শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তরুণ-যুবকদের কুরে খাচ্ছে মাদক!

আজিমপুর রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে প্রথমে সিগারেট পরে মাদকে আসক্ত হয় মো. জাহাঙ্গীর। করোনাকালে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলে ১৫ সদস্যের কিশোর গ্যং।

তারপর থেকেই বেপরোয়া জাহাঙ্গীর গ্রুপ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ও সরকারি কোয়ার্টারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। কেউ বাধা দিলে সে কোয়ার্টারের দায়িত্বরত গার্ডদের মারধর করে। পুলিশের অভিযানে কয়েক বার ধরা পড়লেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ‘শয়তানের কপালে দুঃখ আছে। ও খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে। ওর উপর থেকে সন্তানের দাবি ছেড়ে দিয়েছি। যা মন চায় তাই করুক। ওর কারণে আমি মানুষের কাছে যেতে পারি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মকর্তার মেয়ে। পরে অনার্সে স্টামফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়। তার পিতা আফসোস করে বলেন, মেয়েটা ঘর ছাড়া হয়ে গেল। ওরে বিয়ে দেব, চাকরি দেব। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনে না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং জোরে জোরে কথা বলে।

শুধু জাহঙ্গীর বা ওই মেয়ে শিক্ষার্থীই নয়। এ রকম শত শত কিশোর, তরুণ, যুবক প্রতিদিনই মাদকে আসক্ত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শহর কী গ্রাম সব জায়গায়ই মাদকাসক্তদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে।

মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালো কার্যক্রম বা তৎপরতা নেই। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির মতো অপরাধ। মাদকসেবীরা মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

মাদকের এমন বিস্তারে সচেতন অভিভাবকরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দুশ্চিন্তায় স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে। তারা বলছেন, মাদকের ভায়াবহতা বাড়লেও এটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সন্তানদের খেয়াল না রাখলে যেকোনো সময় তারা মাদকে আসক্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের সঙ্গ দিচ্ছেন স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া পথে।

অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এ বিষয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট থেকেই কাউন্সেলিং বা পড়াশোনা করানো দরকার।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রের পিতা আযম আলী মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সকালে স্কুলে বাচ্চাকে নিজেই নিয়ে আসি। স্কুল শেষে ওর মা এসে নিয়ে যায়। একদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ অন্যদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। এ জন্য আমার স্ত্রীকে বলেছি যতই কষ্ট হোক ছেলেকে একা কোথাও ছাড়বে না এবং কার সঙ্গে মিশছে সেটাও খেয়াল রাখবে।’

ঢাকা সিটি কলেজে শিহাবুলের বাবা রিয়াদ চোধুরী বলেন, ‘আমি ব্যাংকে চাকরি করি। প্রতিদিন সকালে আমার গাড়িতে করে ছেলেকে কলেজে নামিয়ে দেই। ক্লাস শেষ হলে ও কলেজের শিক্ষকের মোবাইল দিয়ে ফোন করে, তখন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেই বা নিজেই গিয়ে এক সঙ্গে বাসায় চলে যায়।’

তিনি বলেন, এখন ছেলে-মেয়েদের খোঁজ-খবর না নিলে ওরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ জঙ্গিদের লাইনে আবার কেউ খারাপ বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। এ জন্যই এত সতর্কতা।’

তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব (ছন্মনাম)। সে অসৎ বন্ধুদের সঙ্গে চলে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাদকের টাকা যোগাতে সে বাসা থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত। তার পিতা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আফসোস করে বলেন, ছেলেটা যে কবে মাদকে আসক্ত হলো আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না! ওকে ধরে জোর পূর্বক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চিকিৎসা করতে ভর্তি করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, এখন ছেলে মেয়েরা মাদকে আসক্ত হওয়ার মূল কারণ হলো অবাধ স্বাধীনতা এবং সোসাল নেটওয়ার্কের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। অনেক অভিভাবক আছেন যে তারা সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন না।

গাড়ি চালক বা কাজের লোক দিয়ে বাচ্চাদের তদারকি করান। তাদের সঙ্গে পিতা-মাতা না আসায় অনেক বাচ্চা মন খারাপ করে। অন্য বন্ধুদের দেখে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কোনো তাদের বাবা-মা স্কুল-কলেজে তাকে নিতে আসেনি? এসব নিয়ে একাকিত্বে ভোগে অনেক ছেলে মেয়েরা। এজন্য বাচ্চাদের বড় হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে থাকা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু, কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাদকাসক্তির কারণে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে ইয়াবা সেবন বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সবাইকে এর কুফলগুলো ভালো ভাবে সমাজে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা এককভাবে মাদক দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সামাজিক ভাবে সবাইকে মাদককে না বলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘দিনদিন মাদকের চাহিদা বাড়ছে যার কারণে এতে আসক্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সমাজ ধংস হচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো যথাযথ উদ্যোগ চোখে পড়ে না।’

তিনি বলেন, অপরাধীকে নয় অপরাধকে না বলুন। মাদকের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী এবং বহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

তৌহিদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বের হতে হলে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া তেমন কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার

আবু সাঈদের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। আবু সাঈদের মা-বাবা ও ভাই শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু সাঈদের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার, পরিবারের দায়-দায়িত্বসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আবু সাঈদ একাই দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। অভাবের সংসারে অন্য ভাইবোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও আবু সাঈদ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে।

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ জনের প্রতিনিধিদল। সেখানে প্রায় ২০মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যান তারা।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ককে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ‘অধিকতর নিরাপত্তার’ জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি, একদমই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা খবর পেয়ে চলে এসেছি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এখানে এসেছি তখন এখানকার অফিস প্রধান (ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ) ভেতরেই ছিলেন, তাকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাদেরকে অফিসের ভেতর থেকে বলা হয়েছিল উনার গাড়ি থামিয়ে কথা বলতে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে, কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে আছে কি না সেই খবর আমরা কারও গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করব কেন? এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে পুরো বিষয়টা স্বচ্ছ থাকবে। কেন, কী হয়েছে আমাদেরকে বলা হবে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ছাত্রদেরকে নিরাপত্তার কথা বলে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ডিবি হেফাজতে কেন? পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল না কেন? একজন মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে তার পরিবার। নিরাপত্তা যদি দিতে হয় তাহলে তার বাসার আশেপাশে নিরাপত্তা দেওয়া হোক, তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ১২ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম।

এ ছাড়া আরও ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।

অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!

ম্যাথিউ ডসন। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের এবারের আসর বসেছে প্যারিসে। অলিম্পিকে খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন বিশ্বের অসংখ্য ক্রীড়াবিদ। অলিম্পিকে অংশ নিতে প্রত্যেকেই সর্বোচ্চটা নিঙরে দেন। তবে ম্যাথিউ ডসন যা করেছেন, তা সহজে কেউ করতে পারবেন না। 

অনুশীলনের সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের খেলোয়াড় ম্যাথিউ ডউসন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শের পর তিনি জানতে পারেন, চোট সারতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু দলের সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিকে যোগ দেয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন ডসন। সেজন্য আঙুলটাই কেটে ফেলেছেন তিনি।

নিজ দেশে অলিম্পিকের প্রস্তুতির সময় ডসনের ডান হাতে হকি স্টিকের আঘাত লাগে। সেই আঘাতে তার একটি আঙুলের অংশ ভেঙে যায়। চিকিৎসার উদ্দেশে প্লাস্টিক সার্জনের শরণাপন্ন হলে ডসনকে তিনি জানান, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন মিলিয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে অলিম্পিক খেলার আশা বাদ দিয়ে দিতে হতো ডসনকে।

অলিম্পিক খেলার জন্য মরিয়া থাকা অস্ট্রেলিয়ার এই হকি খেলোয়াড় চিকিৎসকদের পরামর্শে আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে দশ দিনের মধ্যে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।

এবারই যে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে খেলছেন ডসন তা নয়। এর আগেও দুইবার অংশ নিয়েছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে জিতেছেন রুপাও।

ঝুঁকি নিয়ে কেনো আঙুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ডসন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ অলিম্পিক হতে পারে। আমার এখনো নিজের সেরাটা দেয়ার আছে, এবার সেই চেষ্টাই করব। এ জন্য যদি আঙুলের অগ্রভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, সেটাই হোক।’

অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ কলিন বাচ ডসনের এমন কাণ্ডে বেশ অবাকই হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সে অলিম্পিকে খেলতে মরিয়া। আমি জানি না, ওর জায়গায় থাকলে আমি এমনটা করতাম কি না। কিন্তু সে করেছে।’ সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার
সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন
অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!
ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
চলতি সপ্তাহে খুলতে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
রোববার থেকে মঙ্গলবার অফিস ৯টা-৩টা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন ববিতা
অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ