সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নড়াইলে ঘেরের পাড়ে কোটি টাকার সবজি চাষ

নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার গোবিন্দপুরে ভক্তডাঙ্গা বিলে ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের নিরব বিপ্লব ঘটেছে। ভক্তডাঙ্গা বিলের পতিত জমিতে গড়ে ওঠা চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের পাড়ে চাষ হচ্ছে কোটি টাকার সবজি। ৩৫০ একরের বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত প্রায় ৫০টি ঘেরের কারণে বদলে গেছে পরিত্যক্ত ভক্তভাঙ্গা বিলের চিত্র। ঘেরে মাছ ও পাড়ে নানা ধরনের সবজি চাষ করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন এই অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কৃষক। এসব ঘেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এলাকার বেকারদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই বিলে অবস্থিত ছোট-বড় সকল ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ হচ্ছে। কোথাও দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি টমেটো গাছ। গাছে ঝুলছে লাল টকটকে টমেটো। পাড়ে তৈরি করা মাচায় ঝুলছে লাউ। কোথাও শষা, করলা আবার কেথাও আবাদ হচ্ছে কুমড়া। এভাবেই বছরজুড়ে এখানে আবাদ হচ্ছে ফরমালিন মুক্ত নানান জাতের সবজি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ঘেরের পাড় থেকে স্থানীয় বাজারসহ এসব সবজি যাচ্ছে রাজধানীতে। প্রযুক্তির কল্যাণে টাকাও চলে আসছে কৃষকের মুঠোফোনে। ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ।

এই বিলের সবচেয়ে বড় ঘের মালিক নুপুর এন্ড ব্রাদার্স মৎস্য খামারের সত্ত্বাধিকারী শিবনাথ রায় জানান, এক সময় লঞ্চে কলা বিক্রি করতেন তিনি। পার্শ্ববর্তী বড়দিয়া বাজারের একটি দোকানেও ৭ বছর কাজ করেছেন। পরে ধীরে ধীরে তিনি মৎস্য ঘেরটিও বড় করতে থাকেন। এখন তার ঘেরটি ৩২৬ একর জমির উপর। আর এই ঘেরের পাড়ে টমেটো, উচ্ছে, করলা, শষা, পেঁপে, কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করছেন। সবজি বিক্রি করে বছরে আয় করছেন প্রায় কোটি টাকা। তার ঘেরে সময়ভেদে কাজ করেন ২২ থেকে ৪২ জন শ্রমিক।

আরেক ঘের মালিক প্রদীপ বর্মন বলেন, তার ৯৫একরের ঘেরে মাছ চাষের পাশাপাশি পাড়ে সবজি চাষ করেন। আগাম তরমুজ, উচ্ছে, লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেন তিনি। ঘেরের পাড় উচু হওয়ায় প্রতিটা সবজি আগাম চাষ করা যায়। আগাম চাষ করলে বাজারে দামও বেশি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে ঘেরে ধান চাষ করা হয়।

আরো কয়েকজন চাষী ও স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখানে কিছু কিছু জমিতে আউশ-আমন হত এবং অধিকাংশ সময় জমি খালি পড়ে থাকত। পরে কৃষক তার ভাগ্য উন্নয়নে ঘের করে তাতে মাছ চাষ এবং পাড়ে সবজি চাষ করে কৃষিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। তাদের সাফল্য দেখে আরো অনেকেই এ ধরনের চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছে।

এসব মৎস্য ঘেরে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, মৎস্য ঘের হওয়ায় স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই ঘেরে কাজ করছেন। এখানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে তাদের সংসার।

এ ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার বিশ্বাস জানান, কালিয়া পৌরসভার ভক্তডাঙ্গা বিলে অবস্থিত ঘেরগুলোতে মাছ চাষের পাশাপাশি পাড়ে সবজি এবং বোরো মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। একই জমি থেকে তিন ধরনের চাষাবাদ হচ্ছে। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এখানে সব সবজিই আগাম চাষ হয়। এ কারণে বাজারে ভালো দাম পান তারা। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসআইএইচ 

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি

ছবি: সংগৃহীত

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনায় পরিণত হয়। ৭ মে রাতে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ৯টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে তার কোড নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় বাহিনী তাদের ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে প্রায় ২৩ মিনিটের জন্য হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ছিল।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ব্যবহার করে। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ৮৭ ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তান ভারতের ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ১২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই সময়ে উভয় দেশের অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজারেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- ভারতীয় পুঁজিবাজারে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বিমান চলাচল খাত প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

- আইপিএল বন্ধ হয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

- যুদ্ধবিমান হারানোর কারণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বাণিজ্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে আরও ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- পাকিস্তান ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

- পাকিস্তানের শেয়ারমার্কেট ৪.১ শতাংশ পতন ঘটিয়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

- বিমান পরিবহণ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশপথে সীমাবদ্ধ ছিল না, এর মাধ্যমে উভয় দেশের পুঁজিবাজারে ধস এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি হয়েছে, যা দুই দেশকেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে

ছবি: সংগৃহীত

বিগত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল গরমের তীব্রতা অনুভব করছে, যার ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায়, যখন জনজীবন অসহ্য হয়ে উঠেছে, তখন দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ।

রোববার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'শক্তি', যা শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছিল যে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ অথবা ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিতে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদেরও সাবধান থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পরিচালিত পাকিস্তানের সাহসী সামরিক প্রতিরোধ ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে দেশটির জনগণ। রোববার (১১ মে) সারাদেশে ‘শোকরিয়া দিবস’ পালন করছে পাকিস্তান। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির ঐক্য ও দৃঢ় মনোবলকে সম্মান জানাতেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ছিল শত্রুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, সমন্বিত ও কার্যকর জবাব। এ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান কৌশলগত, কূটনৈতিক এবং সামরিক সব পর্যায়েই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। “মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা সাফল্য ও সম্মান অর্জন করেছি,” বলেন তিনি।

শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যে আরো জানান, শত্রু পক্ষের একের পর এক উসকানিমূলক আচরণের পরও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে এবং পূর্ণ প্রস্তুতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছিয়ে থাকবে না।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল
রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার (ভিডিও)
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ