শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

সামনে কঠিন সময়, বিএনপির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: আমান উল্লাহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সঠিক রোডম্যাপ ঘোষনা করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশে আগামীর সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, তারেক রহমানের সরকার, বিএনপির সরকার ও জণগনের সরকার। সেই সরকারকে সামনে রেখে বিএনপি দেশের জন্য কাজ করবে। এজন্য বিএনপির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেননা আমাদের সামনে কঠিন সময়। সেই কঠিন সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং দেশ পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির জনসভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত জনসভায় আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য কি না করেছে। দীর্ঘ ছয়মাস বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে অসুস্থ বানিয়েছে। শেখ হাসিনা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যা করেছে। তাদের হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের ৫৭ বার ফাঁসি হবে। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেন, খুনী হাসিনার জায়গা বাংলাদেশে নেই। তাদের প্রেতাত্মাদের জায়গা নেই। তারা যদি দেশে আসার চিন্তা করে তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে জায়গা দেবে না। তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে যেভাবে দীর্ঘ আন্দোলন করে দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি সেভাবেই আগামীর নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপির নির্বাচিত হবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যয়ে রাখা অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির এ জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির নেতা অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আব্দুল জব্বার সোনাসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে দুপুর থেকেই শহরের টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’। এতে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। বিস্ফোরক রকেট ছোড়ার ফলে ওই যানে থাকা ১৭ সেনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, আহত হন আরও ১০ জন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে মারা যান আরও একজন ইসরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে হামলায় ধ্বংস হয় ইসরায়েলের দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার।

বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় চালানো আরেকটি অভিযানে গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হন আরও সাতজন ইসরায়েলি সেনা, যাদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এই তিন দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণহানির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় গাজায় অভিযানে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে শুরু হওয়া হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাবার ও ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ায় সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যেন থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া দুজনই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ জনে।

একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছে সবচেয়ে বেশি—১০৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগের বাইরে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, দক্ষিণ সিটিতে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন এবং সিলেটে দুজন শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন আট হাজার ১৬২ জন।

চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ২২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪১ দশমিক ২ শতাংশ।

গত বছরের তুলনায় এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা কম হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে রোগের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন এক হাজার ৭০৫ জন এবং রোগী ভর্তি হয়েছিল তিন লাখ ২১ হাজারের বেশি। ২০২৪ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি