ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে দেশের ১৩ জেলা নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সংশোধনে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে দেশের ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৩ জুন) সকালে দুদকের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে সমন্বিতভাবে এ অভিযান শুরু হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, নবায়ন ও অন্যান্য সরকারি সেবার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন ও দালাল চক্রের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে সারা দেশের ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে একযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”
যে ১৩টি জেলায় অভিযান চলছে সেগুলো হলো—রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুর। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অফিসে সরেজমিনে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এনআইডি সংশোধনের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, দীর্ঘসূত্রতা, কাগজপত্র আটকে রাখা এবং দালালদের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল বহুদিন ধরেই। দুদকের এই অভিযান সেইসব অনিয়ম রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগেও একাধিকবার সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে দুদক। গত ৭ মে বিআরটিএ’র ৩৫টি অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ ইস্যুতে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। ২৯ এপ্রিল দুর্নীতির অভিযোগে এলজিইডি’র ৩৬টি কার্যালয়ে এবং ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালিত হয়।
সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় ধারাবাহিকভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে দুদক। সচেতন নাগরিক সমাজ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও অনেকে দাবি করছেন—দলীয় প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ ও কার্যকর ব্যবস্থাই পারে স্থায়ীভাবে দুর্নীতি দমন করতে।
