শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

জমতে শুরু করেছে নির্বাচনী কূটনীতি

নির্বাচনের আর এক বছরেরও কম সময় বাকি। এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে নির্বাচনকেন্দ্রিক কূটনীতি। একের পর এক কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফরে আসছেন এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় সেই আহ্বান জানাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যেহেতু ভূরাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই বিশ্বের বৃহৎ পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিও পর্যবেক্ষণ করে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফর করে নির্বাচন নিয়ে তাদের ‘পরামর্শ’ দিচ্ছেন।

যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান ৪ দিনের সফরে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। রবিবার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ই ব্রিটিশ মন্ত্রীকে বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী রাজনৈতিক মামলা বন্ধ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোত্রা। সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব।

একই সময়ে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ডেরেক শোলে। এসময় গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেরেক শোলেকে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সারা জীবন লড়াই করেছি। নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে আমার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কখনো ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না।

এর আগে আসেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। তাদেরকেও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

সবচেয়ে আলাচিত সফর ছিল চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সফর। যদিও এটিকে তারা সফর নয়, ‘যাত্রাবিরতি’ হিসেবে দাবি করছেন। গত ১৪ জানুয়ারি রাত ১টা ৫৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে রাত ২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এই বৈঠক নিয়ে ঢাকা বা বেইজিং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথা অনুযায়ী চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কার্যকাল শুরু করেন আফ্রিকা সফর দিয়ে। কিন্তু নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে তার কার্যকাল শুরু করলেন।

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক র‌্যাপোটিয়ার ফেলিপ গঞ্জালেসসহ জাপান, ফ্রান্স, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করছেন। সবাইকেই সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

গত দুই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইইউ। এবারও ইউরোপের ২৭ দেশের এই সংগঠনটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়। তবে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে এবারও পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে চিঠিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।

টানাপোড়েন

নির্বাচন নিয়ে কথা বলায় বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি নানা সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। তারা বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে বিদেশিদের কথা না বললেও চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ যে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ সে বিষয়টিও তিনি বিদেশি কূটনীতিকদের মনে রাখতে পরামর্শ দেন। বিদেশি হস্তক্ষেপ চললে ‘প্রয়োজনে ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথাও বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে এর আগে বলেন, বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই।

বিএনপির কূটনীতিও নির্বাচন ঘিরেই

নির্বাচনের বছরে বিএনপিও বসে নেই। তাদের কূটনীতিও চলছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। বিভিন্ন সময় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দলটি বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে দলটি কূটনীতিকদের বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা যাবে না। যুক্তি হিসেবে অতীতের দুটি নির্বাচনে ‘অনিয়মের’ কথা বলেছে দলটি।

রবিবারও (১২ মার্চ) ইইউয়ের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে যে শঙ্কা, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৈঠকে ইইউয়ের পক্ষে ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ডেনমার্ক, স্পেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ও উপ-রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বিভিন্নভাবে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দলটি। যেহেতু দলটি সংসদে নাই তাই তাদের প্রটোকলের বাইরে গিয়েই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশি কূটনীতিকরাও নানাভাবে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

এ ব্যাপারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির আন্দোলনে যে চাপ তৈরি হয়েছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের উপর তার চেয়েও বেশি চাপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আছে। যদিও এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জনগণের কাছ থেকে সাড়া পাবে না বলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।

‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ নিয়ে নানা মত

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা হস্তক্ষেপ করলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেও রাজনীতিবিদদের কারণেই এসব হস্তক্ষেপ সম্ভব হচ্ছে বলেই মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আমাদের রাজনীতিবিদরা তাদের কাছে যান এবং তাদের সালিশ মানেন বলেই তারাও আমাদের বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান।

বিদেশিদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক নানা বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে। এভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেও মনে করেন তারা।

জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজনীতিবিদরাই বিদেশিদের এমন সুযোগ করে দিচ্ছেন। আমাদের গর্ব করার মতো একটা জিনিস হলো আমদের স্বাধীনতা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। অথচ রাজনীতিবিদরা বারবার বিদেশি দূতদের কাছে ধরনা দেন। একটা কথা বলে রাখি বিদেশিরা কিছুই করতে পারবে না। রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে। তাই এই বিষয়টির উপর তাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদরা কেন বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেন না? কেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে অনুসরণ করেন না? কেন মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করেন না? কেন আমাদের রাজনীতিবিদরা বিদেশিদের কাছে যান? এখানে তো আত্মমর্যাদার কিছু নাই। বরং মাথা নোয়ানোর ব্যাপার আছে।

নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, আমার ৩০ বছরের কূটনৈতিক জীবনে কখনো আামি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। তারাও আমাদের কাছে কখনো আসেননি। আমাদের লক্ষ্য ছিল দু’দেশের মধ্যে, দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন। কিন্তু এখানে যেটা দেখছি সেটা লজ্জার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদের বিষয় তো আছেই। আমরা যদি তাদের কাছে যাই তাহলে তারা তো তাদের কথা বলবেই। এটাই তো স্বাভাবিক। আমরা তাদের কাছে যাই, তাদের সালিশ মানি। তাই তারাও তাদের কথা বলে।

এক প্রশ্নের জবাবে শান্তনু মজুমদার বলেন, তবে এত সরলীকরণ করলেও হবে না। কারণ শক্তিশালী দেশগুলোর উপর আমাদের মতো দুর্বল দেশ নানাভাবে নির্ভরশীল। তার মধ্যে বাজার একটা ব্যপার। এ ছাড়া ভূরাজনীতির কিছু ব্যাপার থাকে। এটাও একটা কারণ তাদের আমাদের বিষয়ে কথা বলার।

এনএইচবি/এসজি

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫

চক্রের পাঁচজন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে বসে ‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপস ও নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। ২০২০ সাল থেকে তিনি দুবাইয়ে থাকেন। গত তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার সমমূল্যের রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন মামুন।

তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন।

সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন।

সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত 

 

মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে।

নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে।

তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও।

হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।

দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন, হাইজিন, বায়ু ও সীসা দূষণ বছরে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যুর কারণ। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫.২ বিলিয়ন দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮.৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশদূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে।

এছাড়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্র্যকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ

নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চকবাজার এলাকার জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মুসল্লিদের দাবি, এসি বিস্ফোরণ মধ্য দিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত না করলেও এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানিয়েছেন, বেলা দেড়টার দিকে মুসলিরা জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালুর জন্য মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করতেই স্পার্ক করে। পরে তিনি সেটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। পরে পাশের ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হলে দেখা যায় সেখানে এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও থানায় বিষয়টি জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, হতাহতের ঘটনা ছাড়াই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুসলিরা নিরাপদে মসজিদ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট অল্প সময়ের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুনে ইমাম সাহেবের রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কিছু বই ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, মুসল্লিদের তথ্যানুযায়ী একটি এসি থেকে বিকট শব্দ হওয়ার পরপরই আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস পাশে থাকায় ব্যস্ততম এই ব্যবসায়িক এলাকাটিতে বড় ধরনের বিপদ ঘটেনি, অল্পতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।

রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে কিছুটা বেগ পেতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চকবাজারের সব রাস্তাগুলো সব সময় চালু রাখা উচিত, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো অপসারণের জন্য আমরা মসজিদ ও ব্যবসায়িক কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, চকবাজারের রাস্তা সরু হওয়ায় এখানে সব সময় যানজট লেগে থাকে, আর যেটুকু জায়গা খালি থাকে তা পার্কিং নয়তো হকরদের দখলে থাকে। এমনকি গোটা চকবাজারের ফুটপাতও দখলে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের পসরায়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) নাফিছুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক সারা দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, এমনকি নামাজের সময় হওয়ায় মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ