বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনলাইনে জাল টাকার কারবার করছে ১৬ চক্রের সদস্যরা

উৎসব আসলেই সক্রিয় হয় জাল টাকা চক্রের সক্রিয় কারবারীরা। সারাদেশে এ জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই চক্রটি। সামনে রোজা এবং ঈদ এটাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হচ্ছে এ চক্রটি। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

জাল টাকার কারবার এখন অনলাইনেও দেখা যায়। বিভিন্ন পেজ খুলে জাল টাকার বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে দেশের যে কোন স্থানে নিরাপত্তার সাথে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবার ইনবক্সে যোগাযোগের জন্যও বলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধী চক্র যেমন সক্রিয় হচ্ছে তেমনি জাল টাকার কারবারীরাও বসে নেই। জাল টাকার কারবারীও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের কারবার চালাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে দেশ জুড়ে জাল চক্র সক্রিয় হচ্ছে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আসন্ন রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রাহক পেতে তারা অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিতে পারে । আবার প্রতারনার কাজেও এ পেজগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সাইবার টিম এগুলো মনিটরিং করছে। সময়মত এ চক্রগুলোও আইনের আওতায় আসবে।

জানতে চাইলে ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, জাল চক্রগুলো এখন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা বিভাগ অবগত আছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, সামনে রোজা এবং ঈদকে টার্গেট করে প্রতিবারের মতো এবারও চক্রটি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের প্রতিহত করতে আমরা সজাগ রয়েছি।

তিনি বলেন, যারা জাল টাকার কারবারি করে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই কাজ শুরু করে। তাদের ভালো পথে আনা যাচ্ছে না। এরা সাধারণত ঢাকার উপকণ্ঠে বেশি সক্রিয় থাকে। খুবই নিখুঁতভাবে তারা জাল টাকার নোট তৈরি করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক সময় ৪০০ টাকার কালি ও ২০০ টাকার কাগজ দিয়ে জাল টাকা বানিয়ে তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করত তারা। ফলে অন্য পেশায় থাকলেও বেশি লাভের আশায় অনেকে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে জাল টাকা তৈরির কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমাদের হাতে অনেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের তৎপরতা কিছুটা কমেছে। এসব টাকা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি করলে জাল টাকা তৈরি অনেকটাই কমে যাবে।

অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে জাল টাকা

সাম্প্রতিক ঢাকা প্রকাশের এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাল টাকার চক্র সম্প্রতি ফেসবুকে নানা ধরনের জাল টাকা সংক্রান্ত পেজ খুলেছে। সেখানে তারা বিজ্ঞাপণ দিয়েছে। কম রেটে জাল টাকা সরবরাহ করা হয়। যোগাযোগের জন্য ইনবক্স এবং মোবাইল নম্বরও (হোয়াটস অ্যপ) দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ‘জাল টাকা কম দামে বিক্রি করি’ নামে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে জাল টাকার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। এ রকম অন্তত তিনটি পেজের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে আসন্ন রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে বলা হয়েছে যে কোন নোট তারা সরবরাহ করতে পারবেন। দেশের যে কোন জেলা হলেও সমস্যা নাই।

যা বলছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার টিম

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার মনিটরিংয়ের টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে নানা ধরনের অপরাধী যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জাল টাকার কারবারীরাও এ থেকে বাদ যায়নি। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে অভিযানও পরিচালনা করা হবে।

ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, জাল টাকা তৈরিতে সারাদেশে সক্রিয় ১৬টি চক্রের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর মূল হোতাদের নামও পাওয়া গেছে। তারা হলো- ইমন, জামান, জাকির, সেলিম, হামির, সিহাব, হুমায়ন কবির, বিহারি সুমন, আমজাদ, কাওসার, সেলিম বেপারি, সাইফুল ওরফে রিকশা সাইফুল, খশরু ও সাগর।

জেল থেকে বের হয়ে আবারো জল চক্র সক্রিয় হয়

বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারকৃত জাল টাকার কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদেই তাদের বিষয়ে তথ্য মিলে। এসব চক্র আগে উৎসবকে ঘিরে জাল টাকা তৈরি করত। এখন তারা সারাবছরই জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তিন থেকে ১০টি করে মামলাও রয়েছে। প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি কেউ জেল খাটেনি। জামিনে বেরিয়ে আবার একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে তারা।

জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সংগ্রহের বিষয়ে ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, যে কাগজ ব্যবহার হয়, সেগুলো নীলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা। অন্যান্য উপাদানের সোর্স বিশেষ করে কেমিক্যাল পুরান ঢাকা থেকে নেয়। আর জাল টাকা বাজারে ছড়ানো হয় তিন ধাপে। প্রতিটি চক্রের রয়েছে ২০ থেকে ২৫ সদস্য। তারা বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কাজ করে। মূলহোতাদের কাছ থেকে তারা ১ লাখ জাল টাকা ১৫ হাজার টাকায় কেনে।

জাল এক লাখ টাকা তৈরিতে খরচ হয় ৭-১০ হাজার টাকা

জানা গেছে, উৎপাদকের এক লাখ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছে ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। পাইকারি বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা আসল এক লাখ টাকায় বিক্রয় করে।

গ্রেপ্তার জাল নোট কারবারী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাল নোট তৈরির জন্য প্রথমে টিস্যু কাগজের এক পার্শ্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি স্ক্রিনের নিচে রেখে গাম দিয়ে ছাপ দেয়। এরপর ১০০০ লেখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের ছাপ দেয়। অতপর অপর একটি টিস্যু পেপার নিয়ে তার সাথে ফয়েল পেপার থেকে টাকার পরিমাপ অনুযায়ী নিরাপত্তা সূতা কেটে তাতে লাগিয়ে সেই টিস্যুটি ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি জলছাপ দেয়া টিস্যু পেপারের সাথে গাম দিয়ে সংযুক্ত করে দেয়।

এভাবে টিস্যু পেপার প্রস্তুত করে বিশেষ ডট কালার প্রিন্টারের মাধ্যমে ল্যাপটপে সেভ করে রাখা টাকার ছাপ অনুযায়ী প্রিন্ট করা হয়। ওই টিস্যু পেপারের উভয় সাইট প্রিন্ট করা হয় এবং প্রতিটি টিস্যু পেপারে মোট ৪টি জাল টাকার নোট প্রিন্ট করা হয়। এরপর প্রিন্টকৃত টিস্যু পেপারগুলো কাটিং গ্লাসের উপরে রেখে নিখুঁতভাবে কাটিং করা হয়। পরবর্তীতে কাটিংকৃত জাল টাকাগুলো বিশেষভাবে বান্ডিল করে এটি চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার কেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ঈদ বা বড় বড় উৎসব গুলোতে জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও কারবারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বাইরে আছে তাদের গ্রেপ্তারে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পুলিশ রোজার আগ থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কেউ জাল নোট বাজারে ছাড়তে না পারে।

উদ্ধার হওয়া জাল টাকা আগের টাকার চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া জাল টাকায়ও নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সুতা তারা কিভাবে যোগাড় করেছে সেই ব্যাপারে গ্রেপ্তাকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সাধারণ চোখে বোঝা খুবই কঠিন যে এটা জাল টাকা। তবে অরজিনাল টাকা কিছুটা খসখসে এবং জাল টাকা বেশি মসৃণ বলে তিনি জানান। এক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক জাল চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। চলতি বছরেও বাণিজ্যমেলা থেকে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছাড়ার চক্রকে ধরা হয়েছে। ধরার পর আমরা জানতে পেরেছি তারা ১০ বছর ধরে এমন জাল টাকা তৈরি করত এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দিতো। তিনি বলেন, এ সব জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিলার রয়েছে তারা কৌশলে কাজ করে। তিনি আরো বলেন, সবাইকে সচেতন হলে এসব অপরাধ হয় তো কমে আসবে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে এ চক্রগুলো। সাম্প্রতি আমরা অনেক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, যারা জাল টাকা বাজারে ছাড়ে তারা একটি সংঘবদ্ধচক্র। অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি রাখলেই এ চক্রের হাত থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পেতে পারে। এবং টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সবাই সচেতন হলে অনেকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

কেএম

Header Ad

কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি

ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি।

মোদি বলেছেন, ‘পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান ‘শেহজাদাকে’ (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন পারবে না।’

গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের ‘ভোট জিহাদের’ আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।

মোদি আরও অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়।

ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না; এমন বিবৃতি লিখতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মোদি।

দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে সোনার অলংকার রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশে স্বর্ণ কারখানার নির্মাণকাজ চলছে। এতে এই খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) রাজশাহী জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাজুসের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছেন। এর ফলে দেশের অন্যতম টেকসই রপ্তানি খাত হিসেবে জুয়েলারি শিল্পের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) রাজশাহী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

জুয়েলারি শিল্পকে বিকশিত করতে বাজুসের কার্যক্রমের উত্তরোত্তর সফলতার জন্য রাজশাহী জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের প্রশংসা এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক উত্তম ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী সদস্য আলী হোসেন।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুসের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এই সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা শাখার এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রার্থনায় প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রতীক দেওয়া হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা যেসব প্রতীক পেলেন- তারমধ্যে মোছা: নার্গিস বেগম পেয়েছেন (দোয়াত কলম), আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুত (মোটরসাইকেল), তাহেরুল ইসলাম তোতা (আনারস), মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু (ঘোড়া) এবং ফিরোজ চৌধুরী (হেলিকাপ্টার)।

এদিকে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন (তালা চাবি), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরজু (টিউবওয়েল), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াজেদ আলী খান (মাইক) ও আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম (টিয়া পাখি)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলিফনুর মিনি পেয়েছেন (প্রজাপতি), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেবী (কলসি), উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরিন খানম (ফুটবল), মহিলা নেত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (পদ্মফুল) প্রতীক।

১৯৭৪ সালের ৭ আগস্ট গোপালপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূঞাপুর স্বতন্ত্র থানার মর্যাদা লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ ভূঞাপুরকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মোট ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫১২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৬ হাজার ৩২৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৮৩ হাজার ১৮৫ জন।

সর্বশেষ সংবাদ

কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাবির সিনেট সদস্য হলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের এমপি মাহমুদ হাসান
আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
আগেই মিষ্টি কিনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল কলম্বিয়া
শনিবার থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, রোববার প্রাথমিক
মামলা হলে মিল্টনের স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হবে: ডিবিপ্রধান
সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণা, নেই স্মিথ-ম্যাকগার্ক
এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস