সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে রাজনীতি, প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু পাড়া মহল্লা পর্যন্ত। পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা রূপ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী ঘরনার সুবিধা ভোগী কর্মকর্তাগণ রাতারাতি দল পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। দখলে রেখেছেন রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের বাজেট পায় রেলওয়ে। যার ৯০ শতাংশ নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এমপিদের লুটপাটের সহযোগী হিসেবে ছিলেন রেলের আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাগণ। এদের প্রভাবে রেলের অন্য ঘরানার বাকি কর্মকর্তারা ছিলেন একপ্রকার অসহায়, বঞ্চিত ও নির্যাতিত।

রেলের আওয়ামী ঘরানার কিছু কর্মকর্তাগণের প্রভাব ও দখল কেমন ছিল তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

রেলওয়েতে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা হলেন তাবাসসুম বিনতে ইসলাম- যুগ্ম মহাপরিচালক (মেকানিক), রেলভবন। তাবাসসুম প্রায় ১৬ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। তার এই পদে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়াও শামসুজ্জামান যেসময় রেলের মহাপরিচালক ছিলেন তখন তাবাসসুম ছিলেন রেলের অলিখিত রানী তথা রেল রাণী। তৎকালীন সময় রেলমন্ত্রী সুজন ও ডিজি শামসুজ্জামান তাবাসসুমকে রেলের বদলি,পদোন্নতি থেকে শুরু করে টেন্ডার বাণিজ্য পর্যন্ত সকল কাজের ব্লাংক চেক দেওয়ার মত ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

তাবাসসুম বিনতে ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তাবাসসুমের এই ক্ষমতার উৎস ছিল তার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন হায়দার- যুগ্ম সচিব হিসেবে বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আছেন। জসিম একসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন এবং ২০০৯ পরবর্তী প্রতিটি অবৈধ নির্বাচনে আওয়ামী লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। জসিমের ভয়ে রেলের সিনিয়র কর্মকর্তারাও তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন। এছাড়াও তাবাসসুম গত ১৫ বছরে প্রায় ৪০ টির অধিক দেশে সরকারি ভ্রমণ করেন। তার দেশে বিদেশে আছে শতকোটির অধিক সম্পদ । জসিম উদ্দিনের প্রভাবে সম্প্রতি তাবাসসুম তার সিনিয়র সকল কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে ৩ নং স্কেলে পদোন্নতি নেন। সম্প্রতি তাবাসসুম ২ নং স্কেলের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তার চেয়ে ৯ ব্যাচ সিনিয়র অত্যন্ত মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক(রোলিং স্টক) পার্থ সরকারকে স্থায়ী বরখাস্ত করার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যকে তার স্বামী জসিম ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিশাত রসুলকে দ্বারা ম্যানেজ করেন।

আওয়ামী ঘরনার ও তাবাসসুম সিন্ডিকেটের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং সরঞ্জাম বিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় লুটেরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজনের ভাগ্নি জামাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নুরুল ইসলাম সুজন রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দিনে আনোয়ার চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ৫ মণ মিষ্টি বিতরণ করেন। শ্বশুর মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আনোয়ার সবসময় একই সাথে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করতেন।

আনোয়ারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এখনো চট্টগ্রামে তিনি পরিচালক ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোলের পাশাপাশি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক/পূর্ব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। আনোয়ার প্রায় ১৫ বছর যাবত চট্টগ্রাম সরঞ্জাম বিভাগে বিভিন্ন লাভজনক পদে কর্মরত আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে একই সময়ে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করায় তিনি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সম্প্রতি সরঞ্জাম বিভাগের সবচেয়ে বড় পদ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী পদে পদোন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানা যাচ্ছে।

তাবাসসুম সিন্ডিকেটের সরকার দলীয় আরও একজন কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। বিগত সরকার রেলওয়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এই বিশাল অঙ্কের টাকায় রেলওয়েতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিকল্পনা দপ্তরে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।রেলওয়েতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের জন্য অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকুরীরত কর্মকর্তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার কাজই হল এই সিন্ডিকেটের ইন্টারেস্ট পূরণে সর্বদা নিজেকে পূর্ণভাবে নিয়োজিত করা। তার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনায় প্রকল্পের টাকা লুটের নানা কৌশলে তিনি সদা ব্যস্ত। এই সিন্ডিকেটের মূল লক্ষ্যই থাকে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো। কারণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো মানেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো, আর ব্যয় বাড়ানো মানেই হাজার কোটি টাকায় সিন্ডিকেটের পকেট ভারী।

সলিমুল্লাহ বাহার। ছবি: সংগৃহীত

তাছাড়াও প্রকল্পের টাকা লুটের আর একটা ফাঁদ হলো ভেরিয়েশন ওর্ডার এবং ইনিয়ে বিনিয়ে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন। ফলে প্রকল্পের খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। রেলের কর্মকর্তারাই নাকি প্রকল্পের কাজ শেষ হোক এ বিষয়ে আন্তরিক না। যার কারণে রেলওয়ের কোন প্রকল্পই ১৫ বছরের আগে শেষ হয় না অর্থাৎ রেলের কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ মদদে প্রকল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। সিন্ডিকেটের চাহিদার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দেশের কাজে লাগুক বা না লাগুক, যেকোনো কৌশলে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করার নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা । এই টাকার ভাগ সরকারের সব মহলে জেত। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন রেলের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। এছাড়াও রেলভবনে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালক নিয়োগে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেন বাহার। তাছাড়া প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার নিজের সেবার পরিকল্পনায় অনেক ব্যস্ত। তিনি নিজে ২/৩টা পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি ব্যবহার করে দেশের টাকা লুট করছেন।

অত্যন্ত কঠোর আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন আবু জাফর মিয়া। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় বাড়ি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে শুরু করেন। প্রধান প্রকৌশলী(পূর্ব) চট্টগ্রাম হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেন। তিনি তার এই লুটপাট জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার সহায়তা নেন। তিনি কোন পূর্ত কাজের টেন্ডার আহ্বান করার পরে সকল টেন্ডারের ইষ্টীমেট বা প্রাক্কলন তার পার্টনার ঐ শীর্ষ নেতার কে বলে দিতেন। এর ফলে ঐ নেতার তার মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ এই টেন্ডারে অংশ নিত না বা নেওয়ার সাহস পেত না।

আবু জাফর মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত আখাউড়া -আগরতলা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা যায় যে,শেখ হাসিনার সাথে জাফর যতবার দেখা করতেন ততবারই তার পদধূলি মাথায় নিতেন। তার পদে কোন কর্মকর্তা আসার চিন্তা করলেই তাকে তিনি বিএনপি জামাত হিসেবে চিহ্নিত করে তার পদায়ন ঠেকিয়ে দিতেন। এই কর্মকর্তা গেট কিপার নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। নিজের এলাকায় শত শত বিঘা জমি ক্রয়ের পাশাপাশি তিনি অবৈধ বড় একটা অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে।

আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন তাপস কুমার দাস যিনি বর্তমানে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী/পূর্ব, চট্টগ্রাম হিসেবে কর্মরত আছেন। এই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এক নেতা বাবরের ছত্রছায়ায় ব্যাপাক লুটপাট করেছেন।

তাপস কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

তাপসের বাড়ি বাগেরহাট হওয়ায় তিনি হাসিনার নিকটাত্মীয় শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে রেলের বিভিন্ন প্রাইজ পোস্টিং পেতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এবং এসব পোস্টে পদায়িত হয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার এই লুটপাটের টাকা তিনি প্রতিবেশী ইন্ডিয়াতে পাচার করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় যে তাপস দাস অত্যন্ত গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে তার পড়াশোনা চালানোর মত কোন টাকা তার ছিল না। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এই তাপস।

এই পাঁচ কর্মকর্তা ছাড়াও রেলওয়েতে আছে আরও অনেক আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তা। যা আমরা পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করবো।

Header Ad
Header Ad

পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় দফায় আরও ১১২ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণ করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।

এর আগে গত শনিবার রাতেও একটি মার্কিন সামরিক বিমানে ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের। আর ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক।

ফেরত পাঠানো এসব অভিবাসীদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, ভ্রমণকালে তাদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। অমৃতসরে পৌঁছানোর পর খোলা হয়।

তবে দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বিমান থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর ভারতের বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে এবং এই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য বন্দীদের হাতকড়া পরানো হয়। তবে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতি ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে লাশ, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটেছে গত মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে। তবে লাশের মিছিল এখনও শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপর্যয়ের ভয়াবহতা কতটা বিস্তৃত।

সবশেষ উদ্ধার অভিযানে আরও ছয়জনের লাশ পাওয়া গেছে, ফলে গাজার মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৭১-এ পৌঁছেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নতুন করে আরও পাঁচজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার ফলে মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৩ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন এবং অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্মীদের, যা সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি জোরদার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্ট শুরুর ছয় দিন আগেই দুবাইয়ে পৌঁছে গেছে টাইগাররা। গত শুক্রবার বিকেলে সেখানে পৌঁছানোর পর পরের দিনই আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে প্রথম অনুশীলন করে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।

চলতি মাসের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠছে ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। ঠিক তার পরের দিন, অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি, নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে তার আগে নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে আজ (সোমবার) একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়, দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে। মূল পর্বে ভালো করতে প্রস্তুতি ম্যাচকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে পেসার তানজিম হাসান সাকিব বলেন, "আমরা রাতের ফ্লাইটে দুবাই এসেছি, তারপর বিশ্রাম নিয়েছি। আমাদের রিকভারি ভালো হয়েছে, অনুশীলন করার পর শরীর আরও ভালো লাগছে। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আমরা মূল ম্যাচের জন্য উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করব। কোন লেন্থে বল করলে ব্যাটারদের সমস্যা হবে, সেটাও বুঝতে চাই।"

তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে পাকিস্তান দল খেলবে, সেটির কোনো খেলোয়াড়ই মূল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই। পাকিস্তান স্কোয়াডে মোহাম্মদ হারিস ছাড়াও রয়েছেন আমের জামাল, আব্দুল সামাদ, আলী রাজা ও উসামা মীর।

বাংলাদেশের স্কোয়াড: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে লাশ, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
রমজানে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা
ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে : আরএসএফ
সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা ৫ দিনের রিমান্ডে  
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি  
সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, অন্যত্র বাড়বে তাপমাত্রা  
তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন    
আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভেঙে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন    
আজ থেকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি
ইউক্রেন নিয়ে জরুরি সম্মেলন আহ্বান ম্যাক্রোঁর    
বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ায় ফল স্থগিত  
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি
মালিতে পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত
কেমন হলো টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি