টাঙ্গাইলে কোটি টাকার রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের গুঁড়া, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাটিকাটা-রুহুলীর রাস্তাপাকাকরণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় প্রায় ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি পাকা রাস্তায় নিম্নমানের ইটের গুঁড়া ও খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মাটিকাটা মসজিদ থেকে রুহুলী আজগর মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মেসার্স কে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায়। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে সময় বাড়িয়ে চলতি বছরে কাজ শুরু করে তারা।
কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের ইটের গুঁড়া ব্যবহার করায় স্থানীয়রা সরব হয়ে উঠেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় তদন্তে নামে এবং অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে ঠিকাদারকে পুনরায় ভালো মানের খোয়া দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় রুহুলী ও মাটিকাটা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাস্তার প্রথম পর্যায়ে যে খোয়া ব্যবহার করা হয়েছিল, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। বিষয়টি প্রকৌশলী দপ্তরকে জানানো হলে তারা সরেজমিনে এসে সত্যতা পান এবং পুনরায় কাজের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী কৃষ্ণ ভৌমিক বলেন, “কাজের শুরুতে কিছু জায়গায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তা সরিয়ে নতুন খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে।”
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, “শুরুর দিকে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করেছিল ঠিকাদার। পরে আমরা তা বদলে ভালো মানের খোয়া ব্যবহার করতে বলেছি।”
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার এমন অনিয়মের ঘটনায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ছে। তারা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করেছেন।
