মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজে ধীরগতি, বাড়তে পারে প্রকল্পের মেয়াদ

প্রমত্তা ও উত্তাল যমুনার বুকে বসানো হয়েছে ভারি ভারি যন্ত্র। তারমাঝেই সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিটি দৃশ্যমান পিলার। উত্তাল এই যমুনা নদীর উপর পুরাতন বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেকটি বৃহত্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুকে ঘিরে যমুনার নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও সিরাজগঞ্জের ২ প্রান্তে দিন-রাত বিরতিহীনভাবে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা। দেশের অন্যতম এই বৃহৎ মেগা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৬১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলমান থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজে ধীর গতি। যার ফলে কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত ৩-৪ মাস বেশি সময় লাগতে পারে বলে প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়।

ইতিমধ্যে যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ৭৫ শতাংশ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে ৪৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করতে যমুনা নদীর উপর পৃথক রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যা আন্ত:এশিয়া রেল যোগাযোগে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ডুয়েলগেজের এই সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সাধারণত ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ চলছে। শত শত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা কাজের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পাইলিংয়ের কাজ করছেন, কেউ স্পেনের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টির মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং ১৬ টি পিলারে ইতিমধ্যে দেড় কিলোমিটারের বেশি স্প্যান বসানো ও ২৬টি পিলারে স্প্যান বসানোর উপযোগী করা হয়েছে। বাকি পিলারে বিভিন্ন স্তরে ঢালাইয়ের কাজ চলমানসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, যমুনা নদীতে পানি কম থাকায় সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। নতুন রেল সেতু চালু হলে মালবাহীসহ ৮৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সাইটের কর্মীরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬১ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজ ধীর গতিতে চলছে। এ কারণে আরও অতিরিক্ত ৩-৪ মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছি।

প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের নকশা প্রণয়নের পর প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। পরে ডিসেম্বরে প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দেশের বৃহত্তম এই রেল সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাস দেয়। প্রথম দফায় ডিপিপি সংশোধনের পর সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।

এর মধ্যে জাইকার ঋণ দেওয়ার কথা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যদিও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে জমি অধিগ্রহণ ও আনুষঙ্গিক খাতে কোনো ব্যয় ধরা ছিল না।

তবে সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) জমি ব্যবহারে পরবর্তীতে রেলওয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে। এতে ১৮৭ একর জমি স্থায়ীভাবে ব্যবহার ও ২৬৩ একর জমি অস্থায়ীভাবে ব্যবহারে বাসেককে (সেতু কর্তৃপক্ষ) ৩৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া মাটির কাজে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ও রেল ট্র্যাক নির্মাণে ৫৮ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে যায়। সম্ভাব্যতা যাচাই ও খসড়া নকশায় সেতুর পিলারের সংখ্যা ৪১টি ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় তা বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে।

এরপর খসড়া নকশায় পাইলের গভীরতা ২৭ দশমিক ৭৯ মিটার ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় গভীরতা বাড়িয়ে ৩৭ মিটার ধরা হয়েছে। খসড়া নকশায় স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার ধরা হয়েছিল। পরে কমিয়ে ১০০ মিটার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মূল সেতু, রেলওয়ে ট্র্যাক, এমব্যাংকমেন্ট, স্টেশন বিল্ডিং ও সাইট অফিস ইত্যাদি নির্মাণে ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ে। এর বাইরে সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন খাতে ব্যয় বেড়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। তবে পরামর্শক খাতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় কমেছে। এ ছাড়াও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তা ছাড়াও সাধারণ প্রয়োজনীয় খাতে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, পরিবেশগত সেফগার্ড খাতে ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।

এদিকে পরিদর্শন বাংলো ও জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। এই খাতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

আইএমইডি বলছে, ডিপিপিতে প্রথমে প্রকল্পটি ৯০ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২৪ মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক। রেলের সড়ক বাঁধ নির্মাণে যথাযথ ও অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে ৩০০ মিটার দূরে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য পৃথকভাবে নদী শাসন করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর উভয় দিকে ৫৮০ মিটার ভায়াডাক্ট (সংযুক্ত উড়ালপথ) থাকবে। যমুনা ইকো পার্কের পাশ দিয়ে এটা বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশের রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ জন্য ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার সংযোগ রেলপথ নির্মাণ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ৩টি স্টেশন বিল্ডিং, ৩টি প্লাটফর্ম ও শেড, ৩টি লেভেল ক্রসিং গেট ও ৬টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। রেল সেতুর পূর্ব পাশে লুপ লাইনসহ প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার, ১৩টি কালভার্ট ও ২টি সংযোগ স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় গতি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুর উপর দিয়ে ব্রডগেজ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। এটা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা করে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১৭ সালের মার্চে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষ হয়। দুই অংশের জন্য ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঠিকাদার নিয়োগের চুক্তি সই হয়।

আরও জানা গেছে, নির্মাণাধীন এই বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালানোর উপযুক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য স্টিল অবকাঠামোয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসআইএইচ 

Header Ad

টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

টানা পঞ্চমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়লেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন পুতিন। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে বেশি ক্ষমতাধর হবেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। এর আগে গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই নেতা। সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

বিলাসবহুল মোটর শোভাযাত্রায় গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে আসেন পুতিন। এরপর প্রাসাদের করিডোর দিয়ে লালা গালিচা বিছানো পথ দিয়ে হেঁটে সেন্ট অ্যান্ড্রু হলে যান তিনি। সেখানেই সংবিধানে হাত রেখে আরও ছয় বছর মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য শপথ নেন পুতিন। এরপর সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তিনি।

এ সময় রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের ফাদারের কাছ থেকে আশীর্বাদও নেন পুতিন। এদিকে পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে দূত পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, রাশিয়ার নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাই পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে কেউ যাচ্ছেন না।

যুক্তরাজ্য ও কানাডা জানিয়েছে, তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে পাঠাবে না। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারাও এতে অংশ নেবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০ টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এই অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তবে ফ্রান্স, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াসহ ৭টি ইইউভুক্ত দেশ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন । পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন— উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল— তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকার রেকর্ডের মালিক সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর এবারের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।

ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই সরকার বারবার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুন।

রিজভী বলেন, ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল উপজেলার প্রথম দফায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সে নির্বাচনে যাবে না।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহিলা দলের রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।

 

কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন

প্রাইভেটকারে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি প্রাইভেটকারে হঠাৎ আগুন লেগেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালকসহ দুজন গাড়ি থেকে বের হয়ে যান।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত সার্জেন্ট মো: আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারওয়ান বাজার সোনারগাঁও হোটেল সংলগ্ন ট্রাফিক বক্সে ডিউটিরত অবস্থায় দেখতে পাই হঠাৎ করে একটি প্রাইভেট কারে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক আশেপাশের উপস্থিত জনতার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।

এ ঘটনায় গাড়িতে অবস্থানরত দুইজন যাত্রী দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ায় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়নি। আগুন নেভানোর পর গাড়িটিকে রেকার এর মাধ্যমে দ্রুত স্থান থেকে সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান এই ট্রাফিক পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ

টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম
৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'
গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার
১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি
খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
হজ ভিসায় সৌদি আরবের নতুন নিয়ম