যশোরের চৌগাছা উপজেলায় একটি চায়ের দোকানে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্কের জেরে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আজগার নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুরে এই ঘটনা ঘটে।
আজগার উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নে সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে শেখ হাসিনা আবার ফিরবে এমন বিকর্তে জড়ান আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা কর্মীরা। একপর্যায়ে তারাবির নামাজের আগে যুবলীগ নেতা ইমরান এসে হঠাৎ গুলি চালালে আজগর নামে এক বিএনপি কর্মী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্তকে আটকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।
‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।
ছবি: সংগৃহীত
জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’
ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।
জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’
করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’
ছবি: সংগৃহীত
সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’
উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানে বসবাসরত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রথম দলটি (২৮ জন) সড়কপথে ইরান থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা করে দেশটির সীমান্তে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় তারা সীমান্ত থেকে শিগগিরই করাচি পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশ ফিরে আসবেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত আসার বিষয়ে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দূতাবাস ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির শুরুতেই দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে দূতাবাস দুটি হটলাইন নম্বর চালু করে। হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরানের হটলাইন নম্বর: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।