওকে বলবার সাহস আমার ছিলনা।

আমার পড়াশোনা খুব ভালোভাবেই চলছিল কিন্ত আমার অংকে কিছু সমস্যা দেখা দিল তাই আব্বু নিজের এক বন্ধুর বাসায় অংকের টিউশন ঠিক করলেন। আমিও সেই টিউশনে প্রতিদিন যেতে লাগলাম কিছুদিনের মধ্যেই আমার অংকের সমস্যা আর দেখা দিল না এবং সকল অংকের সমাধান সহজে এবং দ্রুত করায় আমি খানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করলাম এবং গর্বের পাত্র হয়ে গেলাম। আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো যখন টিউশনে আসল মিম যাকে আমি নিজের মনের ভেতর জায়গা দিয়ে ফেলেছি। আমার প্রশংসা শয়ন করে ওর রাগ আরো বেড়ে গেল। আমি একদিন ওর কাছে থেকে একটা কলম চাই ও আমাকে কলমটা তো দিলোইনা বরং অপমান করে বলল 'তুমি আমার শত্রু, তুমি এখানে থেকে যাও তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছে না” আমার মনে হলো যাকে আমি মনে মনে পছন্দ
করি ও কেমনে আমার সাথে এইভাবে কথা বলতে পারে। আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল সেদিন। পরবর্তী দিনে আমি আর ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করিনা। আমার বন্ধুর নাম আহসান সে আমার প্রকৃত বন্ধু ওর সাথে আমি আমার পছন্দের কথা ভাগাভাগি করেছিলাম তাই ও আমার অপমানের কথা শুনে মিমকে গিয়ে বলল, তুমি যাকে অপমান করেছ সে তোমাকে ভালোবাসে তাই তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু তুমি ওকে অপমান করেছ। আর ও কখনো তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করবেনা, ওর পক্ষ হয়ে আমি তোমাকে স্যরি বলতে এসেছি। আহসানের কথা শুনে ও মনে মনে কষ্ট পেলো। পরেরদিন স্কুলে প্রথম সে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত আমি ওর সাথে কথা বললাম না চলে গেলাম বাসায়। একটু পরে টিউশনে গেলাম এখানে মিম আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্ত আমি ওকে উপেক্ষা করছি এক সময় মিম ও বিরক্ত হয়ে আর কথা বললো না। আমি মনে করলাম ও হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তাই কথা বলার চেষ্টা করছে। পরবর্তী সময়ে আমি আমার স্কুল লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ছি হঠাৎ মাহি (মিমের বান্ধবী) এসে বললো যে মিমের  এক অটোরিকশা এসে মেরে দিয়েছে, আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল এই খবরটি শুনবার পরে দৌড়ে গেলাম হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর বাম পায়ে ও কোমরের দিকে ব্যান্ডিস লাগানো। মিম পুরো দুদিন অজ্ঞান ছিলো আমিও এই দুদিন ওর কাছেই ছিলাম।

তাই আচ্ছা এই নাও আই লাভ ইউ ভেরি ভেরি মাচ বলে দিলাম। মিম অসুস্থ অবস্থায় মনে হয় লজ্জা পেয়েছে। অতঃপর কিছু দিন পর ও সুস্থ হয়ে গেল এবং আমি ওকে নিয়ে প্রথম বার বেড়াতে বের হলাম ওকে আমি রমনা পার্কে নিয়ে গেলাম এবং অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালাম। অবশেষে সন্ধ্যা ৬ টায় ওকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার সময় মিম আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো - 'তুমি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েগেছো।' আর আমিও ওকে বললাম যে আমি তোমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েছি কিন্ত তুমি যে আমার জীবন হয়ে গেছো। এই কথা শুনে আমরা
দুজনেই দুজনের সামলাতে না পেরে প্রথম আমরা চুম্বন করি আর এইভাবেই ৪ বছরের সম্পর্ক এখনো আমরা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ওকে বাড়িতে রেখে আমিও আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। (আমার নাম হচ্ছে ইসমাহল আপনাদের বলাই হয়নি)। এইভাবেই, আমার প্রথম ভালোবাসা আমার মনে জাগ্রত হয়ে আছে এবং আমার অন্তরে সুগন্ধির ন্যায় ছড়িয়ে আছে।

আমার জীবনের প্রথম প্রেম এইটা আমার কাছে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। আমাদের তথা মিম ও ইসমাইলের ভালোবাসা আস্তে আস্তে এক অনন্য রুপ ধারণ করে। আমরা একে ওপরের সাথে কথা বলার জন্য সবসম্য চেষ্টা করি। কন্ত আমাদের সামনে যে বোর্ড পরীক্ষা এটাও আমাদের মনে ছিল এবং আমরা ভালোবাসার সাথে সাথে পড়াশোনা করে খুব ভালো ফলাফল অর্জন করি। তাই আমার জীবনের এই মুহূর্তটা উপভোগ করে আমি ভালোবাসার এক নতুন রুপ দিতে চাই তা হলো-

মনে কষ্ট বুকে ব্যথা,
চোখের জল ফেলতে মানা
হাজার কষ্ট চেপেও হাসা,
তাকেই বলে সত্যিকারের ভালোবাসা।

ভালোবাসার গল্পে আমার সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল আমার বন্ধু আহসান শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয় আমাদের দেশে ভালোবাসা অর্জনের পেছনে একটা বন্ধুর অবদান অবশ্যই থাকবে আবার একটা সুন্দর ও মনোরম ভালোবাসার সম্পর্ক বিচ্ছেদের পেছনেও একজন বন্ধুরই হাত থাকে তাহলে আমাদের উচিত একজন প্রকৃত বন্ধু খুঁজে বের করা যে আপনাকে সহযোগিতা করব, আপনার দুর্বলতার ফয়দা নিবে না। তাই আমার কাছে মনে হয় যে দ্বিধাহীন ভালোবাসা মূল্যহীন কারণ দ্বিধা না থাকলে ভালোবাসা কখনোই সার্থকতা লাভ করতে পারে না। অবশেষে আমি এইটা বলছি যে ভালোবাসা সহজেই কেউ পেয়ে যায় তাহলে এই ভালোবাসা তার কাছে সস্তা এবং মূল্যহীন।

কাছে আসাই শুধু ভালোবাসা না ভালোবাসা মানে দূরে থেকেও মে সবসময় কাছে থাকবে এবং সর্বদা মনে জাগ্রত থাকবে এইভাবে আমরা ভালোবাসব এবং ভালোবাসার আসল অর্থ জানার চেষ্টা করব আর সবচেয়ে বড় কথা কাউকে ভালোবাসতে সাহায্য করব আমার বন্ধু আহসানের মতো তাহলে এই পৃথিবী ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার

আবু সাঈদের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। আবু সাঈদের মা-বাবা ও ভাই শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু সাঈদের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার, পরিবারের দায়-দায়িত্বসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আবু সাঈদ একাই দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। অভাবের সংসারে অন্য ভাইবোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও আবু সাঈদ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে।

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ জনের প্রতিনিধিদল। সেখানে প্রায় ২০মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যান তারা।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ককে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ‘অধিকতর নিরাপত্তার’ জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি, একদমই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা খবর পেয়ে চলে এসেছি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এখানে এসেছি তখন এখানকার অফিস প্রধান (ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ) ভেতরেই ছিলেন, তাকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাদেরকে অফিসের ভেতর থেকে বলা হয়েছিল উনার গাড়ি থামিয়ে কথা বলতে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে, কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে আছে কি না সেই খবর আমরা কারও গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করব কেন? এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে পুরো বিষয়টা স্বচ্ছ থাকবে। কেন, কী হয়েছে আমাদেরকে বলা হবে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ছাত্রদেরকে নিরাপত্তার কথা বলে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ডিবি হেফাজতে কেন? পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল না কেন? একজন মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে তার পরিবার। নিরাপত্তা যদি দিতে হয় তাহলে তার বাসার আশেপাশে নিরাপত্তা দেওয়া হোক, তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ১২ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম।

এ ছাড়া আরও ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।

অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!

ম্যাথিউ ডসন। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের এবারের আসর বসেছে প্যারিসে। অলিম্পিকে খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন বিশ্বের অসংখ্য ক্রীড়াবিদ। অলিম্পিকে অংশ নিতে প্রত্যেকেই সর্বোচ্চটা নিঙরে দেন। তবে ম্যাথিউ ডসন যা করেছেন, তা সহজে কেউ করতে পারবেন না। 

অনুশীলনের সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের খেলোয়াড় ম্যাথিউ ডউসন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শের পর তিনি জানতে পারেন, চোট সারতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু দলের সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিকে যোগ দেয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন ডসন। সেজন্য আঙুলটাই কেটে ফেলেছেন তিনি।

নিজ দেশে অলিম্পিকের প্রস্তুতির সময় ডসনের ডান হাতে হকি স্টিকের আঘাত লাগে। সেই আঘাতে তার একটি আঙুলের অংশ ভেঙে যায়। চিকিৎসার উদ্দেশে প্লাস্টিক সার্জনের শরণাপন্ন হলে ডসনকে তিনি জানান, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন মিলিয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে অলিম্পিক খেলার আশা বাদ দিয়ে দিতে হতো ডসনকে।

অলিম্পিক খেলার জন্য মরিয়া থাকা অস্ট্রেলিয়ার এই হকি খেলোয়াড় চিকিৎসকদের পরামর্শে আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে দশ দিনের মধ্যে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।

এবারই যে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে খেলছেন ডসন তা নয়। এর আগেও দুইবার অংশ নিয়েছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে জিতেছেন রুপাও।

ঝুঁকি নিয়ে কেনো আঙুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ডসন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ অলিম্পিক হতে পারে। আমার এখনো নিজের সেরাটা দেয়ার আছে, এবার সেই চেষ্টাই করব। এ জন্য যদি আঙুলের অগ্রভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, সেটাই হোক।’

অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ কলিন বাচ ডসনের এমন কাণ্ডে বেশ অবাকই হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সে অলিম্পিকে খেলতে মরিয়া। আমি জানি না, ওর জায়গায় থাকলে আমি এমনটা করতাম কি না। কিন্তু সে করেছে।’ সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার
সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন
অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!
ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
চলতি সপ্তাহে খুলতে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
রোববার থেকে মঙ্গলবার অফিস ৯টা-৩টা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন ববিতা
অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ