
শীতের শুরুতেই নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে শিশু-বৃদ্ধ
২৪ নভেম্বর ২০২২, ১১:২১ এএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭ এএম

শীত আসতেই দেখা দেয় শীতজনিত নানা রোগ। যার বেশিরভাগ শিকার হচ্ছেন বয়স্ক লোকজন এবং শিশুরা। বিশেষ করে শীত মৌসুমের শুরুতেই নিউমোনিয়া ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতের সময় অন্য রোগের তুলনায় বয়স্ক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি। বিশেষ করে এই রোগ থেকে সর্তক না থাকলে এর প্রবণতা বাড়ে। আছে মৃত্যু ঝুঁকিও। সেই জন্য শিশু ও বয়স্কদের যত্নে রাখা দরকার।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের সংক্রমণজনিত একটি ব্যাধি। এই রোগে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে বুকে পানি জমতে পারে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। যেমন, স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ নিউমোনিয়া রোগের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া, ছত্রাকঘটিত কারণেও অনেক সময় নিউমোনিয়া হতে পারে।
চিকিৎসকদের দাবি, শীতের এ সময়টাতে বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চার মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সময়মতো এর চিকিৎসা না নিলে এই রোগ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা কমে যায়।
সম্প্রতি রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধ ও শিশুদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, চলতি বছর ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৪৩৪ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২৮৬, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬, মার্চে ৩৩০, এপ্রিলে ২২৬, মে’তে ২৫০, জুনে ২১৫, জুলাইয়ে ১৬৯, আগস্টে ১৮০, সেপ্টেম্বরে ১৭০, অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ৩০৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া চলতি মাসের ১০ দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮৪ জন।
গত বছর নিউমোনিয়ায় চিকিৎসা নিতে দুই হাজার ২২৭ শিশু এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তাদের তথ্যমতে, গত চার মাসে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি শিশু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর ও ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি শিশু ও বয়স্করা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা বলেন, শীতের সময় সতর্ক না থাকলে সাধারণ মানুষ অনেক রোগে আক্রান্ত হয়। তবে আমরা যেটা দেখেছি শিশু, বৃদ্ধ ও বাচ্চার মায়েরা এসময়টাতে বেশির ভাগ নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুর মায়েরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, খুব ছোট বাচ্চারা একটু টয়লেট বেশি করে এবং মায়েরা সকালে উঠে সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকেন। যেমন, রান্নার কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে তারা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়। আর শিশু ও বৃদ্ধরা যারা নিজেরা একাএকা চলাচল করতে পারে না তারা অনেক সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে এই রোগে অক্রান্ত হয়।
শীতের এই মৌসুমে সবাই যদি একটু সর্তক হয়ে কাজকর্ম করেন তাহলে অনেক মানুষ এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন বলে জানান এই চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের সময়ে দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৫০০ জন শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন গড়ে ৬৮ জন ও বছরে ২৪ হাজার ৮২০ শিশু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সুমন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিশেষ করে এই শীতের সময় নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে হলে— টিকা, স্বাস্থ্যকর জীবন ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা এবং সর্তক হওয়া খুবই জরুরি। প্রথমে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভেঙে না পড়া, এ সব বিষয় নিউমোনিয়ায় অনেকটা প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করবে। বর্তমানে আমাদের দেশে উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। জেলা উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল রয়েছে সেখানে এ সব রোগের চিকিৎসা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিউমোনিয়া শুধু শিশু বা বৃদ্ধদের হয় বিষয়টি এমন না, এই রোগে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এ মৌসুমে সবাই একটু সচেতনতা বৃদ্ধি করে চলাফেরা করলে এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বলেন, নিউমোনিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই বললেই চলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে যেসব রোগী ও অভিভাবকেরা যথা সময়ে হাসপাতালে যান না পরর্বতী সময়ে তারা বিভিন্ন সংকটে পড়েন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে বায়ু দূষণ, শীত ও প্রান্তিক পর্যায়ে রোগীদের অসচেতনার কারণে এই রোগে মানুষ বেশি আক্তান্ত হয়। তিনি বলেন, তবে শীতের সময় নিউমোনিয়া বাড়ে এবং এই রোগে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশু বয়স্করা। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আইসিডিডিআরবি’র মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, শীতের সময় নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সবাইকে শারীরিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে এক লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। তারা বলছে, গত বছর বাংলাদেশে এই রোগে প্রতি ঘণ্টায় একটি করে শিশু মারা গেছে। এবার শীত মৌসুমে সর্তক না হলে বেশি শিশু বা বয়স্ক মানুষ মারা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিসৎসক মো. সাখায়াত হোসেন বলেন, নিউমোনিয়া টিকা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত রয়েছে। তার কারণ হলো করোনার সময় সবাই করোনার টিকা নিয়েছে কেউ নিউমোনিয়া নিয়ে চিন্তা করেনি। এখন শীতের সময় সব শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম চলমান রাখা উচিত। শিশু ও বয়স্কদের পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়াতে হবে। বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চললে এবং এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এনএইচবি/আরএ/

বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।
এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।
আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।
এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।
পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
বিভাগ : শিক্ষা
বিষয় : শিক্ষক-নিয়োগ-পরীক্ষা , নিয়োগ , পরীক্ষা , লিখিত-পরীক্ষা , প্রাথমিক-শিক্ষা-অধিদফতর

১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।
পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’
রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।