শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমানতের ৮.২৫ শতাংশই খেলাপি

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্তরত টোকন। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ২০০৭ সালে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলেন। সংসারের খরচ মিটিয়ে প্রতি মাসে তিনি কিছু সঞ্চয়ও রাখেন। এভাবে সারা দেশের লাখ লাখ গ্রাহক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন ব্যাংকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছেন। সেই সঞ্চয় দিয়েই ব্যাংকগুলো ১৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

এদিকে ব্যাংক মালিক থেকে শুরু করে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী ব্যাংক কর্মকর্তাদের জোগসাজসে এসব ঋণের ৮ দশমিক ২৫ শতাংশই খেলাপি হয়েছে। অর্থাৎ মোট ঋণের খেলাপি হয়ে গেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে আদায় অযোগ্য (ব্যাড লোন) ঋণ বা কুঋণ হচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা প্রায় আট শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করলেও চলে। তাই বাড়ছে খেলাপি ঋণ, কুঋণ। কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে এভাবে বাড়তেই থাকবে খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, জনগণ সঞ্চয়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে ব্যাংকে (ফিক্সড ডিপোজিট) আমানত জমা রাখছেন। এই আমানত প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এক শ্রেণির গ্রাহক নিরাপদ মনে করে ব্যাংকেই বেশি করে সঞ্চয় করছেন। চলতি বছরের গত জুনে বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত জমা হয়েছে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৪৭১ কোটি টাকা। এই আমানত থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এভাবে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমানত জমা হয়েছে ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বা মোট আমানতের ৮৩ শতাংশ।

রাষ্ট্রয়ত্ব ছয় ব্যাংকের কুঋণ ৫৬ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা
ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ ঠিকমতো পরিশোধ করছেন না। এরফলে অবিশ্বাস্যভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে সমানতালে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এই খেলাপি ঋণের ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাড বা আদায় অযোগ্য বা কুঋণ হয়ে গেছে।

এরমধ্যে রাষ্ট্রয়ত্ব সোনালী, অগ্রণী, রুপালী, জনতা, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক- এই সাতটি ব্যাংকের কুঋণ হচ্ছে ৫৬ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা ৫৮ শতাংশের বেশি। সাধারণত ঋণের মেয়াদ পার হওয়ার পরও মামলা মোকদ্দমা করলেও ৫ বছরে কোনো ঋণ আদায় করতে না পারলে তা কুঋণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব করে। এই ঋণের বেশির ভাগই আদায় অযোগ্য হয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খেলাপির এ অংক চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বেড়েছে ৩১ হাজার ১২২ কোটি টাকা। কারণ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ক্লাসিফাইড (খেলাপি) ঋণ বেড়েছে, এটা সত্য। তবে খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। কারণ জনগণের আমানত থেকেই ঋণ দেওয়া হয়। এই আমানত ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকবে ব্যাংকে। খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পথে যাচ্ছে।’

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর সমস্যার কারণে হয়ত কিছুটা খেলাপি হতে পারে। কিন্তু কুঋণ লাখ কোটি টাকার উপরে। এটা খুবই ভয়াবহ চিত্র। এই ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে ব্যাংকগুলোকে। তাহলে কীভাবে তারা চলবে। অনেকেই ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। তাদের মনে ঢুকে গেছে ব্যাংকের ঋণ নিলে ফেরত না দিলেও চলে। এই সংস্কৃতি খেলাপিদের মধ্যে ঢুকে গেছে। তাই ব্যাংক বাঁচাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই কুঋণসহ খেলাপি ঋণ কমবে। জনগণের আমানত হেফাজতে থাকবে।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, খেলাপি ঋণ এমনিতেই ব্যাংক খাতের জন্য সমস্যা। এর ওপর দেওয়া হয়েছে ঋণ পরিশোধ না করেও নিয়মিত থাকার সুযোগ। এই ছাড়ের কারণে খেলাপিরা ভাবছে, ঋণ পরিশোধ না করলেও চলবে। আবারও অনেকে সুবিধা পেতে পেতে ঋণ পরিশোধে অনাগ্রহী হয়ে গেছেন। তাই যারা ঋণ পরিশোধ করছে না তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে যেতে হবে। এর সঙ্গে কোনো ব্যাংকার, পরিচালক জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক প্রভিশনও রাখতে পারছে না। এরফলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে ১৯ হজোর ৮৩৩ কোটি টাকা।

জেডএ/এসএন

 

Header Ad

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা

ফাইল ছবি

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।

সূত্র জানায়, আগামী ৩ মে মানবিক শাখাভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার। নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন।

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলসহ অন্যান্য তথ্য https://gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

তিনটি ইউনিটে ২১ হাজার আসনের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ শিক্ষার্থী। মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

গাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। সেখানকার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানানো হয়।

জাতিসংঘের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার বলেন, হামাস-ইসরাইল সংঘাতের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। যা ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে পড়ে আছে। খবর রয়টার্সের

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি নেওয়া হয়েছিল। তার উত্তরে ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ চালায়।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর ফলে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং বহু ফিলিস্তিনি খাবারের দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৩

ছুরিকাঘাতে নিহত মো. সাইম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. সাইম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এরআগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকার রানাগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইম একই গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে ও স্থানীয় আজিম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা নামক স্থানে (বাড়ির পাশে) যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় স্কুলছাত্র মো. সাইম।

পরে তার চার বন্ধুর সঙ্গে পাশের গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে যান। ওবায়দুল পাগলার বাবার সাথে তাদের কোন এক বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল সাইমকে ছুরিকাঘাত করে। তার বন্ধুরা সাইমকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ সময় সাইমের মা ছেলের কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায় মাঁচা (বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থান) থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে অজ্ঞান হয়েছে। তার মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে স্বজনরা দেখতে পায় মো. সাইমের বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামা সোহাগ জানান, তার ভাগ্নে সাইমকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে কারণে তার ভাগ্নেকে মেরে ফেলতে হল- তা তিনি জানেন না।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি দ্রুত সাইমকে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন জানান, বন্ধুর ডাকে সাইম সহ চার বন্ধু ওই গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে। তখনই সাইমের মৃত্যু হয়। পরে ওবায়দুল পাগলাকে স্থানীয়রা পালিয়ে যেতে দেখেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা
গাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৩
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া