
মুক্তিযোদ্ধাদের সঞ্চয়ী করে তুলেছে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৯ এএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা উদ্যোগ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন সম্মানিত করেছে তেমনি নানাভাবে উপকার পাওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন ব্যাংকের মাধ্যমে নিজেদের ভাতা পাচ্ছেন, তেমনি সঞ্চয়ও করতে পারছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণও নিতে পারছেন।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে তারা দারুণভাবে উপকৃত হয়েছেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংকও গর্বিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, কোনো রকম ঝুটঝামেলা ছাড়া মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। চলতি জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে তিন লাখ ২২ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাব রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। এ সব হিসাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯৬৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে হিসাব নম্বর খোলার সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজারের বেশি। অর্থাৎ ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী গত বছরের একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৬৮ হাজার। গত তিন মাসে বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি। আর গত মার্চে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাব ছিল দুই লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৯টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সরকার দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সম্মান করছে। তারই অংশ হিসেবে তাদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কম সুদে ঋণেরও ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১১ মার্চ থেকে ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা অনেকে আগে জানতেন না। কিন্তু সরকার তাদের ভাতা দেওয়ায় তারা ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। এ কারণে ব্যাংকে হিসাব খোলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরের ব্যবধানে ২০ শতাংশের বেশি হিসাব বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা ভালো খরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয়ও করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হুদা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি দেশের স্বার্থে। বিনিময়ে কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। তারপরও সময়ের পরিবর্তনে সরকার বিভিন্ন সুযোগ দিচ্ছে। আগে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছিল ৫ হাজার টাকা। সেটি বৃদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এখন মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছি।‘
তিনি আরও বলেন ‘অন্যদের ব্যাংক হিসাব খুলতে গেলে এটা-সেটার সঙ্গে হাজার টাকাও লাগে। আর আমাদের মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পেরেছি। সেখানে প্রতি মাসে ভাতা পাচ্ছি। অনেকে স্বচ্ছল হওয়ায় ভাতার টাকা ব্যাংকে জমাও রাখছেন। এ জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু ভাতা নয়, কম সুদে ঋণও পাওয়া যাচ্ছে। আমার অনেক পরিচিত দুই লাখ টাকা করে ঋণও নিয়েছে। তাতে সুদের হারও কম। এভাবে সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবের মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সরকার থেকে ২৭৬ কোটি টাকা ভর্তূকি এবং ভাতা গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জন্য কম সুদে ২০০ ও ৫০০ কোটি টাকার যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে সেখান থেকেও তারা ঋণ নিতে পারছেন। গত জুন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ২০৪ কোটি টাকার বেশি ঋণও গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছেন। জুন পর্যন্ত ৩৮৪ জন প্রবাসী চার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্সও পাঠিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশেষ সুবিধার আওতায় কৃষক, হতদরিদ্র, সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগীদেরও সরকার বিভিন্ন সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া গার্মেন্টসকর্মী, চামড়া শিল্পের কর্মীদের স্মল লাইফ ইন্সুরেন্স প্রোগ্রামের আওতায় ১০০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জুন পর্যন্ত তাদের ব্যাংক হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া তারা প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সঞ্চয়ও জমা করেছেন। আর ৯৪ হাজার ৫৩৫ অ্যাকউন্টধারী ঋণ নিয়েছেন প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা। তাদের এ সব অ্যাকাউন্টে প্রবাসীরা ৫৩০ কোটি টাকা রেমিট্যান্সও পাঠিয়েছেন।
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৭ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।