
৩ বছর বন্ধ শাহজালালের কনকোর্স হল, দুর্ভোগে যাত্রী ও স্বজনরা
১৯ মে ২০২৩, ১২:৫০ এএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ কনকোর্স হল বন্ধ ৩ বছর ধরে। করোনার কারণে বন্ধ হওয়া কনকোর্স হল করোনা কেটে গেলেও খুলে দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও স্বজনরা।
বিদেশগামী ও আগমনী যাত্রীর স্বজনদের জন্য ৩০০ টাকার বিনিময়ে কনকোর্স হল থেকে তাদের স্বজনদের অভ্যর্থনা ও বিদায় জানানোর সুযোগ থাকলেও গত প্রায় তিন বছর এটি বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। আর যাত্রীর সঙ্গে সর্বনিম্ন অন্তত ২/৩ জন স্বজন থাকেন। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।
কনকোর্স চালু থাকলে যাত্রীর স্বজনরা তাদের নির্ধারিত ব্যক্তিদের সহজেই রিসিভ করে বাইরে আনতে পারতেন। আর এটি বন্ধ থাকার কারণে খুঁজে স্বজনদের পাওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীর স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় বাইরে প্রখর রোদে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কনকোর্স হল খুলে দেওয়ার এখনো পরিকল্পনা হয়নি। পরিকল্পনা হলে জানতে পারবেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, এই মুহূর্তে দর্শনার্থীদের জন্য বিমানবন্দরের হলটি খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে আসা স্বজনদের বসার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দরের সামনে ছোট পরিসরে কয়েকটি ছাউনি তৈরি করা হবে।
কামরুল ইসলাম আরও জানান, যাত্রী ও স্বজনদের সুবিধার্থে বিমানবন্দরের কাছেই নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে একটি আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেছে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড। সেখানে একজন যাত্রী মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে নিরাপদে রাত্রীযাপন থাকতে পারবেন। যাত্রীরা সময়মতো ফ্লাইট ধরতে আগের দিন এসে এখানে অবস্থান করতে পারবেন।
বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যদি কনকোর্স হল খুলে দেয় সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোন সংকট হবেনা বলে মনে করি। আমরা শতভাগ নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুত রয়েছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় দর্শনার্থী সম্মেলনের কনকোর্স হল। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চললেও এখনও খোলা হয়নি হলটি। যাত্রীর বা স্বজনদের জন্য বিমানবন্দরে করা হয়নি কোনো বসার ব্যবস্থাও।
যাত্রীর স্বজনরা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও যাত্রীর স্বজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা নেই। এতে রোদ-বৃষ্টি কিংবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
তাদের দাবি, বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও প্রবাসী কিংবা তাদের স্বজনদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিমানবন্দরে বসার জায়গাও নেই। নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও তাদের।
প্রবাসী মোতালেব জানান, তিনি দুবাইয়ের একটি বাগানে কাজ করেন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। দুই মাসের ছুটি শেষে কাজের জন্য আবার দুবাই রওনা হয়েছেন। বিমানবন্দর বহির্গমন কনকোর্স হল পর্যন্ত এসে তাকে বিদায় জানান স্বজনরা। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল পর্যন্ত যেতেই গেটে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের বাধা। প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে টার্মিনালের গেট কিংবা টিকিট কেটে কনকোর্স হলে যেতে পারেননি স্বজনেরা।
বিমানবন্দরে আসা এক যাত্রীর স্বজন জরিনা বেগম জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার ছেলে আসবেন। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। সকাল সাড়ে ১১টায় মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পাননি।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন টাঙ্গাইলের রোকেয়া খাতুনের স্বামী প্রবাসী আওলাদ হোসেন। তার জন্য রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন রোকেয়াসহ কয়েক স্বজন। কিন্তু কোথাও বসার জায়গা নেই। তাই প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে তারা অবস্থান নেন বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিং এলাকার একটি বটগাছের নিচে।
শুধু আওলাদের স্বজনরাই নন, নিত্যদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে আসা প্রবাসীদের স্বজনরা।
বিমানবন্দরে যাত্রী নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি তার এক ভাইকে রিসিভ করতে এসেছেন। তার ভাই সৌদি আরব থেকে ৫ বছর পর দেশে আসছেন। সে কোন গেট দিয়ে বেরুবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, যদি আগমনীর ক্যানোপিতে দর্শনার্থী প্রবেশ উন্মুক্ত থাকতো তাহলে তিনি ভেতরে যেতে পারতেন। তার ভাইকে সহজেই নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু বন্ধ থাকার ফলে তারা গ্রাম থেকে ২ জন এসেছেন। তিনি রয়েছেন টার্মিনাল-১ এ আর তার আরেক আত্নীয় রয়েছেন টার্মিনাল-২ এ। পরে টার্মিনাল-১ থেকে তাদের ভাইকে পেয়ে বাসায় নিয়ে যান।
যাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেক স্বল্প-শিক্ষিত ব্যক্তি বিদেশ যাচ্ছেন কিংবা বহু বছর পর দেশে আসছেন। তারা কিভাবে যাবেন, কোন দিক দিয়ে আসবেন এসব কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। এ কারণে ভেতরে প্রবেশের যে সুবিধা সেটি পুনরায় চালু করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশি যাত্রীদের পাশাপাশি যারা বিদেশি যাত্রী রয়েছেন তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়। কনকর্স হল খোলা থাকলে বিভিন্ন হোটেলের প্রতিনিধিরা বিদেশি অতিথিদের নামের কাগজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেলের বাইরে থাকতেন। নাম দেখে ওই যাত্রী নির্দিষ্ট লোকের সঙ্গে দেখা করে তার ঠিকানায় চলে আসতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে এই সুবিধা না থাকায় তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়।
এতো গেলো দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সমস্যা। বহির্গমনের ক্ষেত্রেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে অনেক বয়স্ক যাত্রী তাদের লাগেজ নিয়ে কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারছেন না। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার মতও কেউ নেই। অথচ বহির্গমন কনকর্স হল খোলা থাকলে বৃদ্ধ ও রোগীদের সাহায্যার্থে আসা ব্যক্তি ক্যানোপি পর্যন্ত যেতে পারতেন। বর্তমানে এই সুবিধাও বন্ধ।
যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, এমনিতেই তারা বিমানবন্দরে আসছেন। ক্যানোপির বাইরে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে যদি নিরাপত্তার সমস্যা না হয় তবে ক্যানোপির ভেতরে কি সমস্যা। যখন একটি লোক ক্যানোপির ভেতরে প্রবেশ করবেন তাকে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করালে সমস্যা কোথায়। দেশের বাইরে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে এই সমস্যা নেই। অথচ আমাদের বিমানবন্দরে এই সমস্যা। তারা দ্রুত কনকর্স হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
স্বজনরা জানান, বর্তমানে করোনা সংকট কেটে গেছে। এছাড়াও ভেতরে প্রবেশের সময় শতভাগ চেকিং এমনকি আর্চওয়ে গেট পার হয়েই ভেতরে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি যে রয়েছে সেটিও শতভাগ সম্পন্ন হচ্ছে। পাশাপশি ভেতরে ঢুকতে টাকাও পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আয়েরও একটি ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই দ্রুত খুলে দেয়ার দাবি তাদের।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, এটি সম্পূর্ণ সিভিল এভিয়েশনের এখতিয়ার। তারা যা ভালো মনে করবেন সেটিই করবেন। আমাদের নিরাপত্তার যে বিষয়টি আছে আমরা সেটি শতভাগ পালন করছি।
আরইউ/এএস

এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ এএম

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২০ এএম

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।
বিভাগ : গণমাধ্যম
বিষয় : ঢাকাপ্রকাশ , তয়-বর্ষে-ঢাকাপ্রকাশ , বর্ষপূর্তি , উদযাপিত , উদযাপন , পুরাতনকে-ভুলে-নতুন-উদ্যমে-এগিয়ে-যাচ্ছি-আমরা , জন্মদিন

ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৬ এএম

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।
সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।