শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

দশ মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার ৪৯৫ নারী

প্রতিবেদন উপস্থাপন। ছবি: সংগৃহীত

দশ মাসে দেশে ৪৯৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১০৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ জন নারীকে। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন চারজন। গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে এসব ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজশাহীতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) অগ্নি প্রকল্পের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আসক রাজশাহীর উদ্যোগে সকালে শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়ে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অগ্নি প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক হাসিবুল হাসান পল্লব।

সভায় জানানো হয়, ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে অগ্নি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা গেছে, গত বছরের শেষ ১০ মাসে দেশে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪২৩ জন নারী। এরমধ্যে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ১৭৩ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন ১২৫ জন নারী।

আরও জানানো হয়, ওই সময়ে ২৫ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ১০ জন। সালিশে ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে চার জন নারীকে। শিশু নির্যাতনের চিত্রও উদ্বেগজনক। ওই ১০ মাসে ৮৮৫ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হত্যার শিকার হয়েছে ৩৯৯ জন।

এই সভায় ১০ মাসের রাজশাহী জেলার চিত্রও তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, রাজশাহীতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৫ জন নারী। এ ছাড়া ১৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চার জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে দুই নারীকে। এছাড়া ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী।

এই ১০ মাসে রাজশাহীতে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৬ জন নারী। স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ছয় জন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন ৬০ জন। এ জেলায় এসিড নিক্ষেপ হয়নি। তবে ১১ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সালিশে ফতোয়ার নামে নির্যাতন করা হয়েছে দুই নারীকে। জেলায় ১০ মাসে ৪২ জন শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে আটজন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয়, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে অগ্নি প্রকল্পের আওতায় ১০ মাসে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় উন্নয়ন কর্মী রাশেদ রিপন, আসকের রাজশাহীর অগ্নি প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজমেন্ট কলসালটেন্ট সাব্বির হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’। এতে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। বিস্ফোরক রকেট ছোড়ার ফলে ওই যানে থাকা ১৭ সেনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, আহত হন আরও ১০ জন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে মারা যান আরও একজন ইসরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে হামলায় ধ্বংস হয় ইসরায়েলের দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার।

বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় চালানো আরেকটি অভিযানে গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হন আরও সাতজন ইসরায়েলি সেনা, যাদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এই তিন দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণহানির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় গাজায় অভিযানে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে শুরু হওয়া হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাবার ও ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ায় সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যেন থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া দুজনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ জনে।

একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছে সবচেয়ে বেশি—১০৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগের বাইরে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, দক্ষিণ সিটিতে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন এবং সিলেটে দুজন শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন আট হাজার ১৬২ জন।

চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ২২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪১ দশমিক ২ শতাংশ।

গত বছরের তুলনায় এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কম হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে রোগের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন এক হাজার ৭০৫ জন এবং রোগী ভর্তি হয়েছিল তিন লাখ ২১ হাজারের বেশি। ২০২৪ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি