বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তরুণ-যুবকদের কুরে খাচ্ছে মাদক!

আজিমপুর রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে প্রথমে সিগারেট পরে মাদকে আসক্ত হয় মো. জাহাঙ্গীর। করোনাকালে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলে ১৫ সদস্যের কিশোর গ্যং।

তারপর থেকেই বেপরোয়া জাহাঙ্গীর গ্রুপ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ও সরকারি কোয়ার্টারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। কেউ বাধা দিলে সে কোয়ার্টারের দায়িত্বরত গার্ডদের মারধর করে। পুলিশের অভিযানে কয়েক বার ধরা পড়লেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ‘শয়তানের কপালে দুঃখ আছে। ও খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে। ওর উপর থেকে সন্তানের দাবি ছেড়ে দিয়েছি। যা মন চায় তাই করুক। ওর কারণে আমি মানুষের কাছে যেতে পারি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মকর্তার মেয়ে। পরে অনার্সে স্টামফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়। তার পিতা আফসোস করে বলেন, মেয়েটা ঘর ছাড়া হয়ে গেল। ওরে বিয়ে দেব, চাকরি দেব। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনে না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং জোরে জোরে কথা বলে।

শুধু জাহঙ্গীর বা ওই মেয়ে শিক্ষার্থীই নয়। এ রকম শত শত কিশোর, তরুণ, যুবক প্রতিদিনই মাদকে আসক্ত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শহর কী গ্রাম সব জায়গায়ই মাদকাসক্তদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে।

মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালো কার্যক্রম বা তৎপরতা নেই। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির মতো অপরাধ। মাদকসেবীরা মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

মাদকের এমন বিস্তারে সচেতন অভিভাবকরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দুশ্চিন্তায় স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে। তারা বলছেন, মাদকের ভায়াবহতা বাড়লেও এটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সন্তানদের খেয়াল না রাখলে যেকোনো সময় তারা মাদকে আসক্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের সঙ্গ দিচ্ছেন স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া পথে।

অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এ বিষয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট থেকেই কাউন্সেলিং বা পড়াশোনা করানো দরকার।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রের পিতা আযম আলী মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সকালে স্কুলে বাচ্চাকে নিজেই নিয়ে আসি। স্কুল শেষে ওর মা এসে নিয়ে যায়। একদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ অন্যদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। এ জন্য আমার স্ত্রীকে বলেছি যতই কষ্ট হোক ছেলেকে একা কোথাও ছাড়বে না এবং কার সঙ্গে মিশছে সেটাও খেয়াল রাখবে।’

ঢাকা সিটি কলেজে শিহাবুলের বাবা রিয়াদ চোধুরী বলেন, ‘আমি ব্যাংকে চাকরি করি। প্রতিদিন সকালে আমার গাড়িতে করে ছেলেকে কলেজে নামিয়ে দেই। ক্লাস শেষ হলে ও কলেজের শিক্ষকের মোবাইল দিয়ে ফোন করে, তখন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেই বা নিজেই গিয়ে এক সঙ্গে বাসায় চলে যায়।’

তিনি বলেন, এখন ছেলে-মেয়েদের খোঁজ-খবর না নিলে ওরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ জঙ্গিদের লাইনে আবার কেউ খারাপ বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। এ জন্যই এত সতর্কতা।’

তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব (ছন্মনাম)। সে অসৎ বন্ধুদের সঙ্গে চলে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাদকের টাকা যোগাতে সে বাসা থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত। তার পিতা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আফসোস করে বলেন, ছেলেটা যে কবে মাদকে আসক্ত হলো আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না! ওকে ধরে জোর পূর্বক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চিকিৎসা করতে ভর্তি করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, এখন ছেলে মেয়েরা মাদকে আসক্ত হওয়ার মূল কারণ হলো অবাধ স্বাধীনতা এবং সোসাল নেটওয়ার্কের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। অনেক অভিভাবক আছেন যে তারা সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন না।

গাড়ি চালক বা কাজের লোক দিয়ে বাচ্চাদের তদারকি করান। তাদের সঙ্গে পিতা-মাতা না আসায় অনেক বাচ্চা মন খারাপ করে। অন্য বন্ধুদের দেখে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কোনো তাদের বাবা-মা স্কুল-কলেজে তাকে নিতে আসেনি? এসব নিয়ে একাকিত্বে ভোগে অনেক ছেলে মেয়েরা। এজন্য বাচ্চাদের বড় হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে থাকা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু, কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাদকাসক্তির কারণে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে ইয়াবা সেবন বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সবাইকে এর কুফলগুলো ভালো ভাবে সমাজে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা এককভাবে মাদক দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সামাজিক ভাবে সবাইকে মাদককে না বলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘দিনদিন মাদকের চাহিদা বাড়ছে যার কারণে এতে আসক্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সমাজ ধংস হচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো যথাযথ উদ্যোগ চোখে পড়ে না।’

তিনি বলেন, অপরাধীকে নয় অপরাধকে না বলুন। মাদকের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী এবং বহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

তৌহিদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বের হতে হলে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া তেমন কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ

চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।

এতে সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন, ইউটিউবারসহ ২০ জনের মতো আহত হন। এদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহতে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাংবাদিকদের উপর এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন শিবা শানু, আলেকজান্ডার বো এবং শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী।

সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের উপর শিল্পীদের এই হামলা ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সাংবাদিকরা এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছে।

এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।

চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসাবে, আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি।

নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

নারী কর্মচারীদের বোরকা ও নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)-র কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ এপ্রিল মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসেনের সই করা এক চিঠিতে ওই ঘোষণা দেয় সিইআইটিসি কর্তৃপক্ষ।

‘ইউনিফর্ম পলিসি, ড্রেস কোড, পার্সোনাল অ্যাপিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রুমিং কোড’ শিরোনামের ৩ পৃষ্ঠার অফিস আদেশটিতে বলা হয়, ‘আমাদের গ্রাহকদের কাছে একটি ইতিবাচক পেশাদার ভাবমূর্তি তৈরি করতে এবং রোগী ও জনসাধারণের আস্থা বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার একটি অংশ হিসাবে, ব্যবস্থাপনা কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে সিইআইটিসি। এটি ১ মে থেকে কার্যকর করা হবে। সবাইকে তাদের সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

 

ওই ড্রেস কোডের বি সেকশনের তৃতীয় কলামের দ্বিতীয় সারিতে লেখা আছে, মহিলা কর্মচারীরা মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না। হিজাব অনুমোদিত। ডিউটির সময় নেকাব এবং বোরকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিইআইটিসির নারী কর্মচারী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মুসলিম নারীদের জন্য বোরকা একটি বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড। ধর্মীয় এই পোশাকটি নিষিদ্ধ করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। এটি অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- সিইআইটিসি নামে পরিচিত হাসপাতালটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেসরকারি এ হাসপাতালটি চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল চুমফোন ক্লোইপায়ান।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা আছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ
গাইবান্ধায় ‘শ্রুতিকটু’ ৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারালেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াক
মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন থেকে না সরলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা
ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
তীব্র গরমের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল লোডশেডিং
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ
ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা