শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত রেল কর্মকর্তা কুদরতের সম্পত্তির পাহাড়

রাজশাহীর বহরমপুরে কুদরতের বিলাসবহুল বাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি রেলের সাবেক প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) কর্মকর্তা কুদরত ই খুদার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় গোটা রেল অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং রেলভবনের চায়ের কাপের প্রধান আলোচনা এই প্রেম কাহিনী। শুধু নারী কেলেঙ্কারীই নয় রেলে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়।

উল্লেখ্য যে, রাজশাহী রেল মেডিকেলের হিন্দু ধর্মের এক মহিলা কর্মচারীর সাথে তার ৩ বছরের অনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরে তাকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় উক্ত মহিলা কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) থেকে বদলি করে ঢাকায় যুগ্ম মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করে আনা হয়। টুম্পা ছাড়াও আরও অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকায় কুদরতের সাথে প্রায়ই তার উপপত্নী টুম্পা রাণীর সাথে মনোমালিন্য হত। কিন্তু তবুও তার এ অপকর্মের পথচলা থামাতে পারেনি। এই কাজে কুদরতকে সহযোগিতা করতে কয়েকজন ঠিকাদার। আরও পড়ুন: রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নারী কেলেঙ্কারি, রেল সচিবের কাছে অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

 মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা এবং টুম্পা রাণী সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি তার আরেক মহা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রেলের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নিয়ে তিনি দুর্নীতি করেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পশ্চিমাঞ্চল যান্ত্রিক বিভাগে প্রায় ৪৭৩ জন্য কর্মী আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয় যা সবই অনুমোদন করেন কুদরত ই খুদা। আউট সোর্সিং নিয়োগ বিধিমালা -২০১৮ এর ৩(১) ধারা মতে- আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন পদ সৃষ্টির প্রয়োজন হবে না এবং কোন পদের বিপরীতেও এ সেবা ক্রয় করা যাবে না। ৩(১০) ধারা মতে আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির বয়স সীমা ১৮-৬০ বছর। ১২ টি ক্ষেত্রে ৫ ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং নিয়োগ সম্পন্ন করা যাবে অঞ্চলভেদে যাদের ন্যূনতম বেতন ১৬, ১৩০/ টাকা থেকে ১৯,১১০/ টাকা পর্যন্ত।

পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬(৫) ধারা মতে সন্তোষজনক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা যাবে অর্থাৎ একবার আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে গেলে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আর চাকুরির নিয়ে চিন্তা থাকার কথা না।

আগে যে টিএলআর বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা ছিল কেবল শূন্য পদের বিপরীতে, ফলে সেখানে পদ শূন্য না থাকলে নিয়োগ করার কোন সুযোগই থাকতো না। অথচ এখন একেবারে এক্ষেত্রে উদারহস্ত যে কোন সরকারি অফিস ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে কোন পদে যত ইচ্ছে নিয়োগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া প্রতি বছর শেষে সেবাদানকারী ঠিকাদারের সাথে সেবা গ্রহণকারী কর্মকর্তা পুনরায় ১ বছরের চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।

এই বিধিমালার পুরো অসদব্যবহার করতে কুদরত তার পুরো শক্তি নিয়োগ করেন। লোকজনের মাঝে তার বাহিনী ছড়িয়ে দেয় যে এটা এক ধরনের সরকারী চাকুরী। ৬০ বছর পর্যন্ত একজন কর্মচারী এই চাকরি করতে পারবে। এমন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কুদরত বাহিনী তথা কিছু অসাধু ঠিকাদার, কিছু দালাল, নারী ঠিকাদার এবং সুযোগসন্ধানী নানা গ্রুপের প্ররোচনায় চাকরিপ্রার্থী প্রত্যেকের নিকট ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের বিনিময়ে তিনি ৪৭৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন যাতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয় যেখানে কুদরতের শেয়ার ২০-৩০% এর কোন অংশেই কম নয় বলে জানা যায়।

কুদরত ই খুদা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নিয়োগ দিলেও বাস্তবে তার প্রতি জনের বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার পরই নিয়োগে সম্মতি দিতেন। রাজশাহী, লালমনিরহাট, পাকশী, সৈয়দপুর এই ৪ জায়গায় ৪৭৩ জন নিয়োগে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

কুদরত লালমনিরহাট, পাকশী,রাজশাহী এবং সৈয়দপুরে ১৬ টি প্যাকেজে ৬ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে উক্ত কাজগুলো দেন। এই টেন্ডারগুলো তদন্ত করলে আরও থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এই আউটসোর্সিং কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নাই এবং তাদের ন্যূনতম যোগ্যতাও নাই। কলকারখানা পরিদর্শন দপ্তর থেকে যে সার্টিফিকেট নেওয়া লাগে তার সবই ভুয়া। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে র‍য়েছে মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ, জাকি এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, এইচ এন্ড এইচ এন্টারপ্রাইজ এবং শাহ আমান্ত এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুদরতের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই ৪৭৩ জনের মধ্যে অর্ধেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি। এইসব কর্মচারী সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের সাথে বেতনের ৩০% বা ৪০% দেওয়ার চুক্তিতে রয়েছেন। এর ফলে কাউকে অফিস করতে হয় না। প্রতি মাসে একদিন অফিসে এসে সাইন করে গেলেই হয়। পরে মাস শেষে ইনচার্জকে চুক্তি মোতাবেক পার্সেন্টেজ দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যায়। এভাবেই ইনচার্জরা তাদের কমিশন বাণিজ্য নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া বাকী যারা সার্ভিসে আছেন তাদেরও বড় একটা অংশ বড় স্যারদের বাসায় বাসায় ৪/৫ জন করে পালাক্রমে ডিউটি করছেন। তাদের কেউ স্যারের নিয়মিত বাজার করেন, কেউ সবজি বাগান করেন, কেউ আবার স্যারের ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করেন। এভাবেই চলছে তথাকথিত আউটসোর্সিং এর নামে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের দিনকাল। এছাড়াও রেলভবনের অনেক প্রভাবশালী স্যার মেডামদের বাসায়ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্তরা কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও আফরাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুজ্জামান (চপল) নামে কুদরতের আছে নিজস্ব ঠিকাদার বা পার্টনার। এই সাইফুজ্জামানের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কোন কাজ করা কোন ঠিকাদারের সম্ভব নয়। নতুন কোনো ঠিকাদার আসলে কৌশলে সেই ঠিকাদারকে সাইফুজ্জামানের ইশারায় কঠিন কাজ দেয়া হয়। পরে অফিস থেকে বলে দেয় এই কাজ আপনাকে উঠিয়ে দিবে সাইফুজ্জামান। তাছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগের সৈয়দপুর পার্বতীপুর পাকসী দপ্তরের প্রধানগণ অনেক সময় কাজ অন্য ঠিকাদারকে দিলেও বলে দেন মালামাল যেন সাইফুজ্জামানের থেকে নেয়া হয়। এই সুযোগে সাইফুজ্জামান (চপল) ২ লাখ টাকার মালামাল ৮-৯ লাখ টাকার বিক্রি করেন। এই লাভের একটি অংশ যায় কুদরতের পকেটে। এই ভাবে কদরতের সাথে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাইফুজ্জামান। এছাড়াও অনেক ঠিকাদার বলেন সাইফুজ্জামান (চপল) এর অর্ধেক সম্পদের মালিক কুদরত।এই সাইফুজ্জামানের সম্পদের তথ্য খুজলে কুদরতের আরও সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে রাজশাহীর ঠিকাদারদের একটি অংশ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও সৈয়দপুর পার্বতীপুরের অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানের পকেটে থাকেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহীর পদ্মা আবাসিকে কুদরতের ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুজ্জামান(চপল) ও কুদরতের একাধিক ফ্লাট।ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও কুদরত একের পরে এক লাভজনক পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বহরমপুর সম্প্রতি তিনি ৫ তলার একটা আলিশান বাড়ি গড়েছেন। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৮-১০ কোটি টাকা। এই বাড়িতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। এছাড়াও রাজশাহী শহরের শিরোইল কলোনীতে তার রয়েছে একটা ৫ তলা বাড়ি, পদ্মা আবাসিকে একাধিক ফ্ল্যাট। রাজশাহী রেলভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২টি, মোহাম্মদ ও ধানমন্ডিতে ১ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে কুদরতের। তাছাড়া ঢাকায় এক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীর সাথে তার রয়েছে পার্টনারশিপ ব্যবসা।

এসব বিষয়ে জানতে কুদরত-ই-খুদার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

টুম্পা রাণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুদরতকে রেলভবনে নামকাওস্তে বদলি করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি রাজবাড়ি ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। কুদরতের এই দাপটের সহযোগী হিসেবে রয়েছে নীতিহীন কিছু রেল কর্মকর্তা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। হয়তো অচিরেই আরেকটা ঘটনার আড়ালে এসব ঘটনা সব চাপা পড়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন রেলওয়ের কর্মকর্তা কুদরতের কিছু হবে জাতিও এমনটাও আশা করে না। কারণ অসাধু ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী মহলের চাপে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকটাই মেরুদণ্ড সোজা করে দৃষ্টান্তমূলক কিছু পদক্ষেপ নিবে নাকি ম্যানেজ হয়ে ঘুমে থাকার ভান করবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপি যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার জন্য কাগজ কেনাকে ঘিরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই দুর্নীতির পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবি ও সচিবালয়ের একাধিক জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও বাণিজ্য করেছেন তিনি।

সূত্র বলছে, পাঠ্যবই পরিমার্জনের নামে সময়ক্ষেপণের সুযোগে তানভীর ও তার ঘনিষ্ঠ একটি চক্র এনসিটিবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কয়েক হাজার টন কাগজ আমদানি করায় এবং শুল্ক মওকুফ করিয়ে নেয়। এই আমদানিকৃত কাগজ প্রেস মালিকদের বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এতে প্রতি টনে ৫০ হাজার টাকা করে বেশি আদায় করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু আমদানিকৃত কাগজ নয়, দেশীয় কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট প্রেস মালিকদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে তানভীরের বিরুদ্ধে। এভাবে পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে।

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এনসিটিবির চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে একপ্রকার অলিখিতভাবে বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কেনায় বাধ্য করা হয়।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর এনসিপি গত ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। চিঠিতে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ প্রভাব এবং এনসিটিবির কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গোপন তথ্য যাচাই শেষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

তানভীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতিপত্র না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত সেখানে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন বদলির তদবিরে জড়িত ছিলেন।

তবে সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৩ মার্চ কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, আমি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করব।’

তিনি দাবি করেন, ‘১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।’

তবে রাজনৈতিক মহল ও সংশ্লিষ্ট মহলে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি টক শোতে তাঁকে ডিসি নিয়োগে তিন কোটি টাকার চেক গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়।

এনসিটিবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য দুর্নীতির অভিযোগ ও তাতে রাজনৈতিক দলের নেতার সম্পৃক্ততা প্রশাসনিক ও নীতিগত প্রশ্নও তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহের স্থগিতাবস্থা কাটিয়ে আইপিএল ২০২৫ মৌসুম শুরু হচ্ছে আবারও ১৭ মে থেকে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে আইপিএল ফের শুরুর আগে এক সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও বিসিসিআই।

বিতর্কের মূল কারণ, বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দিল্লির দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। ১৪ মে দিল্লি ঘোষণা করে, অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে মুস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে। জ্যাক ভারতে ফিরে আসতে রাজি হননি, তাই বিসিসিআইয়ের বিশেষ নিয়ম মেনে দিল্লি বদলি ক্রিকেটারকে হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয়।

তবে এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি অনেক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত। তারা বিসিসিআই ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন এবং দিল্লির ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এমনটায় জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।

বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া হামলার প্রেক্ষিতে অনেকেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার বিরোধিতা করছেন। বিসিসিআই এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বদলি খেলোয়াড় নেওয়ার অনুমতি দিলেও, ভক্তদের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ক্রিকেটারকে এখনই নেওয়া উচিত হয়নি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

জাপান থেকে আরও বেশি সহজ শর্তের ঋণ এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) আলোচনায় বাংলাদেশের তরফে এসব অনুরোধ করা হয়।

বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাপান থেকে আরও অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর সংস্কার উদ্যোগগুলোর প্রতি জোরাল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান। বলেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। রাজনৈতিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশলকে অগ্রাধিকার এবং ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ পুরোপুরি অর্জনে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এলডিসি-উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার অনুরোধও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে জাপান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ফল ও সবজির প্রবেশাধিকার নিয়েও একযোগে কাজ করার কথা বলেছে। রোহিঙ্গা পুর্নবাসন নিয়েও কাজ করার বলেছে দেশটি।

অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চলতি বছরই তা স্বাক্ষরের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে উভয় দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাপান বলেছে, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিতের জন্য আরও জোরালভাবে সম্পৃক্ত হবে দেশটি। একইসঙ্গে জাপানি উদ্যোক্তাদের কারখানা ও সরবরাহ চেইন বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথাও বলেছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
ডিসি পরিবর্তন করতে এনসিপি সংগঠক নাহিদের বিরুদ্ধে তদবিরের অভিযোগ!
রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ‘সুন্দর মহলে’ হামলা-ভাঙচুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড : রাশেদ খাঁন
তদবির বাণিজ্য: এনসিপির সাবেক নেতা তানভীরসহ ৪ জনকে দুদকে তলব
বাংলাদেশের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মুফতি স্বামীর বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা, ৯ বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ
সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী
মেট্রোরেলে ২৪ পদে ১২০ জনের চাকরির সুযোগ
৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ডিএসসিসি
চুরির টাকায় ফ্রিজ-আলমারি কিনে ধরা খেল কেয়ারটেকার
সাকিবকে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করল বিএসইসি
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ জওয়ান
বেনাপোল কাস্টমসে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি, স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি
ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি