মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে রাজনীতি, প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু পাড়া মহল্লা পর্যন্ত। পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা রূপ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী ঘরনার সুবিধা ভোগী কর্মকর্তাগণ রাতারাতি দল পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। দখলে রেখেছেন রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের বাজেট পায় রেলওয়ে। যার ৯০ শতাংশ নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এমপিদের লুটপাটের সহযোগী হিসেবে ছিলেন রেলের আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাগণ। এদের প্রভাবে রেলের অন্য ঘরানার বাকি কর্মকর্তারা ছিলেন একপ্রকার অসহায়, বঞ্চিত ও নির্যাতিত।

রেলের আওয়ামী ঘরানার কিছু কর্মকর্তাগণের প্রভাব ও দখল কেমন ছিল তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

রেলওয়েতে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা হলেন তাবাসসুম বিনতে ইসলাম- যুগ্ম মহাপরিচালক (মেকানিক), রেলভবন। তাবাসসুম প্রায় ১৬ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। তার এই পদে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়াও শামসুজ্জামান যেসময় রেলের মহাপরিচালক ছিলেন তখন তাবাসসুম ছিলেন রেলের অলিখিত রানী তথা রেল রাণী। তৎকালীন সময় রেলমন্ত্রী সুজন ও ডিজি শামসুজ্জামান তাবাসসুমকে রেলের বদলি,পদোন্নতি থেকে শুরু করে টেন্ডার বাণিজ্য পর্যন্ত সকল কাজের ব্লাংক চেক দেওয়ার মত ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

তাবাসসুম বিনতে ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তাবাসসুমের এই ক্ষমতার উৎস ছিল তার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন হায়দার- যুগ্ম সচিব হিসেবে বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আছেন। জসিম একসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন এবং ২০০৯ পরবর্তী প্রতিটি অবৈধ নির্বাচনে আওয়ামী লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। জসিমের ভয়ে রেলের সিনিয়র কর্মকর্তারাও তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন। এছাড়াও তাবাসসুম গত ১৫ বছরে প্রায় ৪০ টির অধিক দেশে সরকারি ভ্রমণ করেন। তার দেশে বিদেশে আছে শতকোটির অধিক সম্পদ । জসিম উদ্দিনের প্রভাবে সম্প্রতি তাবাসসুম তার সিনিয়র সকল কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে ৩ নং স্কেলে পদোন্নতি নেন। সম্প্রতি তাবাসসুম ২ নং স্কেলের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তার চেয়ে ৯ ব্যাচ সিনিয়র অত্যন্ত মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক(রোলিং স্টক) পার্থ সরকারকে স্থায়ী বরখাস্ত করার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যকে তার স্বামী জসিম ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিশাত রসুলকে দ্বারা ম্যানেজ করেন।

আওয়ামী ঘরনার ও তাবাসসুম সিন্ডিকেটের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং সরঞ্জাম বিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় লুটেরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজনের ভাগ্নি জামাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নুরুল ইসলাম সুজন রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দিনে আনোয়ার চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ৫ মণ মিষ্টি বিতরণ করেন। শ্বশুর মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আনোয়ার সবসময় একই সাথে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করতেন।

আনোয়ারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এখনো চট্টগ্রামে তিনি পরিচালক ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোলের পাশাপাশি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক/পূর্ব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। আনোয়ার প্রায় ১৫ বছর যাবত চট্টগ্রাম সরঞ্জাম বিভাগে বিভিন্ন লাভজনক পদে কর্মরত আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে একই সময়ে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করায় তিনি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সম্প্রতি সরঞ্জাম বিভাগের সবচেয়ে বড় পদ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী পদে পদোন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানা যাচ্ছে।

তাবাসসুম সিন্ডিকেটের সরকার দলীয় আরও একজন কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। বিগত সরকার রেলওয়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এই বিশাল অঙ্কের টাকায় রেলওয়েতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিকল্পনা দপ্তরে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।রেলওয়েতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের জন্য অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকুরীরত কর্মকর্তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার কাজই হল এই সিন্ডিকেটের ইন্টারেস্ট পূরণে সর্বদা নিজেকে পূর্ণভাবে নিয়োজিত করা। তার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনায় প্রকল্পের টাকা লুটের নানা কৌশলে তিনি সদা ব্যস্ত। এই সিন্ডিকেটের মূল লক্ষ্যই থাকে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো। কারণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো মানেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো, আর ব্যয় বাড়ানো মানেই হাজার কোটি টাকায় সিন্ডিকেটের পকেট ভারী।

সলিমুল্লাহ বাহার। ছবি: সংগৃহীত

তাছাড়াও প্রকল্পের টাকা লুটের আর একটা ফাঁদ হলো ভেরিয়েশন ওর্ডার এবং ইনিয়ে বিনিয়ে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন। ফলে প্রকল্পের খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। রেলের কর্মকর্তারাই নাকি প্রকল্পের কাজ শেষ হোক এ বিষয়ে আন্তরিক না। যার কারণে রেলওয়ের কোন প্রকল্পই ১৫ বছরের আগে শেষ হয় না অর্থাৎ রেলের কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ মদদে প্রকল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। সিন্ডিকেটের চাহিদার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দেশের কাজে লাগুক বা না লাগুক, যেকোনো কৌশলে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করার নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা । এই টাকার ভাগ সরকারের সব মহলে জেত। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন রেলের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। এছাড়াও রেলভবনে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালক নিয়োগে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেন বাহার। তাছাড়া প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার নিজের সেবার পরিকল্পনায় অনেক ব্যস্ত। তিনি নিজে ২/৩টা পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি ব্যবহার করে দেশের টাকা লুট করছেন।

অত্যন্ত কঠোর আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন আবু জাফর মিয়া। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় বাড়ি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে শুরু করেন। প্রধান প্রকৌশলী(পূর্ব) চট্টগ্রাম হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেন। তিনি তার এই লুটপাট জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার সহায়তা নেন। তিনি কোন পূর্ত কাজের টেন্ডার আহ্বান করার পরে সকল টেন্ডারের ইষ্টীমেট বা প্রাক্কলন তার পার্টনার ঐ শীর্ষ নেতার কে বলে দিতেন। এর ফলে ঐ নেতার তার মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ এই টেন্ডারে অংশ নিত না বা নেওয়ার সাহস পেত না।

আবু জাফর মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত আখাউড়া -আগরতলা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা যায় যে,শেখ হাসিনার সাথে জাফর যতবার দেখা করতেন ততবারই তার পদধূলি মাথায় নিতেন। তার পদে কোন কর্মকর্তা আসার চিন্তা করলেই তাকে তিনি বিএনপি জামাত হিসেবে চিহ্নিত করে তার পদায়ন ঠেকিয়ে দিতেন। এই কর্মকর্তা গেট কিপার নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। নিজের এলাকায় শত শত বিঘা জমি ক্রয়ের পাশাপাশি তিনি অবৈধ বড় একটা অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে।

আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন তাপস কুমার দাস যিনি বর্তমানে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী/পূর্ব, চট্টগ্রাম হিসেবে কর্মরত আছেন। এই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এক নেতা বাবরের ছত্রছায়ায় ব্যাপাক লুটপাট করেছেন।

তাপস কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

তাপসের বাড়ি বাগেরহাট হওয়ায় তিনি হাসিনার নিকটাত্মীয় শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে রেলের বিভিন্ন প্রাইজ পোস্টিং পেতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এবং এসব পোস্টে পদায়িত হয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার এই লুটপাটের টাকা তিনি প্রতিবেশী ইন্ডিয়াতে পাচার করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় যে তাপস দাস অত্যন্ত গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে তার পড়াশোনা চালানোর মত কোন টাকা তার ছিল না। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এই তাপস।

এই পাঁচ কর্মকর্তা ছাড়াও রেলওয়েতে আছে আরও অনেক আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তা। যা আমরা পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করবো।

Header Ad
Header Ad

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধুমাত্র বয়স বৃদ্ধির কারণে ঘটে না, বরং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণও এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

চুল পাকার অন্যতম কারণ হলো মেলানিন উৎপাদন কমে যাওয়া। মেলানোসাইট নামক কোষ চুলের গোড়ায় মেলানিন উৎপন্ন করে এবং চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। কিন্তু এই কোষ নষ্ট হয়ে গেলে বা মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়া জিনগত প্রভাবও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী। যদি পরিবারে কারও অল্প বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকে, তবে আপনাকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে।

অপুষ্টি চুল পাকার আরেকটি বড় কারণ। বিশেষ করে, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে চুল তার স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে। মানসিক চাপও চুল পাকার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যা চুলের মেলানিন উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

খাদ্যাভ্যাসেরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড ও পুষ্টিহীন খাবার চুলের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে লিভারের অসুখ, ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পেকে যেতে পারে।

চুল পাকা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর সমাধান গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত, লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাওয়া দরকার। লুটিওলিন এক বিশেষ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চুলের রং ধরে রাখতে সহায়তা করে। গাজর, ব্রকলি, লেটুস, পালংশাক, বিট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আঙুর, আপেল, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি ও পিচ প্রভৃতি ফল ও সবজিতে লুটিওলিন পাওয়া যায়। এটি মেলানোসাইট কোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

ছবি: সংগৃহীত

সঠিক পুষ্টি গ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার যেমন নারিকেল তেল, আমলকি তেল ও মেথি তেল চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

মানসিক চাপ কমানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম চুল পাকার হার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।

ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে আমলকি, মেথি বীজ ও কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগালে প্রাকৃতিকভাবে চুল পাকার সমস্যা দূর করা সম্ভব। অল্প বয়সে চুল পাকা অনেকের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রা ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার চুলও দীর্ঘদিন কালো ও সুন্দর থাকবে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে আট দলের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। সেই লক্ষ্যে মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিমন্স জানান, বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী এবং ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে দল।

সিমন্স বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ট্রফি জেতার ব্যাপারে বিশ্বাস না থাকলে এখানে থাকতাম না।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো হয়নি। তার ভাষায়, ‘আমি একমত যে সেরা প্রস্তুতি হচ্ছে না। তবে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমাদের হাতে ছয় দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে, সেখানে পরিকল্পনা মতো অনুশীলন করব।’

গত অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। আপাতত তার চুক্তি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্তই। এরপর তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। সিমন্স বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত আছি। এরপর কী হবে, এখনই বলতে পারছি না।’

Header Ad
Header Ad

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একাধিক মামলার আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। রাজধানীর সোবহানবাগে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স
সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক
এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আহমেদ আযম খান
৪৭ বছরের ইতিহাস ভেঙে অভিষেকেই ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২
বেনজীরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ইকবাল গ্রেফতার
ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন বিষয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার
স্বামীর টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েই ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক, ফাঁকা বাড়িঘর ঝুলছে তালা
রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আমরা অফিশিয়ালি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি: জামায়াত আমির
আন্দোলনে শহীদদের পরিবার প্রতি মাসে পাবে ভাতা
কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
সালমান, আনিসুল, পলক ও শমসের মবিনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর
গোবিন্দগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু