টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাবসারা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বড় ভাইয়ের জানাজায় গ্রেফতার আতঙ্কে অংশ নিতে পারেননি সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির এবং তার ভাই ইতালি প্রবাস ফেরত জাহিদুল ইসলাম খোকা। তাদের অনুপস্থিতি এলাকায় নানা আলোচনা ও চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলার জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে নাজমুল হক ওরফে তারা মেম্বারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নাজমুল হক ছিলেন এই দুই ভাইয়ের বড় ভাই। তবে জানাজায় অন্য স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত থাকলেও মনির ও খোকাকে দেখা যায়নি।
মনিরুজ্জামান মনির গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সভাপতি। তার ভাই জাহিদুল ইসলাম খোকাও দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফেরেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। “ডেভিল হান্ট” নামক অভিযানে নাশকতা সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলায় দলটির অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। এই আতঙ্ক থেকেই মনির ও খোকা গা ঢাকা দেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাজমুল হক তারা মেম্বার। ভাইয়ের মৃত্যুর পরও মনির ও খোকা প্রকাশ্যে আসেননি। ফলে ভাইয়ের জানাজা ও দাফনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক আয়োজনে তাদের অনুপস্থিতি এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয় এবং বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে।
নাজমুল হকের ছেলে অ্যাডভোকেট শাহাদত হোসেন বাবু জানান, “আমার বাবা অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য বিরাট শোকের। তবে আমার দুই চাচা—মনিরুজ্জামান মনির ও জাহিদুল ইসলাম খোকা—গ্রেফতার আতঙ্কে জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।”
