টাঙ্গাইলে পাকা ধানে মই, কৃষকের বেড়েছে ভোগান্তি

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলেও হানা দিয়েছে। ফলে বৃষ্টি আর ঝড় হাওয়ায় জেলার বাসাইলে কৃষকের পাকা ধান মাটিতে ন্যুয়ে পড়েছে। এতে ধান কাটতে ও খড় শুকাতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন কৃষকরা।
গত শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল, সেই সাথে হালকা ঝড় হওয়া। এতে অধিকাংশ পাকা ধান মাটিতে ন্যুয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা বৃষ্টির কারণে ধান কাটতে পারছে না। এদিকে খড় নিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
কুঁড়িগ্রাম থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক মুহাম্মদ আলী বলেন, বাসাইলে ১০/১২ দিন ধরে এসেছি। গত দুই দিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। তিন ধরে বসে রয়েছি। এ যেন কৃষকের পাকা ধানে মই।

বগুড়ার শেরপুর থেকে আসা শ্রমিক জাহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতে এসেছি। ১১ দিন ধরে ধান কাটার কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ। এদিকে বৃষ্টিতে জমির ধানগুলো মাটিতে ন্যুয়ে পড়ে নষ্টের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
কৃষক লাল মাহমুদ বলেন, আমার ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান ন্যুয়ে পড়েছে এবং জমিতে পানি জমে গেছে। এতে ধান কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হবে, এর জন্য ধান কাটতে শ্রমিক খরচ দ্বিগুণ বেশি লাগবে। খড় ও ধান শুকাতেও পারছি না।
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, ইতোমধ্যে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে ধান গুলো মাঠে রয়েছে তা কাটার উপযোগী। হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসে পাকা ধান মাটিতে ন্যুয়ে পড়ায় কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।তবে, আমরা পাকা ধান দ্রুত কর্তনের পরামর্শসহ কৃষকদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি।
