শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর জামাতা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বহাল তবিয়তে

বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী । ছবি সংগৃহিত

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর জামাতা মো:জিল্লুর রহমানের চৌধুরী এর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি শত শত অভিযোগ। অসংখ্য অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি এখনো স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় চাকরির ক্ষেত্রে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাকে পদায়ন করা হয় :

(১) জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর (২০১৫ হতে ২০১৬ পর্যন্ত)

(২) জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম

(২০১৬ নভেম্বর হতে ২০১৮ অক্টোবর পর্যন্ত)

(৩) বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা (৩রা জুলাই ২০২২ হতে ১৫ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত)

(৪) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ

(২০ জুলাই ২০২৩ হতে চলমান ) এ সময় তিনি অতিরিক্ত সচিব হতে পদোন্নতি লাভ করে গ্রেট-১ কর্মকর্তা হন.

বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর দখলে রয়েছে দেশের চব্বিশটি স্থল বন্দর। শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ স্থল বন্দর এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী। চেয়ারে বসেই শুরু করেন অনিয়ম-দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্য। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৫ একর জমিতে গড়ে তুলেন আলিশান বাড়ি। মালিক হয়ে যান একাধিক বিলাসী গাড়ি। শ্বশুরবাড়ি এলাকায় লালমনিরহাটে স্ত্রীর নামে একশত একর জমি কেনেন জিল্লুর রহমান। দুর্নীতির টাকায় এলাকায় সমাজ সেবা করে বেড়ান জিল্লুর রহমান। একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান খুলে সেখানে অবৈধ আয় এর দোকান খুলে বসেছেন তিনি। আট থেকে দশ জন শিশুকে এতিম দেখিয়ে সরকারি-বেসরকারি অর্থ হাতানো শুরু করেন জিল্লুর রহমান। তার অবৈধ আয় এর অন্যতম খাত নিয়োগ-বাণিজ্য,বড় বড় প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ,টেন্ডার বাজি । আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে শত শত নিয়োগ দিতে থাকেন জিল্লুর রহমান। যাতে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অন্য দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষে স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে পারিবারিক কেন্দ্র বানিয়ে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত দুই মাসের মধ্যে স্থল বন্দরে নিজ পরিবারে মধ্যে যাদের চাকরি দিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

(১) আবু রায়হান চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক), আপন বড় ভাইয়ের ছেলে।

(২) সামিয়া আক্তার নীলা, ফায়ার হাইড্রেন অপারেটর, আপন বোনের মেয়ে।

(৩) তানভির আহমদ,ফায়ার হাউজ ড্রাইভার,আপন মেজ ভাইয়ের ছেলে।

(৪) মো. আতাউর,পাওয়ার হাউজ ড্রাইভার, আপন বড় ভাই নাতি.

(৫) মোহাম্মদ শরীফ মোল্লা, কার ড্রাইভার, আপন বোনের পালিত ছেলে।এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী ফাতেমা খাতুন লাভলীকে চলতি মাসের ১ তারিখে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। এই নেত্রী ৩রা আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাৎকারের ছবি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্থলবন্দরে একটি গাড়ি পেলেও তিনি তার দখলে রাখেন তিনটি গাড়ি। বাধ্য হয়ে বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক ভাড়া গাড়িতে অফিস করেন। এছাড়াও একের পর এক ভৌতিক প্রকল্প দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি। জিল্লুর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বন্দরের অনেককে দিতে হয়েছে মাশুল। বদলি,কারণ দর্শানোর নোটিশ, বিভাগীয় ব্যবস্থার মত শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তার দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতা অপব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর জামাতা হওয়ায় সরকার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছেন। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ৩ হাজার ৪শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পসহ ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারিতায় জিল্লুর রহমানকে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয়।তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নিজ ক্ষমতায় বাটা লাগতে পারে সেজন্য ৮ই আগস্ট তড়িঘড়ি করে আরো কিছু নিয়োগ-বাণিজ্য করেন।

এছাড়াও গত ৫আগস্ট সরকার পতনের দু-দিন পর রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সরকারি বাসায় সপরিবারে তার শ্বশুর সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ আত্মগোপনে ছিলেন। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তার শ্বশুর লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ন্যাম ভবনের বাসার মালামাল আনতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয় মালামাল সহ স্থলবন্দরের দুটি গাড়ি। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর থেকে আরেকটি মাইক্রোবাস যোগে বন্দরের কতিপয় নিরাপত্তাকর্মী গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে বন্ধুর চেয়ারম্যান ও সরকারি গাড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জিল্লুর রহমান বলেন।তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরের গাড়িচালক মাজেদুর রহমান লিটন বলেন, সোমবার দুপুরে স্যারের (জিল্লুর রহমান) গাড়িটি ন্যাম ভবনে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে স্যারদের সহায়তায় আরেক সহকর্মীকে নিয়ে ন্যাম ভবন থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি।জিল্লুর রহমান তার শ্বশুরের মালামাল নামাতে ব্যবহার করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সদর দপ্তরের নিরাপত্তারক্ষী অপুসহ কয়েকজনকে। অপু বলেন, স্যাররা বলেছেন, তাই গেছি। বেশিক্ষণ ছিলাম না। লিফটের ৯ তলায় স্যারের শ্বশুরের কিছু মাল নামিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থী ও ন্যাম ভবনের স্যাররা নিষেধ করায় ১২ টার দিকে রেখে চলে আসছি।এদিকে তার শশুররে নেম ভবনের ফ্ল্যাট হতে মূল্যবান গহনা, বস্তা ভর্তি টাকা ও মূল্যবান দ্রব্যাদি ইস্কাটন রোডের ১ নম্বর গেইটের রজনীগন্ধা ভবনের ৫ তলায় তার নির্ধারিত সরকারি ফ্লাটে নিজ হেফাজতে সরিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, গ্রেট-১(পরিচিতি নং-৬১০৩) এর বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হলেও তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে অভিযোগটি দুদক আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সাহসও পর্যন্ত পায়নি।

এই অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার অর্থের ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২২ লক্ষ ৪০ হাজার), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

রানার্স আপ দল পাবে ১১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (১৩ কোটি টাকারও বেশি)। সেমিফাইনালে ওঠা দুটি দলের জন্য থাকবে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার (৭ কোটি টাকার কাছাকাছি)।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ৫৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, ২০১৭ সালের আসরের তুলনায়। এবার মোট পুরস্কার ৬৯ লক্ষ মার্কিন ডলার। এছাড়া, প্রতিটি দলকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা) যোগ্যতা অর্জনের জন্য দেওয়া হবে।

গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ জিতলেই দলের জন্য থাকবে ৩৪ হাজার ডলারের পুরস্কার (৪১ লাখ টাকার বেশি)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান অর্জনকারী দল পাবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার মতো)। সপ্তম ও অষ্টম স্থান পেলে দলগুলো পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা)।

১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। আটটি দল দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে: গ্রুপ ‘এ’-তে পাকিস্তান (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন), ভারত, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ; গ্রুপ ‘বি’-তে অস্ট্রেলিয়া (বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন), দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে।

এই টুর্নামেন্টটি চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার (৬০) নামে আওয়ামী লীগের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আব্দুর রাজ্জাক তরফদারকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক তরফদার পৌরসভার পশ্চিম ভূঞাপুর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর। তিনি একই এলাকার মৃত শমশের আলী তরফদারের ছেলে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় নাশকতার মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করলে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ০৮ আগস্ট ১০০তম সিন্ডিকেটে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। সিন্ডিকেটের সেই সিদ্ধান্তের উপেক্ষা কর বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সংগঠনটির চার দশক পূর্তিতে পোস্টারিং করেছে ক্যাম্পাসের ভেতরে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দ্বিতীয় তলায় উঠতেই দেয়ালে এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পরবর্তীতে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটার দিকে প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে সেই পোস্টারগুলো তুলে ফেলা হয়েছে।

জানা যায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদের) উদ্যোগে গত রাতে (১২ ফেব্রুয়ারি) এই পোস্টারিং করা হয়।

এ ব্যাপারে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'জুলাই বিপ্লবে আমাদের অন্যতম দাবি ছিল লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে জায়গায় সকল রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ সে জায়গায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের পোস্টার শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করে তুলবে বলে আমি মনে করছি। তাই কুবি প্রশাসনকে বলবো খুব দ্রুত এর সঠিক তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে।'

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদের) সমন্বয়ক আবদুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ কিনা তা আমার জানা নেই, তবে ছাত্ররাই দেশ চালাচ্ছে। ছাত্ররা রাজনীতি না করলে কারা করবে? নিরক্ষররা? ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। ছাত্রদেরই রাজনীতি করতে হবে। আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাস চলেছে, কিন্তু সন্ত্রাসী আর ছাত্র রাজনীতি এক নয়। গত ৫৩ বছরে ছাত্রদের সন্ত্রাসী শেখানো হয়েছে। ছাত্ররাই আগামীতে দেশ চালাবে, তাই তাদের মধ্যে রাজনীতি থাকা জরুরি। প্রতিটি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসমুক্ত অবাধ ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত।'

ভবিষ্যতে কুবিতে তাদের এই ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেক ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে, যা আমরা অন্যায় মনে করি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও আমরা এর প্রতিবাদ করব এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাব।'

এ ব্যাপারে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. নাহিদা বেগম বলেন, 'ওরা পোস্টার লাগিয়েছে, আমরা এটা নিয়ে বসেছি। শহরে যিনি কেন্দ্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন তাকে ফোন দেয়া হয়েছে। পোস্টার ওঠানোর জন্য সিকিউরিটি পাঠিয়ে দিয়েছি।'

সামনের দিনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এমনিতেই তো ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আমাদের জায়গা থেকে আমরা স্ট্রিক্ট থাকার চেষ্টা করব।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন
অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রে
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু শনিবার : আদিলুর রহমান
আমিরাত সফর শেষ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
নতুন বাংলাদেশ গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করবে অনলাইন অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে: টুকু
আজ শবে বরাত, গুনাহ মাফ ও ভাগ্য নির্ধারণের রজনী
ফ্যাসিবাদের অধীনে জনগণের পুলিশ হতে পারেনি: জিএমপি কমিশনার
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা
সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজউদ্দিন
পদত্যাগ করলেন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক মিরাজ