মিরাজের নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
সিলেট টেস্টে বাজেভাবে হারের পর এমন একটা জৃয়ের অপেক্ষাতেই যেন ছিল বাংলাদেশ। ব্যাটে বলে আলো ছড়িয়ে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। যেখানে ব্যাটে-বলে সমানভাবে অবদান রেখেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরির পর তুলে নেন ৫ উইকেট।
চট্টগ্রাম টেস্টে তিন দিনেই জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করা দলটি ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে গুটিয়ে যায় স্রেফ ১১১ রানে।
বাংলাদেশ একমাত্র ইনিংসে করে ৪৪৪ রান।
জিম্বাবুয়ের উইকেট পতনে বাড়ানো হয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময়। তাতে তিন দিনেই চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নিল বাংলাদেশ।
দেশের মাটিতে টানা ৬ টেস্ট হারার পর জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। তাতে দুই টেস্টের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
এই টেস্টের আগে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মিরাজের। ব্যাট হাতে ১০৪ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৩২ রানে এই স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি। ৯ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম ও সেঞ্চুরি করা ওপেনার সাদমান ইসলামের অবদানও কম নয়।
সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মিরাজ। সাকিবের এই কীর্তি আছে দুবার। সব মিলিয়ে টেস্টে ইতিহাসে এমন কীর্তি নেওয়ার ঘটনা ৩৯টি।
এই দিনই টেস্টে দুই হাজার রানের সঙ্গে ২০০ উইকেটের ডাবলও পূরণ করেন মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে যে কীর্তি আছে আর কেবল সাকিবের। সাকিবের লেগেছিল ৫৪ ম্যাচ, মিরাজের লাগল ৫৩ ম্যাচ। তার মানে এই ডাবলে দেশের হয়ে মিরাজই এখন দ্রুততম।
সব মিলিয়ে ২৬তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়লেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম এবার নিয়েছেন ৪২ রানে ৩ উইকেট।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন ওপেনার বেন কারান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের।
দিনটা বাংলাদেশ শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে। মিরাজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে আরও ১৫৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ। তাতে ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখেন তাইজুল (২০) ও অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব (৪১)। অষ্টম উইকেটে তাইজুলকে নিয়ে ৬৩ এবং নবম উইকেটে তানজিমকে নিয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। শেষ উইকেটে ৩৯ বলে ৬ রানের জুটির সময় পান সেঞ্চুরির দেখা।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২২ রানেই হারায় প্রথম ৩ উইকেট। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ওপেনার বেন কারেনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। আরভিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙা মিরাজ একই ওভারে ফিরিয়ে দেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। এরপর আর ৪২ রান যোগ হতেই অলআউট জিম্বাবুয়ে।
