দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ শিশু-কিশোর

দেশে ফেরত এসেছে ৩৬ বাংলাদেশি শিশু-কিশোর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ জন বাংলাদেশি শিশু-কিশোরকে অবশেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসা ৩৬ জনের মধ্যে ১৪ জন মেয়ে ও ২২ জন ছেলে। এদের মধ্যে রয়েছে যশোরের আপন চন্দ্র সিংহ, আসমা খাতুন; রাজশাহীর আসমাউল হোসেন; নোয়াখালীর বিউটি রানী দেবনাথ; খুলনার রহমত আলী, জিয়াউর রহমান, রাখি সানা, আয়াত মোড়ল, রিমি মোড়ল; মুন্সিগঞ্জের তহমিনা আক্তার; বাগেরহাটের শাকিল হাওলাদার; গোপালগঞ্জের সম্রাট গুপ্ত, আকাশ হক; কুড়িগ্রামের শাহিনুর আলম, হানিফ আলী; নাটোরের দেবজিৎ রায়; দিনাজপুরের রাসেল বাবু, ফারিয়া খান; সাতক্ষীরার ইব্রাহিম; ময়মনসিংহের সফর শেখ; নড়াইলের আব্দুস সবুর; কক্সবাজারের আল আমিন, সালমা; ঢাকার সাজেদা ইয়াসমিন মুন্নি, জোহরা বেগম; নেত্রকোনার নাজমা খাতুন; রংপুরের ধিমান বারুই; মাদারিপুরের শ্রাবণ হোসেন, মিলি আক্তার; নরসিংদীর রিফাত হোসেন; ঠাকুরগাঁওয়ের রিদয় রায়; লক্ষ্মীপুরের সুমাইয়া আক্তার; চট্টগ্রামের একজন; ও পঞ্চগড়ের প্রিয়ন্তি রায়।
তারা সবাই ভারতের বিভিন্ন জেলায় পাচার হয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে কারাভোগ করেন। পরে মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় তাদের মুক্ত করা হয়। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার।
জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে হেফাজতে নেয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ভারত ফেরত ৩৬ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
