শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাসপাতালে সেবা কম, ভোগান্তি বেশি!

অবৈধভাবে দালালদের অতিরিক্ত টাকা দিলে রোগী ও তার স্বজনদের ভোগান্তি কম হয়। আর যদি নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিতে যায় তাহলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সম্প্রতি রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরে রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কথা হয়, ২১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর বেডে স্বামী নিয়ে চিকিৎসাধীন সাহিদা আক্তারের সঙ্গে। এ সময় সাহিদা জানান, অবৈধভাবে দালালদের অতিরিক্ত টাকা দিলে ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের টাকাও নেই সেবাও তেমন নেই বললেই চলে।

হাসপাতালের দালাল কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বুয়া, বাবুর্চি, ড্রাইবার, কেয়ারটেকার ও নতুন নতুন কিছু স্বাস্থ্য কর্মীরাও দালালের কাজ করেন। অনেক সময় তারা ডাক্তাদের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন বানিয়ে নানা ধরনের সেবা নেয়।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়। শুধু সকাল এবং রাতে এক ঝলক ডাক্তারের দেখা মেলে। পরিচিত লোক এবং দালাল না থাকলে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা দালালদের কাছে জিম্মি রোগী ও তার স্বজনেরা!

অভিযোগ আছে, রোগী ভোগান্তির অন্ত নেই, সেখানে দালালদের কাছে জিম্মি স্বজনরা। অনেকেই সঠিক চিকিৎসার জন্য নাম সর্বস্ব প্রাইভেট হাসপাতালে খোয়াচ্ছেন টাকা।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল যেহেতু বড় একটি জায়গা এখানে সবাইকে আসলেই সমান দেখা সম্ভব হয় না। তবে আগের থেকে তুলনামূলকভাবে রোগীদের ভোগান্তি অনেকটা কমে গেছে। তা ছাড়া দালাল চক্র এবং রোগীদের জিম্মি করা অন্যান্য চক্রদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

ঢামেকে রোগীদের অভিযোগ সেবা পেতে ভোগান্তি পড়তে হয় এবং দালালদের কাছে জিম্মি রোগীর স্বজনদের থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের জানান। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে আপনি যে সব কথা বললেন এর মধ্যে রোগীদের অনেক অভিযোগ ভিত্তিহীন আছে। আমরা বিভিন্ন রোগীদের দায়িত্ব নিয়ে সেবা দিয়ে থাকি। ঢামেকে সেবা পাচ্ছে না এমন কোনো রোগীর সন্ধান পেলে আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন বিষয়টি আমি নিজেই দেখব।’

মিরাজ মাহমুদ কুমিল্লা থেকে ৩ মাস বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ঢাকার শিশু হাসপাতালে। কথা হয় মিরাজ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে ছিদ্র হয়ে যায় তার। ৩ দিন ধরে শিশু হাসপাতালে সিট না পেয়ে বারান্দায় থাকেন তারা। সঠিক সময়ে ডাক্তারের সেবা না পেয়ে হতাশ তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পেছনে যারা হাসপাতালের বারান্দায় ভর্তি হয়েছিল তাদের অনেকেই লোক ধরে সিট পেয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দালাল বা লোকজন না থাকায় চিকিৎসা সেবা পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে যদি আমরা চিকিৎসা সেবা না পাই তাহলে তো রোগীর বিভিন্ন সমস্যা হবে। এখন বুঝেছি মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে কেনো যায়।’

শিশু হাসপাতালের বারান্দায় কথা হয় আরেক রোগী ফাতেমার স্বজন মনির হোসেনের সঙ্গে। মনির হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয় বেশ। একদিকে সেবা কম অন্যদিকে দালালদের কাছে জিম্মি হতে হয় স্বজনদের। দালাল না ধরলে হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকতে হয়।

শিশু হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারদের ব্যবহার খুব খারাপ। এমন অভিযোগ করে শাহাজাহান তরফদার বলেন, আমাদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীরা খারাপ ব্যবহার করে। যা বলার মতো না।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনেকটা পাশাপাশি। রাজধানীর সরকারি এই হাসপাতালগুলোর সেবা নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ নেই।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে চাইলে শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হাকিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শিশু হাসপাতলে দালালদের বিরুদ্ধে নিয়মিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে থাকে। হাসপাতালে রোগীরা যেহেতু শিশু সেই ক্ষেত্রে দালালরা যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কোনোভাবে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ভোগান্তির কম হয়।’

সেবা গ্রহীতারা বলছেন, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ম মেনে সেবা নিতে গেলে পদে পদে অনিয়ম করে কাজ করতে হয়। অন্যথায় সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। তবে তদবির আর টাকা হলে সব কিছু ঠিকঠাক আছে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এর সামনে কথা হয় এক ‘দালালের’ সঙ্গে। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দালাল বলেন, সকাল দুপুর ও বিকাল টাইমে দালাল চক্রের সদস্যরা রোগী ভাগানোর কাজ করে। এতে করে আশেপাশের হাসপাতাল থেকে তারা কমিশন পান।

শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে কথা হয় একাধিক দালালের সঙ্গে। এ সময় জানা যায়, দালালদের স্ত্রীরাও দালালের কাজ করে। তারা একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করে। তবে এই এলাকার সব হাসপাতালের মূল দালাল হলেন- বিল্লাল সর্দার। আর এর সর্দারনী হলেন তার স্ত্রী মোছা. ফাতেমা। তাদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রোগী পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমি যোগদানের পর সেবার মান বৃদ্ধি করেছি। যেহেতু এটি একটি বড় হাসপাতাল সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সমস্যা হয়তো থাকে। আর হাপাতালের স্বার্থে এবং রোগীদের জন্য যা করণীয় আমরা করে থাকি। আর আমাদের হাসপাতালের লোকজন দালালীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমনটা যদি প্রমাণ হয় তাহলে আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করব।

তিনি বলেন, কিছু রোগী এবং তার স্বজনেরা বারান্দায় আছে। তারা হয়তো কিছু অভিযোগ করতে পারে। ৫০টি বেড আসবে। সেগুলো এলে এসব সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, দালাল ও হাসপাতালের কর্মচারীদের আমরা বিভিন্নভাবে তদারকি করছি। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিন আমাদের হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হাসপাতালে লোকবল কম থাকায় প্রথম দিকে কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে সব কিছু আমরা সমাধানের জন্য কাজ করছি। যদি কেনো রোগী বা স্বজনেরা তেমন কিছু না বোঝে তাহলে তাদেরকে আমাদের লোকজন সহযোগিতা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আসলে দালাল চক্রদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। অনেক হাসপাতালে প্রায়দিন অভিযান চলে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যেকোনো সেবামুখী মানুষদের সতর্ক হতে হবে, না বুঝলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহতি করতে হবে। দেখবেন অনেকটা এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, অনেক সময় আপনারা লক্ষ্য করবেন আমাদের মেট্রাপলিটন পুলিশ ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে দালাল চক্রদের ধরার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ পেতে থাকে। দালালরা আমাদের অভিযানে ধরা পড়ে কিন্তু এরা বের হয়ে আবার একই কাজ করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যেকোনো অসাধু চক্র থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিরত থাকলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল তা দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিরোধী দল) দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এত হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি-উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। আগে পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।

পরীক্ষার্থীরা পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেছেন। তাই সকাল সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে যেতে না পারায় ২০ জনের মতো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। ফলে এই বিসিএসের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল এই পরীক্ষার্থীদের।

তাদের অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের কোনোরকম সতর্ক না করেই ঠিক ৯টা ৩০ মিনিটে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর এক মিনিটের মধ্যেই ভেতরে প্রবেশ করতে গেটের সামনে থাকা দায়িত্বরতদের আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি।

কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন শাউলিনা। ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও শেষ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি তিনি। শাউলিনা বলেন, আমি ৯টা ১৫ মিনিটে এই এলাকায় চলে এসেছি। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে রাস্তায় গেটের সামনে ছিলাম। সর্বশেষও আমি দেখলাম ঢুকতে দিচ্ছে, তখন আমি বাচ্চাটাকে একপাশে বসিয়ে রেখে এসে দেখি গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, মূল গেটের দেয়াল টপকিয়ে দ্বিতীয় গেটে এসেছি, কিন্তু এখান থেকে ঢুকতে দেয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার রিকুয়েস্ট করার পরও ঢুকতে দেননি।

শাউলিনা বলেন, এটাই হয়তো আমার শেষ বিসিএস। আমার কাছে আমার পরিবারের অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এতো প্রস্তুতি নিয়ে এসে পরীক্ষাটাই দিতে পারলাম না। জানি না এখন আমার কী করা উচিত। এই মুখ নিয়ে আমি বাসায় যাব কী করে?

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের নিয়মই ছিল ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে না পারে, তাহলে আমাদের দৃষ্টিতে সে পরীক্ষার অযোগ্য।

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

নিহত আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম।

সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস