শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে কারণে নওগাঁর তিন আ.লীগ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি

নওগাঁর তিন আ.লীগ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক দলের মনোনয়ন না পেয়ে এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০ ভোট। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত খোয়াতে যাচ্ছেন।

ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের মতো দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। অন্যদিকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন।

নির্বাচনের পর নওগাঁর পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ও জনবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ওই তিন সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।

ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০ ভোট। ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দীন এ ধরণের ফলাফলকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা ভরাডুবি হিসেবে দেখছেন। তবে সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন ও নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পরাজিত হওয়ায় কেউই বিস্মিত নন। বরং অনেকে জোর দিয়ে বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত রায় পেতে ভোটারদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে।

মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক একজন বর্ষীয়ান নেতা। তিনি মান্দা থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক সময় তিনি এ অঞ্চলের প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তবে বর্তমানে তার বয়স ৮০-এর ওপরে। বয়স ও অসুস্থতার কারণে গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার জনগণকে তেমন সময় দিতে পারেননি। বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে তাঁরই প্রভাব পড়েছে। তবে এত কম ভোট পাবেন এটা আশা করেনি।’

ছলিম উদ্দিন তরফদার

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান মামুদের পক্ষে ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্মদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান মামুন। তিনি বলেন, ‘ব্রহানী সুলতান মামুদ তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি পরিচ্ছন্ন একজন রাজনৈতিক। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে থাকায় এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁর জয়টা অনেকটাই অনুমেয় ছিল। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ মোর্শেদ দলের পদ ব্যবহার করে অনেক অনিয়ম করেছেন। ভোটে তারই প্রভাব পড়েছে।’

নওগাঁ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট। ছলিম উদ্দিন তরফদার ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথের পক্ষে ছিলেন মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ছলিম উদ্দিন তরফদার, তাঁর ছেলে সাকলাইন আহমেদ, ভাগনে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ছলিম উদ্দিন ও তাঁর স্বজনদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর এলাকার প্রায় সবাই জানে। এটা ভোটে ভরাডুবি হওয়ার প্রধান কারণ।’

নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের কাছে ৬ হাজার ৭৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট। নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট। সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূণ্য হলে ২০২০ সালে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার হোসেন

 

আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বলেন, আনোয়ার হোসেন মাত্র তিন বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তিন বছরেই তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর ছেলে-মেয়েরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গিয়েছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই মানুষ তাঁকে আর বেছে নেননি। অন্যদিকে ওমর ফারুক সুমন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ওহিদুর রহমান রাণীনগর-আত্রাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি সব সময়ই মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া এবার ভোটে আঞ্চলিকতা একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আত্রাই উপজেলার মানুষ হিসেবে ওমর ফারুক আত্রাইয়ের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি ভোট পেয়েছেন। আর রাণীনগরে বেশি ভোট পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন।

অন্যদিকে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ১ লাখ ১০ হাজার ১৭১ ভোটের বিশাল ব্যবধানে তিনি জয়ী হয়েছেন। সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রাপ্ত ভোটের পরিমান ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭২৯ ভোট।

নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদকে ৫১ হাজার ৭৮৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নিজাম উদ্দিন জলিল। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭১ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪ ভোট।

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. গোলাম মওলা স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকা ৪৭, নওগাঁ-২ আসনের বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ওই আসনের ভোট স্থগিত করে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’। এতে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। বিস্ফোরক রকেট ছোড়ার ফলে ওই যানে থাকা ১৭ সেনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, আহত হন আরও ১০ জন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে মারা যান আরও একজন ইসরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে হামলায় ধ্বংস হয় ইসরায়েলের দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার।

বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় চালানো আরেকটি অভিযানে গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হন আরও সাতজন ইসরায়েলি সেনা, যাদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এই তিন দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণহানির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় গাজায় অভিযানে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে শুরু হওয়া হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাবার ও ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ায় সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যেন থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া দুজনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ জনে।

একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছে সবচেয়ে বেশি—১০৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগের বাইরে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, দক্ষিণ সিটিতে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন এবং সিলেটে দুজন শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন আট হাজার ১৬২ জন।

চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ২২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪১ দশমিক ২ শতাংশ।

গত বছরের তুলনায় এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কম হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে রোগের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন এক হাজার ৭০৫ জন এবং রোগী ভর্তি হয়েছিল তিন লাখ ২১ হাজারের বেশি। ২০২৪ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি