বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিন দফায়ও শেষ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংস্কার কাজ

তিন বছরেও শেষ করা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সভাকক্ষকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকমানে উন্নত করার কাজ। গত জুন পর্যন্ত আর্থিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৪২ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন কাজ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে।

কিন্তু নির্ধারিত সময় তো দূরের কথা— তিন দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ করা যায়নি। এবার চতুর্থবারের মতো সময় বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রুচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কার কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রুচিশীল ও সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কাজও শুরু হয় ছোট এ প্রকল্পটির। কিন্তু তিন বার সংশোধন করেও শেষ করা যায়নি।

এবার চতুর্থবার সংশোধনের প্রস্তাব করা হলে মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে ৩টি শর্তে সুপারিশ করেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সুপারিশে বলা হয়েছে—বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ব্যাংকুয়েট হল নির্মাণ, পলাশ হলের পরিবর্তন, ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়া হলের পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ বিভিন্ন সভাকক্ষের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিপিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও ছাড় করতে হবে। কোনো অঙ্গের ব্যয় প্রকল্প দলিলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে যেন বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২০২২ সালের জুন থেকে কার্যকর হওয়া সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকার ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বিনিয়োগ প্রকল্প সংশোধনের ব্যাপারে (৪.১.২ এ) উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো প্রকল্প দুইবারের বেশি সংশোধন করা যাবে না। বিশেষ কারণে তৃতীয়বার বা তৎপরবর্তী সংশোধনের ক্ষেত্রে অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করতে হবে। তারই অংশ বিশেষ অবহিত করার জন্য প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়।

যে কোনো প্রকল্প সংশোধন করতে হলে আইএমইডির সুপারিশ লাগে। বারবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে আইএমইডির সচিব আবু হেনা মো. মোর্শেদ জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। আইএমইডি ও পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব প্রদীব রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যেহেতু আমি বর্তমানে দায়িত্বে নেই। তাই কিছু বলা যাবে না। ছোট এ প্রকল্প আপনার সময়েও সংশোধন হয়েছে। এমন প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলেই না দেখে কিছু বলা যাবে না। এটাই স্বাভাবিক।

ছোট প্রকল্প হলেও চতুর্থবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজে কোনো উত্তর না দিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী (প্রজেক্ট) সার্কেল-১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে কোনো উত্তর পাওয়া না গেলেও পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এ অনুমতি পেতে দেরি হয়। বিধায় যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপত্তা অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু করা সম্ভব হয় না। বিধায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল।

তবে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এই মেয়াদে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পরিপত্র অনুসারে পিআইসি ও পিইসি সভা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে এক হাজার ২৭৫ বর্গমিটার শাপলা হলের সংস্কার কাজ, ৩৭০ বর্গমিটার পলাশ হলের, ৫১৪ বর্গমিটার মাশরুম হলের, ৫৭ বর্গমিটার শিমুল কল-অন রুমের, ২৩২ বর্গমিটার জেনারেল ক্যাফেটেরিয়ার, ২৪২ বর্গমিটার ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার, ১০০ বর্গমিটার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের, ১৭০ বর্গমিটার আইসিসি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের অফিস কক্ষগুলোর, ১২১ বর্গমিটার আইসিটি ব্লকের, ১২২ বর্গমিটার সচিব সভা কক্ষের, ১২৫ বর্গমিটার কেবিনেট হল লাউঞ্জের, এক হাজার ৯৫১ বর্গমিটার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন ব্লকের ছাদের সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৯৬টি আসবাবপত্র কেনা হবে। ২ হাজার ৯০৩ বর্গমিটার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রতিস্থাপন কাজ, ২০০ বর্গমিটার টেরাকোটা সরবরাহ ও সংস্থাপন কাজ, ১০০ বর্গমিটার পেইন্টিংস সরবরাহকরণ, ১২০ বর্গমিটার ২টি স্টোর এবং ২৬০ বর্গমিটার ব্যাংককুয়েট হল নির্মাণ কাজ করা হবে।

সূত্র জানায়, অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া দুই বার সংশোধন করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে তৃতীয়বার সংশোধন করে মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তারপরও মাত্র ৪২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তাই বাকি কাজ শেষ করতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সমিতি। আর সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সিনে সাংবাদিকরা।

১ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া ন্যক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

বৈঠকে শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। বৈঠক শেষে জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেন বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, ঘটনার তদন্তে বৈঠকে আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‘জয় চৌধুরীকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে। ’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

লিমন আহমেদ ছাড়াও ওই বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না।

এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান অভিনয়শিল্পীরা। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হন।

বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

ছবি:সংগৃহীত

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবন সহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।

এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।

সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।

ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোস্তফা আলামিন।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।

নামাজে অংশ নেয়া শহীদুল ইসলাম ও শাহারিয়ার শান্ত বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বইছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান,কার্যকারী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- কয়েক দিনআগে ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও ঔষধ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিক· আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন বক্তারা।


মানববন্ধনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ঔষধ কোম্পানীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানী গুলো নতুন নতুন আইটেমের ঔষধ তৈরী করে বাজারজাত করেছে। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ অনেক সময় কোম্পানীর উক্ত প্রোডাক্টস বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে ঔষধ সামগ্রীর গুণগত মান অনুমোদন/অনুমোদনহীন অনেক ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারেন না।


তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস্ যেমন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাদাচার, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ভেষজ, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হার্বাল ও ইমপোর্ট আইটেম প্রভৃতি নিয়মিত ভাবে লিখে আসছেন। যেগুলি ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদন নাই। যার বহু ব্যবস্থাপত্রের কপি ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক কোন কোম্পানী বা চিকিৎসকগণের ব্যাপারে কোন প্রকার পদক্ষেপ বাহন করেন নাই। প্রকাশ থাকে যে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ঔষধ বাজারজাত করছেন যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা ঔষধ ব্যবসায়ীগণ নানা প্রতিকুল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছি।


এদিকে এর প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় সকল ওষুধের দোকান।


এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন কোন আইনে করেছেন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়াল ভাবে শেয়ার করেন নাই। আমরা জানতে পেরেছি যে অনুমদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এর বেশি কিছু জানি না।’


জেলায় ঔষধের দোকানপাট বন্ধ রোগীরা জরুরী ঔষধ কিনতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতা নেই যে বলবো ঔষধের দোকান খুলতে। আমরা শুধু এটুকু বুঝিয়ে বলতে পারি রোগীদের ঔষধ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয় মানবিক দিক থেকে দেখবেন। ’

সর্বশেষ সংবাদ

জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন