ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা আ. লীগের পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২০ জুন) পাবনার চাটমোহরে অসুস্থ বিএনপি নেতা আবু তাহের প্রামাণিক (তাহের ঠাকুর) কে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার পতন কিছু দেশের জন্য যেন সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের পর থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—পলাতক আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। এই পথে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপির হাজারো তৃণমূল নেতা-কর্মী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকে গুম হয়েছেন, কেউ এখনো মামলায় ঝুলে আছেন। তা সত্ত্বেও আজ মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা। যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেই আলোকে প্রস্তুত হচ্ছি।”
শেখ হাসিনার শাসনামলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিগত ১৬ বছরে শুধু দমন-পীড়ন নয়, দেশ লুট করে বিদেশে সম্পদ পাচার করে বেহেশত বানানো হয়েছে। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমরা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু কখনো শেখ হাসিনার কাছে মাথা নত করিনি।”
অসুস্থ তাহের ঠাকুর সম্পর্কে রিজভী বলেন, “তিনি লোহা পুড়িয়ে সংসার চালালেও দলের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন। তারেক রহমান তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে ও দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এসেছি। জেলা নেতাদের বলেছি, তার খোঁজ যেন সার্বক্ষণিক রাখা হয়।”
এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের সন্তান ও ছাত্রদল নেতা বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদলের আশরাফুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তাহের ঠাকুর দীর্ঘদিন চাটমোহর উপজেলা শ্রমিক দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তার অসুস্থতা ও মানবেতর জীবন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিতে আসে, এবং তিনি দ্রুত সহায়তার নির্দেশ দেন।
