শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ | ৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নষ্ট প্রেমের দহন

নাজনীনের অস্থিরতা বেড়েই চলছে। কোনভাবেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছেনা।একটা অশুভ চিন্তা তার মনের কোনায় বারবার হানা দিয়ে যায়।মনের সাথে যুদ্ধ করে সে। এ কি করে সম্ভব? এমনটি সে ভাবতেই পারে না! তাহলে আকাশের মোবাইল ফোনটা বন্ধ কেন?এরই মাঝে আকাশের বন্ধু, অফিসের বস,যাদের সাথে ঘনিষ্টতা রয়েছে আকাশের, সকলকেই ফোন করেছে নাজনীন। কেউ তার হদিস বলতে পারছেনা ওর কাছের বন্ধুদের মধ্যে আবির, দুর্জয় ওরাও বর্তমান অবস্থান জানে না। মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়ার আগের বিকেলে নাকি দুর্জয়ের সাথে ছিল,রাতে ঘুমায় বন্ধুর বাসায়। শেষ রাতের দিকে উঠেই কাউকে না জানিয়ে চলে যায় আকাশ। তারপর থেকে ফোন বন্ধ। অল্প কিছুক্ষণ হলো নাজনীন মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরেছে। এই সময়েই ফোনটা আসে। কথাটা শুনেই স্তব্ধ হয়ে থাকে অনেকক্ষণ। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। এ যে হতেই পারে না! কিন্তু রোদেলার স্বামী স্পষ্ট করেই বলে দিল। আপু তোমার স্বামী আমার বউকে নিয়ে চলে গেছে।

গত তিন দিন থেকেই আকাশের মোবাইল ফোন বন্ধ। নাজনীন প্রথমেই ফোন করেছিল আকাশের অফিসে। তার বস জানিয়ে দিল সে গত বেশ ক'দিন অফিসে আসছে না। অফিস থেকে উল্টো জানতে চায়, আকাশের কি হয়েছে? অফিসকে না জানিয়ে , ছুটি ছাড়াই সে সপ্তাহ খানেক অফিসে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে নাজনীন কিছুই ভাবতে পারে না। কেন এমন হবে? সে ত কোন ভাবেই অপূর্ণ রাখেনি আকাশকে। তাদের সংসারে ভালবাসার অভাব ছিলনা কখনোই। চাঁদের আলোর মতো দু'টি কন্যা নাজনীনে'র কোল আলো করে আসে। ভালবাসার চির বন্ধনকে অটুট রাখতে। সাজানো সুখের সংসার কালবৈশাখী ঝড়ে সব এলোমেলো করে দেয়।নাজনীনের দুগাল বেয়ে অশ্রু ঝড়ে। হাজার পাওয়ারের বাতি ঢিপঢিপ করে জ্বলতে থাকে দুচোখের তারায়। টর্নেডোর আওয়াজ শুনে হাজার মাইল জুড়ে। ছোট মেয়েটি কোলে এসে জড়িয়ে ধরে। কি হয়েছে মা? তুমি কাঁদছ কেন? তুমাকে কে বকেছে মা? আমাকে বলো, বাবা বাড়ী এলে, যে তোমাকে বকেছে তাকে মারতে বলবো। মৃত্তিকার আদো আদো বুলে এই কথাগুলি আরো বেশি আঘাত করে নাজনীনকে।

সে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে না। এমন সময় গেটে কলিং বেল বেজে উঠে। উঠে গিয়ে গেট খুলে দেখে শাওলি। স্কুল ড্রেস পরা মেয়েকে আজ খুব আহলাদি মনে হয়। কাঁধে স্কুল ব্যাগ ঝুলিয়ে, হেলতে দুলতে উঠে যায় দু'তলায়। শাওলি রুমে ঢুকেই স্কুল ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেয় খাটের উপর। ড্রয়িং রুমের সোফায় একটু বসার পর বাথ রুমে যায় ফ্রেস হতে। বেরিয়ে এসে হাত-মুখ মুছতে মুছতে বলে: আম্মু ভাত দাও, প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। নাজনীন এবার মুখ তুলে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে: রান্না করিনি মা। ফ্রিজে খাবার আছে এখন বের করে খেয়ে নাও। মায়ের মুখের দিকে চেয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় শাওলি। একি চেহারা মায়ের? আলুথালু বেশ,এলো চুল,চোক দুটি লাল জবা ফুলের মতো। দুগাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে নামছে অনর্গল। শাওলি অবাক হয়ে এগিয়ে যায় মায়ের কাছে।মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, কি হয়েছে মা? গভীর কান্নায় কন্ঠ রোধ হয়ে আছে নাজনীনের। অস্পষ্ট স্বরে বলে তোমাদের কপাল পুড়েছে মা। তুমার বাবা তোমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমার পৃথিবী জুড়ে গভীর অমানিশার অন্ধকার।

সেদিনের সেই সন্ধায় আকাশ নিজেকে আবিষ্কার করে ভিন্ন মাত্রায়! সেকি কখনো এইভাবে কল্পনা করেছে রোদেলাকে? নাজনীনের দুর সম্পর্কের আত্মীয় রোদেলা। ছোট বেলা থেকেই রোদেলা মানুষ হয়েছে তাদের কাছে।আপন ছোট বোনের মতোই এই সংসারে বেড়ে উঠেছে রোদেলা। আকাশ-রোদেলা, দু'জনই মানসিকভাবে কখনো ভাবেনিঃ ভিন্ন কিছু। রোদেলার পড়ালেখা শেষ হতেই আকাশ একটি সুপাত্রের সন্ধান করতে থাকে। একটি ভাল ছেলে পেয়ে যায়। বেশ ঘটা করেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রোদেলার বিয়েতে প্রচুর খরচ করে আকাশ। সোনা,গয়না, ফার্নিচার থেকে শুরু করে বেশ কয়েক হাজার মানুষকে দাওয়াত করেন। বেস আনন্দ ঘণ পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সমস্যা তৈরি হয় রোদেলাকে শশুর বাড়ী তুলে নেওয়ার পরে। স্ত্রী, সন্তান,মা, ভাই-বোন সব থাকার পরও আকাশের সবকিছুই শূন্য মনে হচ্ছিল! আকাশ ভাবে, কেন এমন হবে? তাদের মাঝেতো কোনরূপ অপবিত্র সম্পর্ক ছিল না। একসাথে থাকা-খাওয়া,হাসি-আনন্দ, জীবনের সবকিছুই ভাগ করা ছিল। কিন্তু তারা কেউ ভিন্ন চিন্তা করেনি পরস্পরকে ঘিরে। কিন্তু জীবন যখনি আলাদা, তখন কেন এমনি হচ্ছে? রোদেলা যাওয়ার পর থেকে, আকাশের জীবনে শূন্য অনুভুতি নেমে আসে। সংসার, কাজ, বন্ধু,আড্ডা,রাজনীতি সবকিছুই মনে হয়ে অর্থহীন।

সেদিন অফিসে যাওয়ার পথে নাজনীন আকাশকে বলে দেয়, রোদেলা শশুর বাড়ী গেল একমাস পার হয়ে গেল।কোন খবর নেই! ফোন করলেও অল্প কথা বলে। আজ অফিস থেকে ফেরার পথে, একটু খোঁজ নিয়ে এসো। ওদের বলে এসো আগামী সোমবার আসতে। ১০ ফেব্রুয়ারি শাওলির জন্মদিন। তোমার মনে আছেতো মেয়ের জন্মদিনের কথা? আকাশ চোখ তুলে বলে, মেয়ে আমার আর মনে করিয়ে দিবে তুমি! তারপর বলে ঠিক আছে আমি অফিস থেকে ফেরার পথে ওদের বলে আসব। আকাশ একটু আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যায়। লোকাল বাসে করেই চলে যায় রোদেলার শশুর বাড়ী। দরজায় কলিংবেল বাজাতেই, রোদেলা দরজা খুলে দেয়। আকাশকে দেখে রোদেলা বলে ভাইয়া! তুমি? আমার কথা মনে পড়লো তোমার? রোদেলার সাথে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসে আকাশ। রেদেলাকে দেখে অবাক হয় আকাশ! একি চেহারা হয়েছে মেয়েটার? এই ক'দিনেই চোখ,মুখ বসে গেছে। গায়ের রং কালো হয়ে গেছে, শুকিয়ে কঙ্কাল। সামনে বসা রোদেলাকে প্রশ্ন করে আকাশ, একি অবস্থা তোমার? রোদেলা উত্তর দেয়ার আগেই ওর শাশুড়ী ঢুকে যায়। সেই বলে: কেমন আছ বাবা? রোদেলাকে নিয়ে আমরা খুব বিপদে: আকাশ উদ্বিগ্ন স্বরে বলে কেন, কি হয়েছে? দেখ বাবা: তোমাদের বাড়ী থেকে আসার পর থেকেই সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকে। কিছু খেতে চায় না,কারো সাথে তেমন কথাও বলে না, রাতে নাকি ঘুমায় না! এখন কি করবো বল তো? আকাশ রোদেলাকে উদ্দেশ্য করে বলে : এসব কি রোদেলা! কি হয়েছে তোমার? মাথা নিচু করে উত্তর দেয় রোদেলা, আমার কিছুই ভাল লাগেনা ভাইয়া।
এসময় চাই, নাস্তা নিয়ে আসে কাজের বোয়া। রোদেলার শাশুড়ী কে আকাশ বলে, রোদেলাকে তার আপু আগামী সোমবার যেতে বলেছে, শাউলির জন্মদিন। রোদেলা বলে, আমাকে আজকে নিয়ে যাও। আমার বাড়ী যেতে খুব ইচ্ছে করছে। রোদেলাকে সমর্থন করে তার শাশুড়ী বলে তাই করো বাবা। ওকে নিয়ে গিয়ে দেখ, জায়গাবদল হলে হয়ত-তার শারিরীক, মানসিক পরিবর্তন আসতে পারে।
আধ ঘন্টার মধ্যেই রোদেলা প্রস্তুত হয়ে আসে। বাসার গেট পার হতেই ওদের বুকের পাথর নেমে যায়। আকাশের মনে হয়, কি যেন ফিরে পেল সে। অল্প সময়েই পাল্টে যায় রোদেলা। কথা বলতে শুরু করে অনর্গল। সিএনজি ধরেই তারা বাসায় ফিরে। রাতেই রোদেলাকে পেয়ে নাজনীন,শাওলির আনন্দ যেন আর ধরে না। একমাস পরে এই বাড়ীতে যেন প্রাণ ফিরে আসে।

এই কটা দিন বেশ আনন্দেই কেটে যায়। শাউলির জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হলো দুই দিন। আজ রোদেলার বর এসেছে তাকে নিয়ে যেতে। আবারো অন্ধকার ঘণিয়ে আসে দু'জনের। এই ক'দিনে নতুন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সে দি ন শাওলি স্কুলে, মৃত্তিকাকে নিয়ে কিন্ডার গার্ডেনে গিয়েছে নাজনীন। নিরিবিলি বাসায় রোদেলা-আকাশ। চা নিয়ে ড্রয়িং রুমে আসে রোদেলা। আকাশের সামনে চা দিয়ে পাশেই বসে। মাথা নিচু করে কাচুমাচু করে বলে, ভাইয়া তোমাকে ছেড়ে থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। রোদেলার কথায় বাধ ভেঙ্গে যায় আকাশের। কিছুক্ষণ রোদেলার দিকে চেয়ে থাকে। তারপর কাছে টেনে নেয়। এবার আকাশের বুকে গড়িয়ে পরে রোদেলা।

আকাশ বলে, তোকে ছাড়া আমার পৃথিবী যে অন্ধকার! তারপর বাধভাঙ্গা জোয়ার, যা কল্পনা করা যায় না, তাই ঘটে যায়। ঘন্টা খানেক পরে ওরা ফিরে আসে আপন সত্তায়। কিন্তু ততক্ষণে ওরা অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা। পাল্টে যায় সম্পর্কের গন্ডি। এই কদিনে বেশ ক'বার একাকিত্বে সময় কাটিয়েছে ওরা দুইজন। তারা যেন হাজার বছরের চেনা। প্রেমিক প্রেমিকা!

আজ স্বামীর সাথে চলে যায় রোদেলা। আবার শুরু হয় অস্থিরতা।ওদিকে রোদেলা, এদিক আকাশ একই অবস্থা।রাতে মোবাইলে কথা হয়ে ঘন্টা ধরে। বাড়তে থাকে অস্থিরতা। রোদেলা-আকাশ ছাড়া কেউ আঁচ করতে পারে না। দুই জীবন দুই দিকে গুমরে গুমরে মরে। কাউকে বলতেও পারে না। সমাজ,সংসার, সামাজিক অবস্থান তাদের বুকে পাথর চাপা দেয়। সময়ের চাকা ঘুরে। বাড়তে থাকে অস্থিরতা, কষ্ট। বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব মনে হয় ওদের কাছে। তখনই ঘটে চুড়ান্ত দুর্ঘটনা।
প্রতি রাত আর দিনের আলোয় নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করে, অশুভ প্রেমের পরিণতি। জীবনের গতি অনিশ্চয়তায় মুঁছে যেতে থাকে। আগামীর নতুন পৃথিবী ওদের ডাক দিয়ে যায়। ঠিকানা বিহীন এক যাত্রা পথের মাত্রা নির্দেশ করে।
মোবাইলে কথা হয়েছিল রাতেই। খুব ভোরেই পালিয়ে যায় ওরা। চেনা পৃথিবীর গন্ডি ছেড়ে হারিয়ে যায় ওরা। সকল বাধা পিছনে ফেলে, ছুটে চলে অজানার ঠিকানায়। যেখানে কেউ তাদের চিনবে না কোন প্রশ্ন করবে না। বন্ধনহীন জীবনে নতুন বাঁধনে জড়িয়ে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলন। এই সম্মেলনে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য নেতারা। বাংলাদেশ সরকার ভারতকে চিঠি দিয়ে ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব করেছিল বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তবে, হিন্দুস্তান টাইমসের বরাত দিয়ে তিনটি সূত্র জানিয়েছে যে, ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন সদস্য প্রতিনিয়ত ভারতের সমালোচনা করছেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।

একটি সূত্র উল্লেখ করেছে, সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা একাধিকবার একে অপরের সামনে আসবেন, তাই হয়তো ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে কথাবার্তা হতে পারে, তবে তা আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে না।

২ থেকে ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তোলার কারণে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও ভারত এখনো কোনো জবাব দেয়নি, যা সম্পর্কের অবনতিতে প্রভাব ফেলছে।

Header Ad
Header Ad

রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার রাত ১টার মধ্যে দেশের ৯ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

যে অঞ্চলগুলোতে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হলো: রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে এবং মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

এতে করে সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতে সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আগামী রবিবারের পর থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান

ছবি: সংগৃহীত

আজ (২১ মার্চ) পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান। বছরের এই দিনটিকে বলা হয় ‘ভারনাল ইকুইনক্স’। এ দিন সূর্য ঠিক বিষুবরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়, যার ফলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ও রাতের ব্যাপ্তি সমান হয়ে থাকে।

পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারামুখী হয়ে সবসময় কক্ষপথের সঙ্গে ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। অপরদিকে, নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার সমতল কক্ষপথের সঙ্গে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এর ফলেই প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।

২০ মার্চ সূর্য তার দক্ষিণ গোলার্ধের অবস্থান শেষ করে উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রা শুরু করে এবং রাতের শেষের দিকে বিষুবরেখার ওপর অবস্থান নেয়। তাই পরের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে দিন ও রাত সমান থাকে।

আগামীকাল থেকে সূর্য উত্তর গোলার্ধের দিকে সরে যেতে শুরু করবে এবং এ কারণে উত্তর গোলার্ধে গরমের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কমতে থাকবে। এই পরিবর্তন চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত, যেদিন উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ দিন এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাত ঘটে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল
হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: হোয়াইট হাউস
ওমরাহ থেকে ফিরে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে ২৪৯ অপরাধী গ্রেপ্তার
ভিজিএফের চালের বস্তায় শেখ হাসিনার নামে স্লোগান; স্থানীয়দের ক্ষোভ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকিরকে সাময়িক বরখাস্ত
ভিনিসিয়ুসের শেষ মুহূর্তের জাদুতে ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর জয়
ইউনূস-মোদি বৈঠকের জন্য দিল্লির কাছে ঢাকার চিঠি
কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৫ জন নিহত, তিনদিনে প্রাণ গেল ৬০০ ফিলিস্তিনির
আত্মপ্রকাশ করলো সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের ‘জনতার দল’
১৯৪ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি
ভোরে মাঠে নামছে ব্রাজিল, যেমন হবে একাদশ
মার্চে রেমিট্যান্সে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ