বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশাসনে চাপা অস্থিরতা!

সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করেই প্রশাসনে এক ধরনের চাপা অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় সেটা আরও বেশি করে সামনে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত রবিবার (১৬ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের সঙ্গে মাঠপ্রশাসনের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপারদের (এসপি) বৈঠকে ডিসি-এসপিরা যেভাবে একত্রে ইসিকে তোপের মুখে ফেলার পর এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

সাবেক আমলারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণ না থাকলে বাধ্যতামূলক অবসরের ঘটনার কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে। তাদের কেউ কেউ বলছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া দরকার। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত বিধানের বিরুদ্ধে রিট করা দরকার।

রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, নিশ্চয়ই সরকার তার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ পেয়েছে যার জন্য বাধ্য হয়ে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। না হলে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র এক বছর আগে সরকার সমর্থক এই কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানোর অন্য কোনো কারণ নেই।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পদস্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরো ঘটনায় তারা রীতিমত স্তম্ভিত। এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারছেন নাকি এমন ঘটল যে, নিজ দপ্তরে কর্মরত একজন সচিবকে আকস্মকি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হল। সবার মুখে এ নিয়ে আলোচনা হলেও কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি। অনেক দপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন।

সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসেছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চান।

জবাবে তিনি বলেন, তার কোনো কারণ জানা নেই। তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে যেসব খবর বেরিয়েছে সেগুলো তিনি পত্রিকা পড়ে দেখেছেন। এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই উল্লেখ করে মকবুল হোসেন বলেন, ’আপনারা সত্য অনুসন্ধান করে বের করুন। তিনি কোনো অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও দাবি করেন।’

তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন-এমন অভিযোগের কথাও মোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া এই সচিব বলেন, আমি তারেক রহমানকে কখনো সামনাসামনি দেখিনি, দেখতেও চাই না।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং প্রশাসনে মধ্যে চাপা অস্থিরতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার সোমবার রাতে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই একটা আইন ছিল। রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে যে কাউকে অবসরে পাঠানোর ক্ষমতা ছিল সরকারের।

তারপর ১৯৭৪ সালে সরকারি কর্মচারীদের আইনে এই বিধান ছিল। ২০১৮ সালে সরকারি কর্মচারী আইন যখন হয় সেই আইনেও ৪৫ ধারায় সেটা যুক্ত করা হয়েছে। সরকারের এই ক্ষমতা আছে। সরকার এই ক্ষমতাটা প্রয়োগ করেছে। কথা হচ্ছে, এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে, একপক্ষীয় আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি চাইলে একমাত্র হাইকোর্টে যেতে পারবেন। এ পর্যন্ত যারা উচ্চ আদালতে গিয়েছেন সরকারের এসব আদেশের বিরুদ্ধে সেখানে কোথাও সরকার জয়যুক্ত হয়নি।

তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া ছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক না। যদিও আইনে এই ধরনের কথা বলা নাই। আমাদের সংবিধানে কিন্তু আছে, কাউকে শাস্তি দিতে হলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।

আলীইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি আইনের বিধানটি প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার চাইলে এটা সংশোধন করতে পারে। বিধানটা সম্পর্কে সরকারকে ভাবা উচিত। আমি মনে করি এর আইনের বিরুদ্ধে রিট করা দরকার।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণ না থাকলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া উচিত নয়। এটি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গেও যায় না।

তিনি আরও বলেন, আইনে 'জনস্বার্থে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই' শব্দগুলো পরস্পরবিরোধী। সংবিধানে বিবৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগে গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশানরসহ অন্য কমিশনাররা ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সেই বৈঠকে ইসি আনিছুর রহমান সচিব নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কর্মকর্তারা নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের যে তেল খরচ দেওয়া হয়, সেটাও অনেক সময় তাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে পৌঁছায় না। তখন বেশ কয়েকজন ডিসি এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় কিছুটা হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

তখন আনিছুর রহমান বলেন, তিনি তথ্য-প্রমাণ নিয়েই কথা বলছেন। যদি কর্মকর্তারা তার বক্তব্য শুনতে না চান, তাহলে তিনি বক্তব্য দেবেন না। কর্মকর্তারা তার বক্তব্য শুনতে চান কি না, এমন প্রশ্ন রাখলে কেউ কেউ ‘না’ সূচক জবাব দেন। তখন বক্তব্য বন্ধ করে দেন আনিছুর রহমান।

এই ঘটনাও ইসির সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের এক ধরনরে বৈরিতার সম্পর্ক বলেও বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দেয়। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদরে এমন আচরণে প্রদান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিব্রত হন।

ইসির সঙ্গে ডিসি ও এসপিদের আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি মনে করি গত দুই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও যারা বৈঠকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করেছে তারা সঠিক করে নাই। তাদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে জনপ্রশাসনে লেখা উচিত ছিল।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ: এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপার সাপটিও চলে গেছে। বশিরউদ্দীন বলেন, "এটা আমাদের দেশে অনেকবার আলোচিত বিষয়, সেটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দুর্নীতি। শেখ হাসিনা যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপার সাপটাও চলে গেছে, আমি জানি না কেন এভাবে ঘটেছে।"

তিনি আরও বলেন, "উপদেষ্টা পরিষদ পয়সা বা টাকার জন্য আসেনি, তারা কাজের স্বচ্ছ সম্পর্ক নিয়ে একে অপরের কাছ থেকে শিখছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি, এটা দুর্নীতি কমার লক্ষণ।"

এছাড়া, বশিরউদ্দীন জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা চুরি হয়ে চলে গেছে, তবে বর্তমানে এই পরিমাণ টাকা চুরি হচ্ছে না। তিনি বললেন, "এখনও দুর্নীতি পুরোপুরি শেষ হয়নি, তবে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যার মাধ্যমে দুর্নীতি কমেছে এবং সামনে আরও কমবে।"

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে সতর্কবার্তা

(বাম থেকে) মিজানুর রহমান মিনু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং শফিকুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। এই নেতারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, এবং বিএনপির ত্রাণ ও পূনর্বাসন সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড এরশাদ আলী এশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক চিঠি গত সোমবার পাঠানো হয়। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ তাদের কিছু কার্যক্রম মহানগর বিএনপির শৃঙ্খলা এবং সংগঠনের ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

শফিকুল হক মিলনের বিরুদ্ধে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দলের নাম ব্যবহার করে বিতর্কিত কর্মসূচি চালাচ্ছেন এবং গঠনতন্ত্রের বিপক্ষে সাংগঠনিক পদ ব্যবহার করছেন। এতে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, যা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে এসেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বিরত থাকতে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।

এছাড়া মিজানুর রহমান মিনু ও মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তারা দায়িত্বশীল পদে থেকেও মহানগর কমিটিকে অমান্য করে বিতর্কিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন, যার ফলে দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। তাদেরকে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ জানিয়েছেন, গত বছরের আগস্ট মাসে, মিজানুর রহমান মিনু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে একটি জমি দখলের অভিযোগ করেছিলেন, যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এই বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল, তবে এর পরও একই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। ফলে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এই সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়ায় মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মন্তব্য করেছেন, তিনি মনে করেন, ইউনিট কমিটির এই চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নেই এবং তাদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। মিজানুর রহমান মিনু এ বিষয়ে বলেন, তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন এবং মহানগর কমিটির এই ধরনের কার্যক্রম দলের শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে।

এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড এরশাদ আলী এশা জানান, ২০২১ সালে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে মিনু, বুলবুল এবং মিলনের সঙ্গে তাদের অসহযোগিতার কারণে বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এই বিভাজন দলের শৃঙ্খলা ও ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি জানান, কেন্দ্রের নির্দেশেই তারা এসব নেতাদের সতর্ক করেছেন এবং ভবিষ্যতে যদি তারা শৃঙ্খলা না মানেন, তবে বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হবে।

Header Ad
Header Ad

যা রিমান্ড দেয় দিক, কিছু বলবি না: আইনজীবীকে দীপু মনি (ভিডিও)

পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে দীপু মনিকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ প্রহরায় তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। পরে যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় দীপু মনির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে ১০টা ২৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে দীপু মনিকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অবস্থায় দীপু মনিকে তার আইনজীবী বলেন,‘আপা, আজকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।’’ প্রতিউত্তরে দীপু মনি তার আইনজীবীকে বলেন, ‘যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই।’ তখন তার আইনজীবী বলেন, ‘আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি। কোনো শুনানি করব না।’

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এভাবেই নিজের আইনজীবীকে রিমান্ডের বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেন দীপু মনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালান। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন স্বজন মো. আলী।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রাজশাহীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে সতর্কবার্তা
যা রিমান্ড দেয় দিক, কিছু বলবি না: আইনজীবীকে দীপু মনি (ভিডিও)
আন্দোলনে শহীদ জসিমের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিপিজিসিবিএলে চাকরির সুযোগ, বেতন এক লাখ ৭৫ হাজার
আগামী বাজেটে সিগারেটে কর বাড়বে না: এনবিআর চেয়ারম্যান
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা
জিন আতঙ্কে ৫০ পোশাক শ্রমিক অসুস্থ, কারখানা ছুটি ঘোষণা
ঘুষ ছাড়া ফাইল ধরেন না নওগাঁ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী!
যুক্তরাষ্ট্রে আবদুস সোবহান গোলাপের ৯ বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে দুদক
৩৭ লাখ টাকাসহ আটক গাইবান্ধার সেই প্রকৌশলীকে বরখাস্ত
মহাকাশে আটকে পড়া ৯ মাসে কী খেতেন সুনিতারা!
‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ নাম পরিবর্তন করে পুনরায় ‘জিয়া উদ্যান’ ঘোষণা
মাদরাসায় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার থেকে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি : আসিফ মাহমুদ
হামজাকে ভালোবেসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন স্ত্রী অলিভিয়া (ভিডিও)
এসএসসির নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছাল গণিত পরীক্ষা
এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের সব ম্যাচ খেলবেন হামজা চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ