বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত রেল কর্মকর্তা কুদরতের সম্পত্তির পাহাড়

রাজশাহীর বহরমপুরে কুদরতের বিলাসবহুল বাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি রেলের সাবেক প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) কর্মকর্তা কুদরত ই খুদার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় গোটা রেল অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং রেলভবনের চায়ের কাপের প্রধান আলোচনা এই প্রেম কাহিনী। শুধু নারী কেলেঙ্কারীই নয় রেলে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়।

উল্লেখ্য যে, রাজশাহী রেল মেডিকেলের হিন্দু ধর্মের এক মহিলা কর্মচারীর সাথে তার ৩ বছরের অনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরে তাকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় উক্ত মহিলা কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) থেকে বদলি করে ঢাকায় যুগ্ম মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করে আনা হয়। টুম্পা ছাড়াও আরও অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকায় কুদরতের সাথে প্রায়ই তার উপপত্নী টুম্পা রাণীর সাথে মনোমালিন্য হত। কিন্তু তবুও তার এ অপকর্মের পথচলা থামাতে পারেনি। এই কাজে কুদরতকে সহযোগিতা করতে কয়েকজন ঠিকাদার। আরও পড়ুন: রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নারী কেলেঙ্কারি, রেল সচিবের কাছে অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

 মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা এবং টুম্পা রাণী সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি তার আরেক মহা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রেলের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নিয়ে তিনি দুর্নীতি করেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পশ্চিমাঞ্চল যান্ত্রিক বিভাগে প্রায় ৪৭৩ জন্য কর্মী আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয় যা সবই অনুমোদন করেন কুদরত ই খুদা। আউট সোর্সিং নিয়োগ বিধিমালা -২০১৮ এর ৩(১) ধারা মতে- আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন পদ সৃষ্টির প্রয়োজন হবে না এবং কোন পদের বিপরীতেও এ সেবা ক্রয় করা যাবে না। ৩(১০) ধারা মতে আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির বয়স সীমা ১৮-৬০ বছর। ১২ টি ক্ষেত্রে ৫ ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং নিয়োগ সম্পন্ন করা যাবে অঞ্চলভেদে যাদের ন্যূনতম বেতন ১৬, ১৩০/ টাকা থেকে ১৯,১১০/ টাকা পর্যন্ত।

পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬(৫) ধারা মতে সন্তোষজনক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা যাবে অর্থাৎ একবার আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে গেলে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আর চাকুরির নিয়ে চিন্তা থাকার কথা না।

আগে যে টিএলআর বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা ছিল কেবল শূন্য পদের বিপরীতে, ফলে সেখানে পদ শূন্য না থাকলে নিয়োগ করার কোন সুযোগই থাকতো না। অথচ এখন একেবারে এক্ষেত্রে উদারহস্ত যে কোন সরকারি অফিস ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে কোন পদে যত ইচ্ছে নিয়োগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া প্রতি বছর শেষে সেবাদানকারী ঠিকাদারের সাথে সেবা গ্রহণকারী কর্মকর্তা পুনরায় ১ বছরের চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।

এই বিধিমালার পুরো অসদব্যবহার করতে কুদরত তার পুরো শক্তি নিয়োগ করেন। লোকজনের মাঝে তার বাহিনী ছড়িয়ে দেয় যে এটা এক ধরনের সরকারী চাকুরী। ৬০ বছর পর্যন্ত একজন কর্মচারী এই চাকরি করতে পারবে। এমন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কুদরত বাহিনী তথা কিছু অসাধু ঠিকাদার, কিছু দালাল, নারী ঠিকাদার এবং সুযোগসন্ধানী নানা গ্রুপের প্ররোচনায় চাকরিপ্রার্থী প্রত্যেকের নিকট ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের বিনিময়ে তিনি ৪৭৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন যাতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয় যেখানে কুদরতের শেয়ার ২০-৩০% এর কোন অংশেই কম নয় বলে জানা যায়।

কুদরত ই খুদা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নিয়োগ দিলেও বাস্তবে তার প্রতি জনের বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার পরই নিয়োগে সম্মতি দিতেন। রাজশাহী, লালমনিরহাট, পাকশী, সৈয়দপুর এই ৪ জায়গায় ৪৭৩ জন নিয়োগে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

কুদরত লালমনিরহাট, পাকশী,রাজশাহী এবং সৈয়দপুরে ১৬ টি প্যাকেজে ৬ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে উক্ত কাজগুলো দেন। এই টেন্ডারগুলো তদন্ত করলে আরও থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এই আউটসোর্সিং কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নাই এবং তাদের ন্যূনতম যোগ্যতাও নাই। কলকারখানা পরিদর্শন দপ্তর থেকে যে সার্টিফিকেট নেওয়া লাগে তার সবই ভুয়া। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে র‍য়েছে মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ, জাকি এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, এইচ এন্ড এইচ এন্টারপ্রাইজ এবং শাহ আমান্ত এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুদরতের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই ৪৭৩ জনের মধ্যে অর্ধেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি। এইসব কর্মচারী সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের সাথে বেতনের ৩০% বা ৪০% দেওয়ার চুক্তিতে রয়েছেন। এর ফলে কাউকে অফিস করতে হয় না। প্রতি মাসে একদিন অফিসে এসে সাইন করে গেলেই হয়। পরে মাস শেষে ইনচার্জকে চুক্তি মোতাবেক পার্সেন্টেজ দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যায়। এভাবেই ইনচার্জরা তাদের কমিশন বাণিজ্য নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া বাকী যারা সার্ভিসে আছেন তাদেরও বড় একটা অংশ বড় স্যারদের বাসায় বাসায় ৪/৫ জন করে পালাক্রমে ডিউটি করছেন। তাদের কেউ স্যারের নিয়মিত বাজার করেন, কেউ সবজি বাগান করেন, কেউ আবার স্যারের ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করেন। এভাবেই চলছে তথাকথিত আউটসোর্সিং এর নামে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের দিনকাল। এছাড়াও রেলভবনের অনেক প্রভাবশালী স্যার মেডামদের বাসায়ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্তরা কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও আফরাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুজ্জামান (চপল) নামে কুদরতের আছে নিজস্ব ঠিকাদার বা পার্টনার। এই সাইফুজ্জামানের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কোন কাজ করা কোন ঠিকাদারের সম্ভব নয়। নতুন কোনো ঠিকাদার আসলে কৌশলে সেই ঠিকাদারকে সাইফুজ্জামানের ইশারায় কঠিন কাজ দেয়া হয়। পরে অফিস থেকে বলে দেয় এই কাজ আপনাকে উঠিয়ে দিবে সাইফুজ্জামান। তাছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগের সৈয়দপুর পার্বতীপুর পাকসী দপ্তরের প্রধানগণ অনেক সময় কাজ অন্য ঠিকাদারকে দিলেও বলে দেন মালামাল যেন সাইফুজ্জামানের থেকে নেয়া হয়। এই সুযোগে সাইফুজ্জামান (চপল) ২ লাখ টাকার মালামাল ৮-৯ লাখ টাকার বিক্রি করেন। এই লাভের একটি অংশ যায় কুদরতের পকেটে। এই ভাবে কদরতের সাথে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাইফুজ্জামান। এছাড়াও অনেক ঠিকাদার বলেন সাইফুজ্জামান (চপল) এর অর্ধেক সম্পদের মালিক কুদরত।এই সাইফুজ্জামানের সম্পদের তথ্য খুজলে কুদরতের আরও সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে রাজশাহীর ঠিকাদারদের একটি অংশ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও সৈয়দপুর পার্বতীপুরের অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানের পকেটে থাকেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহীর পদ্মা আবাসিকে কুদরতের ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুজ্জামান(চপল) ও কুদরতের একাধিক ফ্লাট।ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও কুদরত একের পরে এক লাভজনক পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বহরমপুর সম্প্রতি তিনি ৫ তলার একটা আলিশান বাড়ি গড়েছেন। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৮-১০ কোটি টাকা। এই বাড়িতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। এছাড়াও রাজশাহী শহরের শিরোইল কলোনীতে তার রয়েছে একটা ৫ তলা বাড়ি, পদ্মা আবাসিকে একাধিক ফ্ল্যাট। রাজশাহী রেলভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২টি, মোহাম্মদ ও ধানমন্ডিতে ১ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে কুদরতের। তাছাড়া ঢাকায় এক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীর সাথে তার রয়েছে পার্টনারশিপ ব্যবসা।

এসব বিষয়ে জানতে কুদরত-ই-খুদার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

টুম্পা রাণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুদরতকে রেলভবনে নামকাওস্তে বদলি করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি রাজবাড়ি ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। কুদরতের এই দাপটের সহযোগী হিসেবে রয়েছে নীতিহীন কিছু রেল কর্মকর্তা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। হয়তো অচিরেই আরেকটা ঘটনার আড়ালে এসব ঘটনা সব চাপা পড়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন রেলওয়ের কর্মকর্তা কুদরতের কিছু হবে জাতিও এমনটাও আশা করে না। কারণ অসাধু ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী মহলের চাপে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকটাই মেরুদণ্ড সোজা করে দৃষ্টান্তমূলক কিছু পদক্ষেপ নিবে নাকি ম্যানেজ হয়ে ঘুমে থাকার ভান করবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Header Ad

পুরুষ না নারী, কে বেশি ঘুমায়?

ছবি: সংগৃহীত

ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরিক বৃত্তীয় ক্রিয়া। সুস্থতার জন্য মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায় ভালো মানের ঘুম। কিন্তু জানেন কি পুরুষ না নারী- কে বেশি ঘুমায়? গবেষণায় মিলেছে অবাক করা সেই তথ্য।

নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমান, এমনই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। যদিও এই তথ্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করেন না সকলে। অনেকের মতে, এটি সম্পূর্ণই গুজব। কিন্তু সত্যি কি পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়? গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারীদের প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ভালো ঘুম হওয়া জরুরি। আসলে বিভিন্ন বয়সে নারীদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। তাই সেই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্যই প্রয়োজন ঘুম।

একইসঙ্গে পুরুষদের তুলনায় নারীদের দৈনন্দিন জীবনে বেশি চাপ এবং উদ্বেগ থাকে। সবকিছুর সঙ্গে মোকাবেলা করে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তাই পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন বলেই গবেষণায় বলা হয়েছে। শুধু ঘুমই নয়, ভালো মানের ঘুমও জরুরি।

প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ এবং নারীদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম অনেক বেশি সজাগ। তুলনায় ছেলেদের মধ্যে গভীর ঘুমের প্রবণতা আছে। মেয়েদের ঘুম খুব পাতলা হয়। ফলে সময় পেলেও বিভিন্ন কারণে ভেঙে যায়। অনেক মহিলারা যেহেতু ঘর এবং বাইরে দু'দিকে সামলাতে হয়, ফলে মানসিক চাপ সবসময়ে কাজ করে। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর সুযোগ কম থাকে।

উল্লেখ্য, প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও বয়সের সাথে মানুষের ঘুমের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। তা সত্ত্বেও বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রতি রাতে প্রায় অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত।

Header Ad

ভারতের কাছে পাকিস্তানে না যাওয়ার লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করবে পাকিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দু’দিন আগেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয় শাহরা। প্রতিযোগিতার আয়োজন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। এতে খুশি নন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। তারা বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। স্টেডিয়াম সংস্কার করেছে তারা। ক’দিন আগে ১০০ দিনের গণনা শুরু করেছে। এমন সময় ৮ দলের টুর্নামেন্টটি অনিশ্চিতার মধ্যে পড়ে গেছে। সম্ভাব্য হাইব্রিড পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। তবে পাকিস্তান এখনো দেশে সম্পূর্ণ টুর্নমেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিষয়টি নিয়ে পিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হাইব্রিড মডেলের কোন চিন্তাই করা হচ্ছে না।’ এর আগে ২০২৩ সালে পিসিবির আয়োজনে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচগুলো অন্যত্র হয়েছিল এবং বাকি ম্যাচ হয়েছিল পাকিস্তানে। তবে ওই বছরই বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফর করেছে পাকিস্তান দল। শর্ত ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দলও পাকিস্তানে যাবে। কিন্তু কথার খেলাপ হওয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পিসিবি ও পাকিস্তান সরকার।

বিসিসিআইয়ের বক্তব্য জানার পর আইসিসি কর্তারা ভারতের ম্যাচগুলোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। অবশ্য, এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হয়নি। তারা আপাতত যুযুধান দু’দেশের বোর্ড কর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ এক দশকের বেশি সময়। ২০০৭-০৮ মরসুমে শেষবার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দেশ। ২০১২ সালে শেষবার ভারতের মাটিতে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। তার পর থেকে বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ হয় না। গত বছর এশিয়া কাপের জন্য বিসিসিআই রোহিতদের পাকিস্তানে না পাঠালেও এক দিনের বিশ্বকাপের সময় বাবর আজমদের ভারতে পাঠিয়েছিল পিসিবি।

Header Ad

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজি কবির মারা গেছেন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজি কবির মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রোজি কবির (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মারা গেছেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।

বেগম রোজি কবির দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী। মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হবে এবং সেখানে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি।

তিনি ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৮ম জাতীয় সংসদে মহিলা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর হালিশহরের একটি প্রখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাই, সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পরিকল্পনামন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ। তার হাত ধরেই বেগম রোজি কবির রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেন।

বেগম রোজি কবির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া পড়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পুরুষ না নারী, কে বেশি ঘুমায়?
ভারতের কাছে পাকিস্তানে না যাওয়ার লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজি কবির মারা গেছেন
তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ বাংলাদেশী নারী আটক
খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্বে তারেক রহমান, ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন
‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক- কেন এত সমর্থন?
মিষ্টি পান চাষে জহুরুলের বাজিমাত, অল্পদিনেই সংসারে ফিরেছে দারুণ স্বচ্ছলতা
ঝুহাইয়ে প্রাইভেটকারের চাপায় ৩৫ জনের মৃত্যু, আহত ৪৩
বশির উদ্দিন ও ফারুকীকে সরাতে আইনি নোটিশ
ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে : মঈন খান