সাড়ে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ৩২ কারাগারে সিসিটিভি কক্ষ স্থাপনের কাজ!

২২ নভেম্বর ২০২২, ১০:০৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


সাড়ে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ৩২ কারাগারে সিসিটিভি কক্ষ স্থাপনের কাজ!

সাড়ে ৫ বছরেও দেশের ৩২টি কারাগারে সিসিটিভি কক্ষ স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি। বরং চার দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল মাত্র দুই বছর। এই অবস্থায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের(একনেক) সভায় পঞ্চমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলো। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কারাগারে থাকা বন্দীদের নিরাপত্তা, তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসা দর্শনার্থীদের তল্লাশি, অবৈধ মালামাল কারা অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধে সরকার ২০১৬ সালে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় দুই বছরের মধ্যে দেশের ৮টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৩২টি কারাগারের নিরাপত্তার জন্য ৩২টি সিসিটিভি কক্ষ নির্মাণ ও ১৩০টি নেটওয়ার্ক জ্যামার কিনে স্থাপন করার কথার ছিল। প্রথমে ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে সংশোধন করে করা হয় ৫০ কোটি টাকা। এতে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৩২ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, কারা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে গত জুন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। চার দফায় প্রকল্প সংশোধন করে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও শেষ না হওয়ায় পঞ্চমবারের মতো সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্রগ্রাম, ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৩২টি কারাগারের মধ্যে ৮টি বিভাগীয় ও ২৪টি জেলা পর্যায়ে কারাগারের নিরাপত্তার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০১৬ সালের ২৪ মে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ৫০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পটি অনুমোদন দেন। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছিল বিদ্যমান ৩২টি কারাগারের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রীয় কারাগারে একতলা ভিত বিশিষ্ট ২০ বাই ১৫ ফুট এবং ২৪টি জেলা কারাগারে ১৫ বাই ১৫ ফুট আয়তনের সিসিটিভি কক্ষ নির্মাণ ও ১৩০টি মোবাইল ফোন জ্যামার স্থাপন। এ ছাড়া ২ সেট বডি/ পারসোনাল/ ভিউ স্ক্যানার, ৭৪ সেট নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার (এনভিআর), ১ হাজার ১৪২টি আইপি বুলেট ক্যামেরা, ৪৩টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৬ সেট লাগেজ স্ক্যানার, ৩২ সেট সিকিউরিটি সাইরেন সিস্টেম কেনার কথা ছিল। একইসঙ্গে ৩৪টি আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, ৮০টি হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর ও ৩২সেট টেনয় সিস্টেম কেনারও সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার।

সূত্র আরও জানায়, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কারাবন্দীদের নিরাপদ কারাবাস নিশ্চিতকরণ ও কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তাই সরকার কারা নিরাপত্তার জন্য ও অপরাধীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় চার বার সংশোধন করে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তাতেও কাজে অগ্রগতি হয়নি। ফলে জুন পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য এডিপিতে এক লাখ টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে।

বারবার সংশোধন করেও কাজ শেষ না হওয়ায় আইএমইডি সংশোধনের ব্যাপারে ২০২২ সালের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা অনুসারে কাজ সমাপ্ত করতে সুপারিশ করে।

ছোট প্রকল্প হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের সময় বারবার বৃদ্ধি বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আসলে সবকিছু জেনে শুনে প্রকল্পে মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা বাস্তবায়ন করতে পারে না। তবে প্রধানমন্ত্রীও বারবার বলছেন প্রকল্প যেন সঠিক সময়ে বাস্তবায়িত হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার প্রকল্পের কাজের সময় আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সুপারিশ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য মতামত দিয়েছেন।

প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধন গাইডলাইনে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করতে পারেন। কিন্তু কোনো প্রকল্প চারবারের বেশি সংশোধন করতে হলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় উপস্থাপন করতে হয়। এ কারণে মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে অনুমোদন দেন।

প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে তথ্য অধিকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী ও সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ব্যাপারে জানতে হলে এআইজি (উন্নয়ন) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি সব বলতে পারবেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রকল্প পরিচালক ও ঢাকা কারা উপ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এনএইচবি/এসজি


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ পিএম


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
ছবি সংগৃহিত

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।

টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।

অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

 


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৩ পিএম


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি
নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি। ছবি: সংগৃহীত

বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০ ওভারের বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজেরা, এমনকি অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখেছে টাইগাররা। শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে সাকিব-শান্তরা। এরমধ্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।

এদিকে বিশ্বমঞ্চে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকসহ দল সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ উৎঘাটনে গত বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে জোরেশোরে কাজও শুরু করেছে সেই কমিটি।

ক্রিকেটারদেরও সেই কমিটির কাছে নিজেদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর বিসিএল খেলতে আবারও সেখানে ছুটেন তিনি। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, প্রধান কোচ নাকি এই স্পিনারকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি।

এর আগে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে এই তদন্ত কমিটি। প্রথমদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিসিবি অফিসে শুরুতেই আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও সেখানে দেখা যায়। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে কথা বলা নিষেধ।

এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। কমিটির কাছে শুরুতে নিজের জবাব দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সন্ধ্যার দিকে সেখানে আসেন ওপেনার লিটন দাস। তদন্ত কমিটির কাছে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেন তারা। বের হওয়ার সময়ে এই দুই ক্রিকেটারও মুখে কুলুপ আঁটেন। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। এর মধ্যে সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব ও আকরামকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৩ পিএম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, বাণিজ্য ১ মার্চ এবং ২ মার্চ চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এবারও ঢাকাসহ মোট আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া অন্যান্য নিয়মও বিগত বছরকে অনুসরণ করে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সারাদেশের কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

নম্বর বন্টন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট করে। তবে চারুকলা ইউনিটে ৪০ (সাধারণ জ্ঞান) নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৬০ (অংকন) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট ও লিখিতের জন্য সময় থাকবে ৬০ মিনিট।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী।

অনুসরণ করুন