রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড: ২ শিক্ষার্থীসহ নিখোঁজ ৩ যাত্রীর মরদেহ শনাক্ত

আবু তালহা, চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি এবং এলিনা ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় রাজবাড়ীর নিখোঁজ তিন যাত্রীর মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করবে আজ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহতদের স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত যাত্রীরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোলের সাইদুর রহমান বাবুর মেয়ে এলিনা ইয়াসমিন (৪০), খানগঞ্জ বেলগাছির সরকার বাড়ির চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৪) ও কালুখালীর মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের আবদুল হক মন্ডলের ছেলে আবু তালহা (২৪)। এর মধ্যে আবু তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আর চন্দ্রিমা ঢাকার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ফার্মাসিস্ট বিভাগে পড়াশোনা করতেন।

আবু তালহা, চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি এবং এলিনা ইয়াসমিন

 

জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, রত্না, ইকবাল বাহার ও তাদের সন্তান এবং সৌমি, তালহাসহ বেশ কিছু যাত্রী। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে ট্রেনটির চারটি বগি পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ জন এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোলের এলিনা ইয়াসমিন।

বাবা সাঈদুর রহমান বাবুর কুলখানি শেষে ৬ মাসের শিশুসন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রত্না, বোনজামাই ইকবাল বাহার ও তাদের দুই সন্তানসহ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা। আগুনে এলিনার সঙ্গে থাকা স্বজনদের সবাই দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। ঘটনার ১০ দিন আগে এলিনা তার বাবার মৃত্যুতে বাড়িতে এসেছিলেন।

অন্যদিকে একইদিন ওই ট্রেনে ভাই-ভাবির বাসায় বেড়াতে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন রাজবাড়ী খানগঞ্জ বেলগাছি সরকার বাড়ির চন্দ্রিমা চৌধুরী ওরফে সৌমি। এ ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সৌমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগে পড়ালেখা করতেন।

একই ট্রেনে রাজবাড়ী থেকে আবু তালহা ও আবু তাসলাম দুই ভাই ঢাকায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর আবু তাসলাম ট্রেন থেকে নেমে যেতে পারলেও নিখোঁজ হন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু তালহা। ট্রেনের জানালায় হাত বের করে আকুতি জানিয়ে পুড়ে মারা যাওয়া ছেলেটাই ছিলেন আবু তালহা।

নিহত এলিনার মামাতো ভাই কাজী পলাশ বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং আজ ঢাকা মেডিকেল থেকে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করবে।

রাজবাড়ী সদরের খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুর রহমান সোহান নিখোঁজ সৌমি ও কালুখালী মৃগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মতিন আবু তালহার মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত ও পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে এলিনা ইয়াসমিন, চন্দ্রিমা চৌধুরী ওর‌ফে সৌমি (২৮) ও আবু তালহা (২৮) নিখোঁজ ছিলেন।

৫ জানুয়ারি যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে রাজবাড়ী থেকে ৬৫ জনের মতো যাত্রী উঠেছিলেন।

Header Ad

ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি

আটককৃত দালালচক্রের সক্রিয় ৩ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দিনমজুর মানুষদের টার্গেট করে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে কিডনি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কিডনি কালোবাজারি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফা (৩৭) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

এই দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে কিডনি হারানো ভিকটিম রবিনের মামলার বরাত দিয়ে ডিএমপি জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের মিরপুর-১০ নং শাহ আলী মার্কেটের পিছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছিল এবং সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। ওই কথাবার্তা চলাকালীন পাশে বসা অভিযুক্ত ১নং পলাতক আসামী মাছুমও চা পান করছিল। এসব কথাবার্তা শুনে মাছুম নিজ থেকেই ভিকটিমকে বলে যে, ভারতে তার ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিতে পারবে। একপর্যায়ে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয় এবং পরবর্তীতে ১নং পলাতক আসামীর সাথে প্রায় ১৫/২০ দিন মোবাইলে কথা হয়। অভিযুক্ত ১নং পলাকত আসামী ভিকটিমকে ভারত নিয়ে যাবে এবং সকল কার্যক্রম করবে মর্মে প্রস্তাব দেন, যাতে ভিকটিম রাজি হয়।

পরবর্তীতে ১নং পলাতক আসামী ভিকটিমকে পাসপোর্ট করে দিতে সহায়তা করে বলে যে, ভারতে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য যেতে হলে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সে অনুযায়ী গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ধানমন্ডি মডেল থানাধীন ৪নং রোডস্থ ল্যাব এইড হাসপাতালে ভিকটিমকে নিয়ে যায় এবং সেখানে অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাজু হাওলাদার (৩২) এর সাথে পরিচয় হয়। অভিযুক্ত আসামী ও ১নং পলাতক আসামীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করে ভারতের ভিসা করানোর জন্য ভিকটিমের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে নেয়। ভিসার সব কার্যক্রম শেষ করে অভিযুক্ত ১নং আসামী ও ১নং পলাতক আসামী ভিকটিমের সাথে গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী শাহেদ উদ্দিন (২২) এবং ৩নং আসামী মোঃ আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮) দ্বয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলে যে, তারা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার, বাংলাদেশ ও ভারতে তারা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে। আসামীরা অনলাইনে বিমানের টিকেট ক্রয়পূর্বক ভিকটিমের হোয়াটস্ এ্যাপ এ প্রেরণ করে।

ওই টিকিট নিয়ে ভিকটিম গত ২২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইনডিগো এয়ারলাইনস এর বিমানে করে ভারতের নয়া দিল্লিতে পৌঁছায়। সেখানে অভিযুক্ত ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা ভিকটিমের ছবির প্রিন্ট কপি নিয়ে ভিকটিমকে রিসিভ করার জন্য অপেক্ষারত ছিল। ভিকটিমকে রিসিভ করেই অভিযুক্ত ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা পাসপোর্ট কেড়ে নেয় এবং ভাড়াকৃত একটি প্রাইভেট কারযোগে প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের দূরত্বে ভারতের ফরিদাবাদ এলাকায় ৫৬৪ নম্বর বাসায় (২ তলা বিশিষ্ট বাসা) নিয়ে যায়।

এভাবে ভারতের ফরিদাবাদ এলাকার ওই ৫৬৪ নম্বর বাসায় ভিকটিমকে ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা প্রায় ২০/২৫ দিন আটকে রাখে। আটক রাখাকালীন অভিযুক্ত ৩নং আসামী মোঃ মাছুম বাংলাদেশ থেকে সেখানে যায়। মাছুমকে পেয়ে ভিকটিম তার চাকুরির কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানামূলক কথাবার্তা বলে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

অভিযুক্ত ৩নং আসামী ভিকটিমকে তার আর্থিক অনটন, সাংসারিক অর্থনৈতিক দূরবস্থার সুযোগ নিয়ে একটি কিডনি প্রদানের জন্য প্ররোচিত করে এবং ভয়ভীতি দেখায় যে, পাসপোর্ট ছাড়া সে দেশেও ফিরে আসতে পারবে না। একপর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে নয়া দিল্লির এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা করায়। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কিছুদিন পর ভারতের গুজরাটে নিয়ে যায় এবং মুক্তিনগর এলাকায় ২ তলা বিশিষ্ট একটি বাসায় রাখে।

রবিনের এজাহার অনুযায়ী, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সুকৌশলে চলতি বছরের ৪ মার্চ ভারতের গুজরাট কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে নাভীর নিচে তলপেট বরাবর অপারেশনের মাধ্যমে ১ টি কিডনি প্রদানে বাধ্য করে এবং ফুসলিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেয়। অপারেশন শেষে ওই হাসপাতাল থেকে ৪ দিন পরে ছাড়পত্র প্রদান করে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আসামীদের দালাল চক্র ভারতের অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ১০/১১ দিন ভিকটিমকে আটক রাখে।

উল্লেখ্য, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিম জানতে পারে যে, ওই কিডনি আসামীরা দালাল চক্রের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। বিভিন্ন সময়ে ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় আসামীরা ভিকটিমকে বলে যে, তাকে ভারতে মেরে ফেললে কী হবে? এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে দালালচক্র ভিকটিমকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে অবস্থানকৃত চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের বিকাশ নম্বর বিভিন্ন সময়ে মোট ৩ লাখ টাকা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে আরও ৩ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।

এভাবে দেশে এসে ভিকটিম বুঝতে পারে যে, সে বড় দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে তার কিডনি হারিয়েছে। কিডনি অপারেশনের ফলে প্রায় ৫ ইঞ্চি পরিমান কাটা দাগ রয়েছে ভিকটিমের শরীরে।

প্রসঙ্গত, ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করায় গত ১০ মে ধানমন্ডি থানাধীন ল্যাব এইড হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে যাতে লেখা আছে Non Visualized left Kidney। কিডনি হারিয়ে আজ সে এক কর্মক্ষমতাহীন মানুষ। এমতাবস্থায় এই চক্রের দ্বারা অন্য আরেকজন ব্যক্তি প্রতারিত হতে গেলে ভিকটিম রবিন তা জানতে পারলে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহায়তায় এই ৩ জন আসমীকে গ্রেফতার করে এবং সেই মতো মামলা রুজু হয়। পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির

ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি না থাকায় বাকি ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়গুলোতে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) মাসিক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন সচিব। সভায় সারা দেশের মাঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশে মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে করছে ইসি। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি

রিচার্ড স্লেম্যান। ছবি: সংগৃহীত

৬২ বছর বয়সে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন রিচার্ড স্লেম্যান। পৃথিবীতে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার শরীরে প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাঁচলেন না। শনিবার (১১ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর: এনডিটিভি

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ব্যাপী অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণ শেষে এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যুর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

রিচার্ড রিক স্লেম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো কিছু আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।

ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা রিচার্ড স্লেম্যান ট্রান্সপ্লান্ট গ্রহণের আগে বছরের পর বছর ধরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদিও এর আগে রিচার্ড অন্য একজনের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর ভালো থাকার পর তাকে আবার ডায়ালাইসিসে ফিরতে হয়। এরপর থেকেই তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
গোবিন্দগঞ্জে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...
রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন
আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত
হোয়াইটওয়াশের মিশনে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ
সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত