ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই রাজউকের ‘স্মার্ট সিটি’

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৮ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৫ এএম


ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই রাজউকের ‘স্মার্ট সিটি’

রাজধানীর পাশেই আরেকটা নতুন ও স্মার্ট সিটি করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তপক্ষ(রাজউক)। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদলে এই স্মার্ট সিটি করার পরিকল্পনা করছে রাজউক। এটি করা হবে ৪ হাজার ৭০০ একর জমিতে।

রাজউক প্রণীত ঢাকা শহরের নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) স্মার্ট সিটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট ড্যাপের নতুন গেজেট প্রকাশিত হয়।

তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, সিটি করার কাজ রাজউকের নয। এটি আবাসন কোম্পানির কাজ।

রাজউক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে আধুনিক আবাসন সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষা আইটি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়ে ৪ হাজার ৭০০ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে স্মার্ট সিটি। ড্যাপের গেজেটে এই শহরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেরানীগঞ্জ স্মার্ট সিটি’।

নতুন ড্যাপে কেরানীগঞ্জ স্মার্ট সিটি থাকার বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশ-কে নিশ্চিত করেছেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, রাজউকের পরিকল্পনায় এমন একটি সিটির কথা উল্লেখ আছে।

রাজউক এর আগে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। এগুলো হলো উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্প, ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এবং পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। তবে এসব প্রকল্পের কাজ গত দুই যুগেও শুরু করতে পারেনি রাজউক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় জমি মালিক ও পরিবেশবাদীদের আপত্তির মুখে রাজউক ঘোষণা দিয়েছিল তারা আর নতুন কোনো আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করবে না। তা ছাড়া, রাজউকের এমন ‘আবাসন কোম্পানির’ ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন নগর পকিল্পনাবিদ ও পরিবেশবাদীরা।

এমন ঘোষণার পরও প্রতিষ্ঠানটি কেরানীগঞ্জে আরও একটি প্রকল্প গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় জমি মালিকরা অধিগ্রহণবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করলে রাজউক সেই সময় পিছু হটে।

সংশ্লিষ্টরা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রায় ১৫ বছর কাজই শুরু করা যায়নি পূর্বাচলে। নিয়মিত অধিগ্রহণবিরোধী মিছিল করতেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে জমি মালিক এবং পুলিশের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হত। সেই সময় রাজউকের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় হাজার মামলা হয় আদালতে।

এ ছাড়া, রাজউকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে এসব প্রকল্প করতে গিয়ে রাজউক গাছপালা ধংস এবং নিম্নাঞ্চল ও বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ভরাট করেছে। এসব অভিযোগ উঠার পর বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) মতো নানা সংগঠন তখন রাজউকের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে।

জানতে চাইলে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজউকের কাজ তো আবাসন প্রকল্প করা নয়। এগুলো করবে আবাসন কোম্পানিগুলো। রাজউক আইনগত বিষয়গুলো তদারকি করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পবার চেয়ারম্যান বলেন, রাজউকের জলাধার সংরক্ষণ বা বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু এসব আবাসন প্রকল্প করতে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই পরিবেশের ক্ষতি করে এবং নিম্নাঞ্চল বা বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ভরাট করে। যেটা পূর্বাচলেও হয়েছে।

পূর্বাচলকেও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলছে রাজউক। এ লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে সরকার।

এনএইচবি/এমএমএ/

 


নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ফুটপাতে বিআরটিসি’র একটি বাস

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৪ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৪ পিএম


নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ফুটপাতে বিআরটিসি’র একটি বাস
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন বিজয় সরণি সংলগ্ন উড়োজাহাজ ক্রসিং মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের এক পাশ ব্লক করে ফুটপাতের ওপর উঠে পড়েছিল বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের পাশে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এতে সড়কের এক পাশে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ রেকার গাড়ির সহায়তায় বাসটি সরিয়ে নেয়। এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও ফুটপাতের পথচারী নিরাপত্তা বেষ্টনী বেঁকে গেছে। বিআরটিসির বাসটি আটক করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরে বাংলা নগর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শোভন চন্দ্র হোড় জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে ইউটার্ন করার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে মেট্রোরেলের স্প্যান, এরপর ফুটপাতে ধাক্কা দেয়। এতে কোনো যাত্রী হতাহতের খবর আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, বাসটির ফিটনেস সমস্যা। বাসের চালক-হেলপারের কাছে আমরা কোনো কাগজপত্র পাইনি। বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আপাতত বাসটি আটক রাখা হয়েছে।

শোভন চন্দ্র হোড় বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লেন ব্লক করে সড়কে লম্বালম্বি ফুটপাত বরাবর ওঠার কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এ কারণে অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তি ও অনাকাঙ্ক্ষিত যানজটে পড়তে হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আমরা বাসটি সরিয়ে নেওয়ার পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৪ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 

অনুসরণ করুন