তরুণ-যুবকদের কুরে খাচ্ছে মাদক!

২২ অক্টোবর ২০২২, ১০:১০ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৪ পিএম


তরুণ-যুবকদের কুরে খাচ্ছে মাদক!

আজিমপুর রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে প্রথমে সিগারেট পরে মাদকে আসক্ত হয় মো. জাহাঙ্গীর। করোনাকালে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলে ১৫ সদস্যের কিশোর গ্যং।

তারপর থেকেই বেপরোয়া জাহাঙ্গীর গ্রুপ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ও সরকারি কোয়ার্টারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। কেউ বাধা দিলে সে কোয়ার্টারের দায়িত্বরত গার্ডদের মারধর করে। পুলিশের অভিযানে কয়েক বার ধরা পড়লেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ‘শয়তানের কপালে দুঃখ আছে। ও খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে। ওর উপর থেকে সন্তানের দাবি ছেড়ে দিয়েছি। যা মন চায় তাই করুক। ওর কারণে আমি মানুষের কাছে যেতে পারি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মকর্তার মেয়ে। পরে অনার্সে স্টামফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়। তার পিতা আফসোস করে বলেন, মেয়েটা ঘর ছাড়া হয়ে গেল। ওরে বিয়ে দেব, চাকরি দেব। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনে না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং জোরে জোরে কথা বলে।

শুধু জাহঙ্গীর বা ওই মেয়ে শিক্ষার্থীই নয়। এ রকম শত শত কিশোর, তরুণ, যুবক প্রতিদিনই মাদকে আসক্ত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শহর কী গ্রাম সব জায়গায়ই মাদকাসক্তদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে।

মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালো কার্যক্রম বা তৎপরতা নেই। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির মতো অপরাধ। মাদকসেবীরা মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

মাদকের এমন বিস্তারে সচেতন অভিভাবকরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দুশ্চিন্তায় স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে। তারা বলছেন, মাদকের ভায়াবহতা বাড়লেও এটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সন্তানদের খেয়াল না রাখলে যেকোনো সময় তারা মাদকে আসক্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের সঙ্গ দিচ্ছেন স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া পথে।

অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এ বিষয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট থেকেই কাউন্সেলিং বা পড়াশোনা করানো দরকার।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রের পিতা আযম আলী মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সকালে স্কুলে বাচ্চাকে নিজেই নিয়ে আসি। স্কুল শেষে ওর মা এসে নিয়ে যায়। একদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ অন্যদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। এ জন্য আমার স্ত্রীকে বলেছি যতই কষ্ট হোক ছেলেকে একা কোথাও ছাড়বে না এবং কার সঙ্গে মিশছে সেটাও খেয়াল রাখবে।’

ঢাকা সিটি কলেজে শিহাবুলের বাবা রিয়াদ চোধুরী বলেন, ‘আমি ব্যাংকে চাকরি করি। প্রতিদিন সকালে আমার গাড়িতে করে ছেলেকে কলেজে নামিয়ে দেই। ক্লাস শেষ হলে ও কলেজের শিক্ষকের মোবাইল দিয়ে ফোন করে, তখন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেই বা নিজেই গিয়ে এক সঙ্গে বাসায় চলে যায়।’

তিনি বলেন, এখন ছেলে-মেয়েদের খোঁজ-খবর না নিলে ওরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ জঙ্গিদের লাইনে আবার কেউ খারাপ বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। এ জন্যই এত সতর্কতা।’

তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব (ছন্মনাম)। সে অসৎ বন্ধুদের সঙ্গে চলে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাদকের টাকা যোগাতে সে বাসা থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত। তার পিতা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আফসোস করে বলেন, ছেলেটা যে কবে মাদকে আসক্ত হলো আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না! ওকে ধরে জোর পূর্বক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চিকিৎসা করতে ভর্তি করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, এখন ছেলে মেয়েরা মাদকে আসক্ত হওয়ার মূল কারণ হলো অবাধ স্বাধীনতা এবং সোসাল নেটওয়ার্কের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। অনেক অভিভাবক আছেন যে তারা সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন না।

গাড়ি চালক বা কাজের লোক দিয়ে বাচ্চাদের তদারকি করান। তাদের সঙ্গে পিতা-মাতা না আসায় অনেক বাচ্চা মন খারাপ করে। অন্য বন্ধুদের দেখে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কোনো তাদের বাবা-মা স্কুল-কলেজে তাকে নিতে আসেনি? এসব নিয়ে একাকিত্বে ভোগে অনেক ছেলে মেয়েরা। এজন্য বাচ্চাদের বড় হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে থাকা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু, কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাদকাসক্তির কারণে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে ইয়াবা সেবন বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সবাইকে এর কুফলগুলো ভালো ভাবে সমাজে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা এককভাবে মাদক দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সামাজিক ভাবে সবাইকে মাদককে না বলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘দিনদিন মাদকের চাহিদা বাড়ছে যার কারণে এতে আসক্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সমাজ ধংস হচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো যথাযথ উদ্যোগ চোখে পড়ে না।’

তিনি বলেন, অপরাধীকে নয় অপরাধকে না বলুন। মাদকের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী এবং বহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

তৌহিদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বের হতে হলে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া তেমন কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।

এনএইচবি/এমএমএ/


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২২ এএম


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ‍দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।

তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।

এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

 

 


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৯ এএম


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।ফাইল ছবি

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৮ এএম


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।

মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।

তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

অনুসরণ করুন