বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

শৌচাগার সংকটে শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগছে ট্রাফিক পুলিশ

রাজধানী ঢাকার সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের ৫ হাজারেরও বেশি সদস্য। রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-বাদলে সমানতালে কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। দিনে-রাতে পরিশ্রম করলেও রাস্তায় কাজ করা এই সদস্যেদের সমস্যার শেষ নেই। বিশেষ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পড়েন সবচেয়ে বড় সংকটে। 

নগরীর সিংহভাগ এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের জন্য নেই শৌচাগার সুবিধা। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা ক্লান্তি আসলে একটু বিশ্রামেরও সুবিধা নেই কোথাও।

এ নিয়ে ট্রাফিক পুলেশর সদস্যদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ আছে, তেমনি চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে-রাতে পরিশ্রম করা পুলিশের এই সদস্যরা শুধুমাত্র শৌচাগার সংকটের কারণে মূত্রনালির সংক্রমণ, পেটের ব্যথা, জ্বর, জ্বালা-যন্ত্রণাসহ নানান রোগে ভোগেন। শারীরক ও মানসিকভাবেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নগরীর বিভিন্ন সড়ক মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, তাদেরকে হয় গণ-শৌচাগারে কিংবা রাস্তার আশেপাশের ভবনগুলোতে যেতে হয়। এ কারণে প্রায়ই অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ২৫০ টিরও বেশি ট্রাফিক পুলিশ বক্স রয়েছে। কিন্তু ট্রাফিক বক্স থাকলেও তাদের ট্রাফিক সদস্যদের জন্য কোথাও শৌচাগার সুবিধা নেই। অব্যশ্য ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে উন্নত মানের কোনো ট্রাফিক বক্স নেই। উন্নত বক্স হলে এবং আশেপাশে একটু জায়গা থাকলে এ সমস্যার সমাধান কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।

ট্রাফিক পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, দুই সিটি করপোরেশনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে ট্রাফিকের জন্য শৌচাগার নির্মাণের কাজ। রাজধানীতে যে সকল ট্রাফিক বক্স আছে সেগুলো অধিকাংশ সিটি করপোরেশনের জায়গার মধ্যে পড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় শৌচাগারের সংকট। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বিশ্রামও নিতে পারেন না। রাস্তার পাশে বা গাছের আড়ালে বসে বিশ্রাম নিতে হয় তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য তাৎক্ষণিক অসুস্থ হলে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একটু শুয়ে থাকার কোনো পরিবেশ বা ব্যবস্থা নেই।
গুলশান জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সাদ্দাম বলেন, ট্রাফিকদের নানান সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হল কর্মস্থলের পাশে টয়লেট না থাকা। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, শৌচাগার ব্যবহারের জন্য আমাদেরকে বাইরের মার্কেট বা অফিসে যেতে হয়। যা লজ্জাকর ব্যাপার। এটির জরুরি সমাধান হওয়া উচিত।

রাজধানীতে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোছা. কাজল রেখা ও সাবিনা খাতুন বলেন, শৌচাগার সমস্যার কারণে তাদেরকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এটি একটি বড় সমস্যা। প্রথম প্রথম খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। পরবর্তীকালে কর্তব্য এলাকার কাছাকাছি সরকারি বা বেসরকারি অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়। এই সমস্যাটি সমাধান হওয়া জরুরি। এটা মানবিক বিষয়।

প্রায় একই কথা বলেছেন পলাশী মোড়ে কথা হওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেট মো. সিরাজ, ঢাকা মেডিকেল ও দোয়েল চত্বর এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট খায়রুল আলম। 

তারা বলেন, মাঝে মাঝে হঠাৎ করে আমার পেট ব্যথা শুরু হলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। শৌচাগার সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। কারণ, পুলিশের পোশাক পরে নারী বা পুরুষ ট্রাফিকের সদস্যরা যদি বাইরে টয়লেট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে মন্তব্যের মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে নারী সদস্যদের।

অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, শৌচাগারের সংকটটি দীর্ঘদিনের হলেও কিছু কিছু জায়গায় সমাধান করা হয়েছে। অনেক জায়গায় এটি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। 

তারা বলেন, অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশ বক্স সিটি করপোরেশনের অধীনে হওয়ার কারণে তারা জায়গা দিতে চায় না। ট্রাফিক বিভাগ রাস্তার পাশে শৌচাগার তৈরি করলে বা একটু বেশি জায়গা নিয়ে পুলিশ বক্স তৈরি করলে সিটি করপোরেশন সেটা ভেঙে দেয়।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে নারী এবং পুরুষ ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এসব সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। কিন্ত এই সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি।

কারওয়ান বাজার মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার কবির হোসেন বলেন, এখানে ৩৩ জন পুলিশ সদস্য প্রতিদিন ডিউটি করেন। তারা প্রকৃতির ডাকে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে ট্রাফিক বক্সে বসা যায় না। শৌচাগার নাই,হাত মুখ ধোয়া যায় না। নানা ধরনের সমস্যা মাথায় নিয়েই ট্রাফিকের সদস্যরা কাজ করেন।

মোহাম্মদপুর জোন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কায়েস বলেন, রাজধানীর কোথাও মানসম্মত তেমন কোনো ট্রাফিক বক্স নাই। মানসম্মত ট্রাফিক বক্স দরকার, যাতে পুলিশ সদস্যরা সেখানে খাবার খেতে পারেন বা খারাপ লাগলে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. আনোয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোনো মানুষ যদি মলমূত্র চেপে ধরে রাখে তাহলে শারীরিকভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যেমনতিনি খুব কম সময়ের মধ্যে পাইলস বা পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন। 

জানতে চাইলে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক গৌরব রঞ্জন সরকার বলেন, অনেক সময় ধরে টয়লেট বা প্রসাব ধরে রাখলে ইউরিন ইনফেকশন হয়। এ কারণে জ্বর, ব্যাথা, জ্বালা-যন্ত্রণাসহ অন্যান্য রোগ দেখা দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশের দীর্ঘদিনের দাবি টয়লেট বা শৌচাগারের দাবি যৌক্তিক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা দরকার।

ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কমিশনার মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় শৌচাগারের সংকট সমাধান হয়েছে। সিটি করপোরেশন আমাদের বলছে অনেক জায়গায় শৌচাগার তৈরি করতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সংকটটি সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশাকরি এটি সমাধান হবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের রেইনফরেস্টে পাঁচ সপ্তাহ আগে ২৬ ফুট লম্বা ভয়ংকর এক সাপের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। যার মাথা ছিল মানুষের মত। আর দেহ ছিল বড় বাসের টায়ারের মত। এই সাপটিকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের একটি দল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডিজনি+ সিরিজ ‘পোল টু পোল উইথ উইল স্মিথ’-এর দৃশ্য ধারণ করার সময় আমাজনের ভেতর দৈত্যাকার সাপটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন। আনা জুলিয়া নামের প্রায় ২০০ কেজি ওজনের এই সাপটিকে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম ফোরমোসো নদীতে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। সাপটি এতটাই বড় ছিল যে এটি মাথা মানুষের মাথার সমান ছিল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপগ্রিন অ্যানাকোন্ডা। ছবি: সংগৃহীত

 

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ডাচ বিজ্ঞানী প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক, যিনি সাপটিকে খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, সাপটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে এখনো তদন্ত চলছে।

সাপটির মৃত্যুর কথা ইন্সটাগ্রামে নিজেই জানিয়েছেন প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক। তিনি ইন্সটাগ্রামে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লিখেছেন, অন্তত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানাচ্ছি বিশালাকৃতির গ্রিন অ্যানাকোন্ডা, যেটির সঙ্গে আমি সাঁতার কেটেছিলাম, এ সপ্তাহের শেষ দিকে সেটিকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খুবই শক্তিশালী প্রাণী, একটি লড়াকু, যেটি নদীতে কয়েক দশক সাঁতার কেটেছে।

প্রফেসর ভাঙ্ক আরও লিখেছেন, যতদূর আমরা জানি, সাপটি খুবই সুস্থ ছিল এবং জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়ে ছিল। সামনের বছরগুলোতে সাপটি নিজের বংশধরের খুব ভালো যত্ন নিতে পারত। যেহেতু এ ধরনের সাপ খুব বেশি নেই ফলে তার মৃত্যুটি জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

গুলির মাধ্যমে সাপটিকে হত্যার যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি নিয়েও কথা বলেছেন প্রফেসর ভাঙ্ক। তিনি জানিয়েছেন, এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ডাচ বিজ্ঞানী বলেছেন, মৃত্যুর কারণ এখন তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছুই বিবেচনা করা হচ্ছে। সাপটির মৃত্যু প্রাকৃতিক কারণেও হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট

 

দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল

ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানুষ দুঃসময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। এসময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতালের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে ধরে বসে আছে। আমাদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সম্মিলিত করে। আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি। সে আন্দোলনে বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে মানুষ আজ মজলুম। পুরো দেশের মানুষ আজ জুলুমের শিকার। লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

এতে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত সেলিম, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ মাহমুদ চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক মশিউজ্জামান, জাগপার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে

গ্রেপ্তার শিক্ষক ছেলে জলিল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নিজের মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরিষাবাড়ী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাশঁবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ছেলে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাতে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত জলিল মিয়া পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের শ্যামের পাড়া ফিরোজা মনিজা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী খোদেজা বেগম বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে মেয়েকে ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করে সকল সম্পত্তি ছেলেকে লিখে দিতে বলে। এতে রাজি না হলে আমার খোঁজ খরব নেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে চিকিৎসা সেবাসহ কোন প্রকার ভরণপোষন দেয় না। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।এক পর্যায়ে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি বৃদ্ধ বয়সে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেই।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী খোদেজা বেগম থানায় ২০১৩ সনের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ৫(১) ধারায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে।

সর্বশেষ সংবাদ

গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিশ্বকাপ না জিতলে আমি হয়তো জাতীয় দল ছেড়ে দিতাম: মেসি