৯ বছরেও শেষ হয়নি উপকূল রক্ষা বাঁধের কাজ, ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব!

৩১ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩২ পিএম


৯ বছরেও শেষ হয়নি উপকূল রক্ষা বাঁধের কাজ, ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব!

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হলেই ভেসে যায় উপকূলীয় অঞ্চল। এতে প্রাণহানির ঘটনা কমে এলেও ফসল এবং ঘর-বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে উপকূলীয় ১৩ জেলায় ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ছয় হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির। আর এক হাজার খামারের মাছ ভেসে গেছে।

উপকূলের মানুষকে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, লবণ পানি, বন্যা আর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার ২০১৩ সালে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। পটুয়াখালীসহ ছয় জেলার জীবন, ফসল ও প্রাণিসম্পদ রক্ষা করার এ প্রকল্পটির কাজ গত নয় বছরেও শেষ হয়নি। অথচ এটি শেষ করার কথা ছিল ২০২০ সালে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করে গত জুনে শেষ করার কথা ছিল। সেটিও সম্ভব হয়নি। তবে দীর্ঘ নয় বছরে প্রকল্পের সাত জন প্রকল্প কর্মকর্তা (পিডি) বদল হয়েছে। আর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। এই অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে শেষ সময়ে এসে পরামর্শকের ব্যয় ১৫ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য পরিকল্পনা কমিশন এতে আপত্তি জানিয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এ সব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম পর্যায়-১ (সিইআইপি) শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।

সিইআইপি প্রকল্পের প্রথম প্রকল্প পরিচালক ছিলেন সারাফাত খান। এরপর পিডির দায়িত্ব নিয়েছেন ছয় জন। ৭ম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদ হাসান ইমাম।

সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকৌশলী সাইদ হাসান ইমাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বিদেশি প্রকৌশলী ও পরামর্শক। ১৭টি পোল্ডারের মধ্যে ১০টির কাজ চলছে। আগামী জুনে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

প্রকল্পের কাজ শেষ করতে এত দেরি কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি সাত নম্বর পিডি। এর আগে ছয় জন দায়িত্ব পালন করেছেন। দেরির কারণ তারা বলতে পারবেন। আমি এক বছর হলো দায়িত্ব নিয়েছি। আসলে পিডি হিসেবে তেমন কাজ নেই। টিম লিডারের কাজই প্রধান। বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত মোতাবেক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানই সেই দায়িত্ব পালন করছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে ঘন ঘন পিডি বদলের কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়েছে বিষয়টি তা না। কারণ কারো পদোন্নতি হয়, অনেকের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। দেরির কারণ মূলত ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা। অধিগ্রহণকৃত জমি জেলা প্রশাসন থেকে ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে পারেনি। করোনাকালে কাজও হয়নি। এ জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে। আশা করি, এবার সংশোধন করে সময় বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তাতে কাজ শেষ হয়ে যাবে। আবার ফেজ-২ নামে আরও একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এজন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজও করা হচ্ছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা সরকার ২০১৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তার মধ্যে এটি মেগা প্রকল্প।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালি জেলার ১৭টি স্থানে পোল্ডার নির্মাণ করে বসবাসের উপযোগী করা ছাড়াও চাষাবাদযোগ্য রক্ষার কথা বলা হয়েছিল। পোল্ডার এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে কারিগরি দিক, পরিবেশ, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক দিক বিবেচনায় নিয়ে।

এতে খুলনা জেলায় ৬টি, সাতক্ষীরায় ২টি, বাগেরহাটে ৩টি, পিরোজপুরে ১টি, বরগুনায় ২টি এবং পটুয়াখালী জেলায় ৩টিসহ মোট ১৭টি পোল্ডার নির্মাণ করার কথা। যাতে নির্ধারিত উপকূলীয় এলাকার জনবসতির জীবন, সম্পদ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও রক্ষা পাবে। প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক বনায়নেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে পোল্ডার এলাকায় অগভীর চিংড়ি ঘেরও তৈরি করা হবে।

বাঁধ রক্ষা করাই এ প্রকল্পের প্রধান কাজ। কারণ, পোল্ডার এলাকার বাঁধ রক্ষা না করা গেলে কোনো উন্নয়নমূলক কাজই করা যাবে না। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়, সিডর, আইলার মতো যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পোল্ডার এলাকাগুলো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এ ছাড়াও অপেক্ষাকৃত নিচু উপকূলীয় এলাকাগুলোকে উঁচু করারও সিদ্ধান্ত হয়।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয় ৬টি জেলার উপকূলীয় এলাকায় এক লাখ ৮১৭ হেক্টর জমি নদীর গ্রাসের হাতে থেকে উদ্ধার। ৮০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমি আবাদযোগ্য করে তোলা ও পোল্ডার এলাকায় প্রায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৬০ জনকে পুনর্বাসন। কারণ ২০৫০ সালে উপকূলীয় জনবসতির সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা থাকলেও সময় করতে না পারায় ব্যয় ঠিক রেখে সংশোধন করে দুই বছর সময় বাড়ানো হয় ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারিতে। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু তাতেও কাজ শেষ না হওয়ায় এবারও ব্যয় ঠিক রেখে সময় দেড় বছর বাড়ানো হচ্ছে।

প্রস্তাবনাটি যাচাই করতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকার বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমাতে বললেও পরামর্শক খাতে ব্যয় ৪০৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২২ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে। অর্থাৎ ১৫ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। এই ব্যয় অত্যধিক বলে পিইসি সভায় আপত্তি তুলে ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যয় কমিয়ে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এক কিলোমিটার বাঁধ উন্নয়নের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পিইসি বলেছে, এ সব সংশোধন করা হলে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

এনএইচবি/আরএ/


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০৩ এএম


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ‍দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।

তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।

এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

 

 


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৩ এএম


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।ফাইল ছবি

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১১ এএম


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।

মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।

তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

অনুসরণ করুন