বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত রেল কর্মকর্তা কুদরতের সম্পত্তির পাহাড়

রাজশাহীর বহরমপুরে কুদরতের বিলাসবহুল বাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি রেলের সাবেক প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) কর্মকর্তা কুদরত ই খুদার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় গোটা রেল অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং রেলভবনের চায়ের কাপের প্রধান আলোচনা এই প্রেম কাহিনী। শুধু নারী কেলেঙ্কারীই নয় রেলে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়।

উল্লেখ্য যে, রাজশাহী রেল মেডিকেলের হিন্দু ধর্মের এক মহিলা কর্মচারীর সাথে তার ৩ বছরের অনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরে তাকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় উক্ত মহিলা কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) থেকে বদলি করে ঢাকায় যুগ্ম মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করে আনা হয়। টুম্পা ছাড়াও আরও অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকায় কুদরতের সাথে প্রায়ই তার উপপত্নী টুম্পা রাণীর সাথে মনোমালিন্য হত। কিন্তু তবুও তার এ অপকর্মের পথচলা থামাতে পারেনি। এই কাজে কুদরতকে সহযোগিতা করতে কয়েকজন ঠিকাদার। আরও পড়ুন: রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নারী কেলেঙ্কারি, রেল সচিবের কাছে অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

 মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা এবং টুম্পা রাণী সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি তার আরেক মহা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রেলের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নিয়ে তিনি দুর্নীতি করেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পশ্চিমাঞ্চল যান্ত্রিক বিভাগে প্রায় ৪৭৩ জন্য কর্মী আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয় যা সবই অনুমোদন করেন কুদরত ই খুদা। আউট সোর্সিং নিয়োগ বিধিমালা -২০১৮ এর ৩(১) ধারা মতে- আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন পদ সৃষ্টির প্রয়োজন হবে না এবং কোন পদের বিপরীতেও এ সেবা ক্রয় করা যাবে না। ৩(১০) ধারা মতে আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির বয়স সীমা ১৮-৬০ বছর। ১২ টি ক্ষেত্রে ৫ ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং নিয়োগ সম্পন্ন করা যাবে অঞ্চলভেদে যাদের ন্যূনতম বেতন ১৬, ১৩০/ টাকা থেকে ১৯,১১০/ টাকা পর্যন্ত।

পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬(৫) ধারা মতে সন্তোষজনক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা যাবে অর্থাৎ একবার আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে গেলে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আর চাকুরির নিয়ে চিন্তা থাকার কথা না।

আগে যে টিএলআর বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা ছিল কেবল শূন্য পদের বিপরীতে, ফলে সেখানে পদ শূন্য না থাকলে নিয়োগ করার কোন সুযোগই থাকতো না। অথচ এখন একেবারে এক্ষেত্রে উদারহস্ত যে কোন সরকারি অফিস ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে কোন পদে যত ইচ্ছে নিয়োগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া প্রতি বছর শেষে সেবাদানকারী ঠিকাদারের সাথে সেবা গ্রহণকারী কর্মকর্তা পুনরায় ১ বছরের চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।

এই বিধিমালার পুরো অসদব্যবহার করতে কুদরত তার পুরো শক্তি নিয়োগ করেন। লোকজনের মাঝে তার বাহিনী ছড়িয়ে দেয় যে এটা এক ধরনের সরকারী চাকুরী। ৬০ বছর পর্যন্ত একজন কর্মচারী এই চাকরি করতে পারবে। এমন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কুদরত বাহিনী তথা কিছু অসাধু ঠিকাদার, কিছু দালাল, নারী ঠিকাদার এবং সুযোগসন্ধানী নানা গ্রুপের প্ররোচনায় চাকরিপ্রার্থী প্রত্যেকের নিকট ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের বিনিময়ে তিনি ৪৭৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন যাতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয় যেখানে কুদরতের শেয়ার ২০-৩০% এর কোন অংশেই কম নয় বলে জানা যায়।

কুদরত ই খুদা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নিয়োগ দিলেও বাস্তবে তার প্রতি জনের বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার পরই নিয়োগে সম্মতি দিতেন। রাজশাহী, লালমনিরহাট, পাকশী, সৈয়দপুর এই ৪ জায়গায় ৪৭৩ জন নিয়োগে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

কুদরত লালমনিরহাট, পাকশী,রাজশাহী এবং সৈয়দপুরে ১৬ টি প্যাকেজে ৬ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে উক্ত কাজগুলো দেন। এই টেন্ডারগুলো তদন্ত করলে আরও থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এই আউটসোর্সিং কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নাই এবং তাদের ন্যূনতম যোগ্যতাও নাই। কলকারখানা পরিদর্শন দপ্তর থেকে যে সার্টিফিকেট নেওয়া লাগে তার সবই ভুয়া। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে র‍য়েছে মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ, জাকি এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, এইচ এন্ড এইচ এন্টারপ্রাইজ এবং শাহ আমান্ত এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুদরতের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই ৪৭৩ জনের মধ্যে অর্ধেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি। এইসব কর্মচারী সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের সাথে বেতনের ৩০% বা ৪০% দেওয়ার চুক্তিতে রয়েছেন। এর ফলে কাউকে অফিস করতে হয় না। প্রতি মাসে একদিন অফিসে এসে সাইন করে গেলেই হয়। পরে মাস শেষে ইনচার্জকে চুক্তি মোতাবেক পার্সেন্টেজ দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যায়। এভাবেই ইনচার্জরা তাদের কমিশন বাণিজ্য নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া বাকী যারা সার্ভিসে আছেন তাদেরও বড় একটা অংশ বড় স্যারদের বাসায় বাসায় ৪/৫ জন করে পালাক্রমে ডিউটি করছেন। তাদের কেউ স্যারের নিয়মিত বাজার করেন, কেউ সবজি বাগান করেন, কেউ আবার স্যারের ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করেন। এভাবেই চলছে তথাকথিত আউটসোর্সিং এর নামে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের দিনকাল। এছাড়াও রেলভবনের অনেক প্রভাবশালী স্যার মেডামদের বাসায়ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্তরা কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও আফরাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুজ্জামান (চপল) নামে কুদরতের আছে নিজস্ব ঠিকাদার বা পার্টনার। এই সাইফুজ্জামানের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কোন কাজ করা কোন ঠিকাদারের সম্ভব নয়। নতুন কোনো ঠিকাদার আসলে কৌশলে সেই ঠিকাদারকে সাইফুজ্জামানের ইশারায় কঠিন কাজ দেয়া হয়। পরে অফিস থেকে বলে দেয় এই কাজ আপনাকে উঠিয়ে দিবে সাইফুজ্জামান। তাছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগের সৈয়দপুর পার্বতীপুর পাকসী দপ্তরের প্রধানগণ অনেক সময় কাজ অন্য ঠিকাদারকে দিলেও বলে দেন মালামাল যেন সাইফুজ্জামানের থেকে নেয়া হয়। এই সুযোগে সাইফুজ্জামান (চপল) ২ লাখ টাকার মালামাল ৮-৯ লাখ টাকার বিক্রি করেন। এই লাভের একটি অংশ যায় কুদরতের পকেটে। এই ভাবে কদরতের সাথে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাইফুজ্জামান। এছাড়াও অনেক ঠিকাদার বলেন সাইফুজ্জামান (চপল) এর অর্ধেক সম্পদের মালিক কুদরত।এই সাইফুজ্জামানের সম্পদের তথ্য খুজলে কুদরতের আরও সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে রাজশাহীর ঠিকাদারদের একটি অংশ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও সৈয়দপুর পার্বতীপুরের অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানের পকেটে থাকেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহীর পদ্মা আবাসিকে কুদরতের ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুজ্জামান(চপল) ও কুদরতের একাধিক ফ্লাট।ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও কুদরত একের পরে এক লাভজনক পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বহরমপুর সম্প্রতি তিনি ৫ তলার একটা আলিশান বাড়ি গড়েছেন। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৮-১০ কোটি টাকা। এই বাড়িতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। এছাড়াও রাজশাহী শহরের শিরোইল কলোনীতে তার রয়েছে একটা ৫ তলা বাড়ি, পদ্মা আবাসিকে একাধিক ফ্ল্যাট। রাজশাহী রেলভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২টি, মোহাম্মদ ও ধানমন্ডিতে ১ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে কুদরতের। তাছাড়া ঢাকায় এক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীর সাথে তার রয়েছে পার্টনারশিপ ব্যবসা।

এসব বিষয়ে জানতে কুদরত-ই-খুদার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

টুম্পা রাণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুদরতকে রেলভবনে নামকাওস্তে বদলি করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি রাজবাড়ি ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। কুদরতের এই দাপটের সহযোগী হিসেবে রয়েছে নীতিহীন কিছু রেল কর্মকর্তা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। হয়তো অচিরেই আরেকটা ঘটনার আড়ালে এসব ঘটনা সব চাপা পড়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন রেলওয়ের কর্মকর্তা কুদরতের কিছু হবে জাতিও এমনটাও আশা করে না। কারণ অসাধু ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী মহলের চাপে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকটাই মেরুদণ্ড সোজা করে দৃষ্টান্তমূলক কিছু পদক্ষেপ নিবে নাকি ম্যানেজ হয়ে ঘুমে থাকার ভান করবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র আগুনে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একে "অভূতপূর্ব সংকট" হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলের ইতিহাস নতুনভাবে লিখছে। গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সানচিয়ং কাউন্টি থেকে দাবানল শুরু হয়, যা দ্রুত পার্শ্ববর্তী উইসিয়ং, আন্দং, চেওংসং, ইয়ংইয়াং ও ইয়ংডক শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন। দাবানলের কারণে ২৩,০০০-এরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটি বর্তমানে ভয়াবহ খরার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে দাবানলের মাত্রা আরও বেড়েছে। দাবানল ইতোমধ্যে ১৭,০০০ হেক্টর বনভূমি পুড়িয়ে ফেলেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।

বিশেষভাবে উইসিয়ং শহরে দাবানল গৌনসা বৌদ্ধ মন্দির সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। ৬১৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই মন্দির ছিল প্রদেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় স্থাপনা। এছাড়া, জোসন রাজবংশের (১৩৯২-১৯১০) একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য, যা জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ছিল, দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজার হাজার দমকলকর্মী এবং ৫,০০০-এরও বেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করা মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে। বুধবার দুপুরে উইসিয়ং অঞ্চলের পাহাড়ে একটি দমকল হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়, যার কারণ এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় দমকল সংস্থা মঙ্গলবার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে, যা এই বছরের জন্য প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা হলো।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু জানিয়েছেন, দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ জনবল ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু প্রবল বাতাস দমকলকর্মীদের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। তিনি বলেন, "আমরা আজ বা আগামীকাল বৃষ্টির জন্য আশায় আছি, যা আগুন নেভাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার কোনো বৃষ্টি নেই এবং বৃহস্পতিবার মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।"

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দাবানল প্রতিরোধে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দাবানলের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে অবৈধভাবে আগুন লাগানোর ঘটনা ও ব্যক্তিগত অসতর্কতা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এসব কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং নতুন দমননীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, দাবানল পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন সরকার প্রধান।

সূত্র: বিবিসি

Header Ad
Header Ad

বিএনপি বিনা ভোটের সরকার গঠন করতে চায় না: সামসুজ্জোহা খান

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ও নজিপুর পৌরসভায় বিএনপি উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  (২৬ মার্চ) নজিপুর সরকারি কলেজ মাঠে পত্নীতলা উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি আক্কাস আলী'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য  মো. সামসুজ্জোহা খান জোহা।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক  আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়োজিত হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ হাসান তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু, জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সামিনা পারভিন পলি,  নজিপুর পৌর বিএনপি'র সভাপতি আলহাজ্ব মো. ওয়াজেদ আলী, জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ হায়দার টিপু সহ জেলা উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামসুজ্জোহা খান বলেন, বিএনপি বিনা ভোটের সরকার গঠন করতে চায় না, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে, জনগণের অংশগ্রহণমূলক ভোটের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠন করতে চাই।  

স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মের নামে রাজনীতি করিনা। আমরা এখনো ক্ষমতায় যাইনি, দেশ সৈরাচারের শোষন থেকে মুক্ত হয়েছে তবে সেটার প্রত্যাবর্তন যেন আমাদের দ্বারা না ঘটে। ঘুষ দূর্নিতী বা চাঁদাবাজির মত অপকর্মে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর  ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নায়ক নিশো এবার গায়ক, ‘দাগি’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকে দিলেন কণ্ঠ

আফরান নিশোর। ছবি: সংগৃহীত

নাটক ও ওয়েব সিরিজের পর এবার বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আফরান নিশোর। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি এবার নতুন পরিচয়ে চমক দিলেন তিনি—গায়ক হিসেবেও দেখা গেল তাকে। ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘দাগি’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশো। গানটির কথা- ‘তোমাদের চোখে দাগি, সমাজের চোখে দাগি, যতবার খুশি মারো, তত বারবার জাগি।’ গানের কথাগুলো যেন সিনেমার মূল চরিত্রের আত্মকথন।

২৬ মার্চ গানটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন রাসেল মাহমুদ, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আরাফাত মহসীন। গানে মূলত নিধির সঙ্গে কিছু অংশ গেয়েছেন নিশো।

গানের বিষয়ে নিশো জানান, তিনি পরিকল্পনা করেই গানটি গাইতে যাননি। বিষয়টি তার জন্য সারপ্রাইজ ছিল। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল তাঁকে গানটির একটি ডেমো শুনিয়ে মতামত জানতে চান। পরে নিশোকেই গানটির কণ্ঠ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নিশো বলেন, ‘গানটির কথা এবং ভাবনা আমার কাছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে, তাই গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

 

 আফরান নিশোর। ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় শুটিং করা ‘দাগি’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। তিনিই এর গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন। এতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে। ‘দাগি’ সিনেমাটি আসছে ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ
বিএনপি বিনা ভোটের সরকার গঠন করতে চায় না: সামসুজ্জোহা খান
নায়ক নিশো এবার গায়ক, ‘দাগি’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকে দিলেন কণ্ঠ
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল ইরান
ধানমন্ডিতে র‍্যাব-ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৪
শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলব: সারজিস আলম
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান লা লিগা খেলা জিদান মিয়া
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কিত প্রস্তাব গৃহীত
মুসলিম উম্মাহকে শবে কদরের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
চার দিনের সফরে চীন পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস
ভারতে ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিলের উৎস! দাবি তুলসী গ্যাবার্ডের দপ্তরের
ছায়ানটে অশ্রু-গানে সন্‌জীদা খাতুনের শেষ বিদায়
মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফেরত দিতে ১২ জনের আবেদন
রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না
বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৩০
র’কে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩ (ভিডিও)
শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন