শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শৌচাগার সংকটে শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগছে ট্রাফিক পুলিশ

রাজধানী ঢাকার সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের ৫ হাজারেরও বেশি সদস্য। রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-বাদলে সমানতালে কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। দিনে-রাতে পরিশ্রম করলেও রাস্তায় কাজ করা এই সদস্যেদের সমস্যার শেষ নেই। বিশেষ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পড়েন সবচেয়ে বড় সংকটে। 

নগরীর সিংহভাগ এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের জন্য নেই শৌচাগার সুবিধা। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা ক্লান্তি আসলে একটু বিশ্রামেরও সুবিধা নেই কোথাও।

এ নিয়ে ট্রাফিক পুলেশর সদস্যদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ আছে, তেমনি চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে-রাতে পরিশ্রম করা পুলিশের এই সদস্যরা শুধুমাত্র শৌচাগার সংকটের কারণে মূত্রনালির সংক্রমণ, পেটের ব্যথা, জ্বর, জ্বালা-যন্ত্রণাসহ নানান রোগে ভোগেন। শারীরক ও মানসিকভাবেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নগরীর বিভিন্ন সড়ক মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, তাদেরকে হয় গণ-শৌচাগারে কিংবা রাস্তার আশেপাশের ভবনগুলোতে যেতে হয়। এ কারণে প্রায়ই অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ২৫০ টিরও বেশি ট্রাফিক পুলিশ বক্স রয়েছে। কিন্তু ট্রাফিক বক্স থাকলেও তাদের ট্রাফিক সদস্যদের জন্য কোথাও শৌচাগার সুবিধা নেই। অব্যশ্য ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে উন্নত মানের কোনো ট্রাফিক বক্স নেই। উন্নত বক্স হলে এবং আশেপাশে একটু জায়গা থাকলে এ সমস্যার সমাধান কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।

ট্রাফিক পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, দুই সিটি করপোরেশনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে ট্রাফিকের জন্য শৌচাগার নির্মাণের কাজ। রাজধানীতে যে সকল ট্রাফিক বক্স আছে সেগুলো অধিকাংশ সিটি করপোরেশনের জায়গার মধ্যে পড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় শৌচাগারের সংকট। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বিশ্রামও নিতে পারেন না। রাস্তার পাশে বা গাছের আড়ালে বসে বিশ্রাম নিতে হয় তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য তাৎক্ষণিক অসুস্থ হলে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একটু শুয়ে থাকার কোনো পরিবেশ বা ব্যবস্থা নেই।
গুলশান জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সাদ্দাম বলেন, ট্রাফিকদের নানান সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হল কর্মস্থলের পাশে টয়লেট না থাকা। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, শৌচাগার ব্যবহারের জন্য আমাদেরকে বাইরের মার্কেট বা অফিসে যেতে হয়। যা লজ্জাকর ব্যাপার। এটির জরুরি সমাধান হওয়া উচিত।

রাজধানীতে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোছা. কাজল রেখা ও সাবিনা খাতুন বলেন, শৌচাগার সমস্যার কারণে তাদেরকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এটি একটি বড় সমস্যা। প্রথম প্রথম খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। পরবর্তীকালে কর্তব্য এলাকার কাছাকাছি সরকারি বা বেসরকারি অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়। এই সমস্যাটি সমাধান হওয়া জরুরি। এটা মানবিক বিষয়।

প্রায় একই কথা বলেছেন পলাশী মোড়ে কথা হওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেট মো. সিরাজ, ঢাকা মেডিকেল ও দোয়েল চত্বর এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট খায়রুল আলম। 

তারা বলেন, মাঝে মাঝে হঠাৎ করে আমার পেট ব্যথা শুরু হলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। শৌচাগার সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। কারণ, পুলিশের পোশাক পরে নারী বা পুরুষ ট্রাফিকের সদস্যরা যদি বাইরে টয়লেট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে মন্তব্যের মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে নারী সদস্যদের।

অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, শৌচাগারের সংকটটি দীর্ঘদিনের হলেও কিছু কিছু জায়গায় সমাধান করা হয়েছে। অনেক জায়গায় এটি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। 

তারা বলেন, অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশ বক্স সিটি করপোরেশনের অধীনে হওয়ার কারণে তারা জায়গা দিতে চায় না। ট্রাফিক বিভাগ রাস্তার পাশে শৌচাগার তৈরি করলে বা একটু বেশি জায়গা নিয়ে পুলিশ বক্স তৈরি করলে সিটি করপোরেশন সেটা ভেঙে দেয়।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে নারী এবং পুরুষ ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এসব সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। কিন্ত এই সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি।

কারওয়ান বাজার মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার কবির হোসেন বলেন, এখানে ৩৩ জন পুলিশ সদস্য প্রতিদিন ডিউটি করেন। তারা প্রকৃতির ডাকে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে ট্রাফিক বক্সে বসা যায় না। শৌচাগার নাই,হাত মুখ ধোয়া যায় না। নানা ধরনের সমস্যা মাথায় নিয়েই ট্রাফিকের সদস্যরা কাজ করেন।

মোহাম্মদপুর জোন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কায়েস বলেন, রাজধানীর কোথাও মানসম্মত তেমন কোনো ট্রাফিক বক্স নাই। মানসম্মত ট্রাফিক বক্স দরকার, যাতে পুলিশ সদস্যরা সেখানে খাবার খেতে পারেন বা খারাপ লাগলে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. আনোয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোনো মানুষ যদি মলমূত্র চেপে ধরে রাখে তাহলে শারীরিকভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যেমনতিনি খুব কম সময়ের মধ্যে পাইলস বা পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন। 

জানতে চাইলে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক গৌরব রঞ্জন সরকার বলেন, অনেক সময় ধরে টয়লেট বা প্রসাব ধরে রাখলে ইউরিন ইনফেকশন হয়। এ কারণে জ্বর, ব্যাথা, জ্বালা-যন্ত্রণাসহ অন্যান্য রোগ দেখা দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশের দীর্ঘদিনের দাবি টয়লেট বা শৌচাগারের দাবি যৌক্তিক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা দরকার।

ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কমিশনার মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় শৌচাগারের সংকট সমাধান হয়েছে। সিটি করপোরেশন আমাদের বলছে অনেক জায়গায় শৌচাগার তৈরি করতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সংকটটি সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশাকরি এটি সমাধান হবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।

এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানায় আবু সাঈদের পরিবার।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় আমার সংসার চলতো। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় যোগাযোগ রাখছে। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২০৯টি মামলায় ২৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে ঢাকায় ৬৩ ও ঢাকার বাইরে ২০৩ জনসহ মোট ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে আজ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।

এসময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত গ্রহণের জন্যও আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটিও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে’, মমতাকে কড়া বার্তা দিল্লির
বাজারে সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে এখনো অস্বস্তি