বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে নওগাঁর বিখ্যাত আম্রপালি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় জেলায় উৎপাদিত আমের ৬০ শতাংশই আম্রপালি জাতের। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০ জুন থেকে আম্রপালি আম পাড়ার শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারে আম্রপালি আমের সরবরাহ যখন বেড়ে যায়, তখনই মনে করা হয় নওগাঁয় আমের ভরা মৌসুম। সে হিসেবে গত দু-দিন ধরে নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু ও বিখ্যাত রুপালি (আম্রপালি) আম। রুপালি (আম্রপালি) আমের জেলা হিসেবে পরিচিত দেশের অন্যতম আম উৎপাদনকারী জেলা এখন নওগাঁ।

নওগাঁর সবচেয়ে বড় আমের বাজার সাপাহার আমের হাট। এছাড়া পোরশা উপজেলার নোচনাহার, সারাইগাছী ও মিনাবাজার এলাকাতেও আমের হাট বসে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ, আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে ফলন কম হলেও দাম প্রায় দ্বিগুণ।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার টন। গত বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছিল, যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

শনিবার (২২ জুন) সকালে সাপাহার আমের হাটে গিয়ে আমের প্রচুর সরবরাহ দেখা গেছে। সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে গোডাউনপাড়া পর্যন্ত সাপাহার-নজিপুর সড়কের দুই ধারে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুধু আম আর আম। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি চার্জার (ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত) ভ্যানগাড়ি। এসব ভ্যানগাড়ির ওপর ক্যারেট ভর্তি আম রেখে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন আমচাষিরা।

বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে এখন ল্যাংড়া, নাক ফজলি, হাঁড়িভাঙা ও আম্রপালি আমের সরবরাহ বেশি। ঈদের আগে থেকে ল্যাংড়া, নাক ফজলি ও হাঁড়িভাঙা বাজারে উঠেছে। আর আম্রপালি আম উঠতে শুরু করেছে ঈদের পর থেকে। আম্রপালির দামও চড়া। প্রতি মণ আম্রপালি ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

সাপাহার আমের হাটে পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রাম থেকে সাইফুল ইসলাম, শিহাড়া ইউনিয়নের হলাকান্দর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম, সাপাহারের ফুটকইল গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন আমচাষি জানান, এখন আমের ভরা মৌসুম চলছে। তবে বাজার দেখে বোঝা যাবে না আমের উৎপাদন কম হয়েছে, নাকি বেশি হয়েছে। বাগানে গেলে সেটা বোঝা যাবে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আসলে এবার গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ আম উৎপাদন কম হয়েছে। তবে পোকামাকড়ের উপদ্রব না থাকায় আম দেখতেও সুন্দর হয়েছে। দামও গতবারের চেয়ে বেশি। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রতি মণ আম্রপালি আম ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার সেই আম বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, নাক ফজলি, ক্ষীরশাপাতি, গোপালভোগ আমের সরবরাহ কমে গেছে। এখন চলছে ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা ও আম্রপালি আমের মৌসুম। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে থেকে ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আর আম্রপালি আম ঈদের পর বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

গতবার যেখানে প্রতি মণ ল্যাংড়া ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এবার ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার আমের উৎপাদন কিছুটা কম হবে বলে ধারণা নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদের।

আবুল কালাম বলেন, উৎপাদনের পরিমাণ ৪ লাখ টন দাঁড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর বাজারমূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম