শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকাসহ সারাদেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ সমর্থনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, নোয়াখালীতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ সমর্থনে শিক্ষার্থীদের এ পর্যন্ত বিক্ষোভের কথা জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যা।

জানা যায়, কোটা সংস্কার ও পরবর্তী সহিংসতায় ৯ দফা বাস্তবায়নের জন্য হাইকোর্টের সামনে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাইকোর্টের প্রধান গেট ও আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবি বাহিনী ঘিরে রাখে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে হাইকোর্টের সামনে ছাত্রসহ সচেতন নাগরিক সমাজ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্লোগান দেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা, বিজিবি বর্ডারে ফিরে যাও, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না স্লোগান দেন।

আজ সারাদেশের পালিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি। গতকাল এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে দুপুরে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের ডাকা আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির ব্যারিকেড ভেঙে চট্টগ্রাম আদালতে প্রবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা।

আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয় আইনজীবীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে দোয়েল চত্বর এলাকায় স্লোগান দেন থাকেন আন্দোলনকারী।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেছে তুলেছে। শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

জানা গেছে , বেলা ১১টায় প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর আরও শিক্ষার্থী যোগ দিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। তখন পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যায়। বর্তমানে ২০০-৩০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বগুড়ায় বিক্ষোভ করেছে। দুপুরের শহরের জলেশ্বরীতলার আদালত চত্বরে সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। মিছিল নিয়ে তারা আদালত চত্বরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা শহরের খেলার মাঠ ও জলেশরীতলা সড়কে বিক্ষেভ করেছে।

এ সময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের মুক্তি এবং আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় বিচার দাবি করেন।

এদিকে, শহরের সাতমাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের একাংশের আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভের শুরুতে শিক্ষার্থীরা জেলা জজ আদালতের সম্মুখে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং তাদেরকে সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে আসে। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়।

দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সাথে যোগ দেয় তাদের অভিভাবকরাও। ছাত্র-ছাত্রীরা শ্লোগান দেয়া শুরু করলে সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বাকিদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের হয়রানি, আটককৃতদের মুক্তি ও আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের বিচার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনের সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করে।

এরআগে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও ছাত্র-জনতা গণহত্যার বিচারের দাবিতে চৌরাস্তা সমবায় মার্কেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ময়মনসিংহেও মার্চ ফর জাস্টিস র্কমসূচি পালন করছেে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সকাল সোয়া ১১টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় চিফ জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে জড়ো হয় তারা। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ করে তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টাউনহল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় ‘মার্চ ফর জাস্টিs’ কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় তারা পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কোর্ট এরিয়া এবং শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নিকট তাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বরিশালে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে শহরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ও জজ কোর্টের সামনে ফজলুল হক এভিনিউতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ১০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে এদিন সকাল ১১টার পর কাঠপট্টি সড়কের মুখে মিছিল করার চেষ্টা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন। তবে কর্মসূচির শুরুতেই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখে। পরে কয়েকশ আন্দোলনকারী সদর রোডে অবস্থান নিলে পুলিশ শুরুতে তাদের ধাওয়া দেয় ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ৪ সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

৯ দফা দাবি আদায়ে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।

মিছিলটি নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ, শিল্পকলা একাডেমিক, চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় সড়ক, নোয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা জজকোর্ট সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জজকোর্টের সামনে এক সমাবেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন শুক্রবার (২১ মার্চ) জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও এখনো তাদের বিচারিক কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এ দলের সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে যেন রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেয়া হয়, সেই জন্য অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, “শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানই নয়; শাপলা চত্বরে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভোট ডাকাতি, গুম, খুনসহ সব অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত হয়নি; ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা পরাজিত হয়েছে। পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই।”

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।”

তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় গাজা অভিযানের কারণে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হামাসের হাতে থাকা সমস্ত বন্দিকে উদ্ধার না করে গাজায় নতুন করে আক্রমণ চালিয়ে ভুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গাজায় হামাসের হাতে এখনো প্রায় ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত। নেতানিয়াহুর অভিযান চলতে থাকলে বেঁচে থাকা বন্দিদেরও হত্যার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জনগণ।

বিক্ষোভের সময় মোহাম্মদ রনেন বারকে নিরাপত্তা প্রধানের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। এ সিদ্ধান্তকে সুপ্রিমকোর্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে এবং রনেন বারের আপিলের শুনানি শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

রনেন বার অভিযোগ করেছেন, “নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে নয়।” তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, “উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরানোর এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ভুল।”

এদিকে, বিক্ষোভের দায় বামপন্থিদের উপর চাপিয়ে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে, 'ডিপস্টেট' চক্রান্তের মাধ্যমে এ আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে।

তবে বিক্ষোভকারীরা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং বন্দিদের উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করবেন। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে, যা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেড়েছে।

সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের অধিকাংশ মানুষ চান সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি মেনে আলোচনা চালিয়ে বন্দি প্রত্যার্পণ সম্পন্ন হোক। নেতানিয়াহুর নতুন করে আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্তে তাদের সমর্থন নেই।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরাও জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, শেখ হাসিনার ব্ল্যাকমেইলের কারণে তিনি মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ঘিরে দুর্নীতির মিথ্যা তথ্য তৈরি করছে। একইভাবে ২০১৪ সালেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত করা হয়েছিল। তিনি দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কেউ কোনো দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি।

পুলিশ বিভাগের অবনতি নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পুলিশ নষ্ট হয়ে গেছে এবং এখন সেনাবাহিনীকে নষ্ট করার চেষ্টাও চলছে। যদি সেনাবাহিনীও নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?”

এ সময় তিনি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন।

জি এম কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করেছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে জোরপূর্বক নির্বাচন করতে চাচ্ছে। যদি এমনটি ঘটে, তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না এবং দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে জাতীয় পার্টি নয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল
হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: হোয়াইট হাউস
ওমরাহ থেকে ফিরে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে ২৪৯ অপরাধী গ্রেপ্তার